কোরবানির হুকুম কি ? **********-**---******* ওয়াজিব না সুন্নত ? এ বিষয়ে ইমাম ও ফকীহদের মাঝে দুটো মত রয়েছে। প্রথম মত : কোরবানি ওয়াজিব। ইমাম আওযায়ী, ইমাম লাইস, ইমাম আবু হানীফা রহ. প্রমুখের মত এটাই। আর ইমাম মালেক ও ইমাম আহমদ রহ. থেকে একটি মত বর্ণিত আছে যে তারাও ওয়াজিব বলেছেন। (এক) আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন : ﻓَﺼَﻞِّ ﻟِﺮَﺑِّﻚَ ﻭَﭐﻧْﺤَﺮْ ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কোরবানি কর।’ [কাওসার,২] আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ পালন ওয়াজিব হয়ে থাকে। (দুই) ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : « ﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻪُ ﺳَﻌَﺔٌ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻀَﺢِّ، ﻓَﻠَﺎ ﻳَﻘْﺮَﺑَﻦَّ ﻣُﺼَﻠَّﺎﻧَﺎ » রাসূলে কারীম স. বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে না আসে।[মুসনাদ আহমাদ, ইবনে মাজা- ৩১২৩ হাদিসটি হাসান] যারা কোরবানি পরিত্যাগ করে তাদের প্রতি এ হাদিস একটি সতর্ক-বাণী। তাই কোরবানি ওয়াজিব। (তিন) রাসূলে কারীম স. বলেছেন : « ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺇِﻥَّ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺃَﻫْﻞِ ﺑَﻴْﺖٍ ﻓِﻲ ﻛُﻞِّ ﻋَﺎﻡٍ ﺃُﺿْﺤِﻴّﺔ : হে মানব সকল ! প্রত্যেক পরিবারের দায়িত্ব হল প্রতি বছর কোরবানি দেয়া। [মুসনাদ আহমাদ, ইবনে মাজা- ৩১২৫ হাদিসটি হাসান] দ্বিতীয় মত : কোরবানি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। এটা অধিকাংশ উলামাদের মত। এবং ইমাম মালেক ও শাফেয়ী রহ.-এর প্রসিদ্ধ মত। কিন্তু এ মতের প্রবক্তারা আবার বলেছেন : সামর্থ্য থাকা অবস্থায় কোরবানি পরিত্যাগ করা মাকরূহ। যদি কোন জনপদের লোকেরা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সম্মিলিতভাবে কোরবানি পরিত্যাগ করে তবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে। কেননা, কোরবানি হল ইসলামের একটি মহান নিদর্শন। যারা কোরবানি সুন্নত বলেন তাদের দলিল : (এক) রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন : ﺇِﺫَﺍ ﺩَﺧَﻞَ ﺍﻟْﻌَﺸْﺮُ ﻭَﻋِﻨْﺪَﻩُ ﺃُﺿْﺤِﻴَّﺔٌ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺃَﻥْ ﻳُﻀَﺤِّﻲَ، ﻓَﻠَﺎ ﻳَﺄْﺧُﺬَﻥَّ ﺷَﻌْﺮًﺍ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻘْﻠِﻤَﻦَّ ﻇُﻔُﺮًﺍ ‘তোমাদের মাঝে যে কোরবানি করতে চায়, যিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর সে যেন কোরবানি সম্পন্ন করার আগে তার কোন চুল ও নখ না কাটে।[ মুসলিম- ১৯৭৭] এ হাদিসে রাসূল স.-এর ‘যে কোরবানি করতে চায়’ কথা দ্বারা বুঝে আসে এটা ওয়াজিব নয়। (দুই) রাসূল স. তার উম্মতের মাঝে যারা কোরবানি করেনি তাদের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছেন। তার এ কাজ দ্বারা বুঝে নেয়া যায় যে কোরবানি ওয়াজিব নয়। শাইখ ইবনে উসাইমীন রহ. উভয় পক্ষের দলিল-প্রমাণ উল্লেখ করার পর বলেন: এ সকল দলিল-প্রমাণ পরস্পর বিরোধী নয় বরং একটা অন্যটার সম্পূরক। সারকথা হল যারা কোরবানিকে ওয়াজিব বলেছেন তাদের প্রমাণাদি অধিকতর শক্তিশালী। আর ইমাম ইবনে তাইমিয়ার মত এটাই।
৩৩১
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
অজুর মাক্রুহ সমুহ ; ****************** ১. অযুর সুন্নত সমুহের যে......
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত &&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&& পুরো কুরআন শরীফের গুরুত্বপূর্ণ......
হাজ্জের গুরুত্ব এবং ফযীলত """"""""""""""""""""" ১. আল্লাহর নির্দেশ পালন :......
সুরা ইখলাস পাঠের ফযিলত @@@@@@@@@@@@ ১) তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে......
হাজ্জ যাদের উপর ফরয ********************** (১) মুসলিম হওয়া (২) বালিগ......
কোরবানি কি: ***************** কোরবানি এটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হলঃ......
কার উপর কুরবানী ওয়াজিব ************************** ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক......
নামাযের ফরজ সমুহ নামাযে আহকাম শরীর পাক কাপড় পাক নামাযের......
সবরের গুরুত্ব @@@@@@#@ সবর বা ধৈর্য আল্লাহর পরিপূর্ণ মুমিন বান্দাদের......
কোরবানির হুকুম কি ? **********-**---******* ওয়াজিব না সুন্নত ? এ......