এক মাস রোজার পর হঠাৎ করে পোলাও,
বিরিয়ানি, জর্দা, সেমাই ইত্যাদি ভারী
খাবার খাওয়ায় গ্যাস বা অ্যাসিডিটির
সমস্যা ব্যাপকভাবে দেখা দেয় ঈদের
সময়টাতে। তাই বলে কি ঈদের খাওয়া
দাওয়া বন্ধ থাকবে? তাও কি সম্ভব! খাওয়া
দাওয়ার পাশাপাশি যদি গ্যাস্টিক থেকে
রক্ষার ঘরোয়া কিছু নিয়ম পালন করেন তবে
গ্যাস্টিকের সমস্যা আপনার ঈদের
আনন্দকে মাটি করতে পারবে না। আর
ডাক্তারের কাছেও দৌড়াতে হবে না
যখন তখন। আসুন তাহলে জেনে নিই
গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া
পদ্ধতি।
১। দারুচিনি
দারুচিনি হজমশক্তির জন্য অনেক ভাল একটি
মশলা। এটি প্রাকৃতিক এনটাসিড হিসাবে
কাজ করে থাকে এবং পেটের গ্যাস দূর
করতে সাহায্য করে। এক কাপ পানিতে
আধা চাচামচ দারুদিনি গুঁড়া মেশান। কয়েক
মিনিট সেটি সিদ্ধ করুন। এটি দিনে ২/৩
বার পান করতে পারেন। আপনি চাইলে
স্যুপ বা সালাদের সাথেও দারুচিনির গুঁড়া
মিশিয়ে খেতে পারেন।
২। পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতা আপনার অম্লতা, গ্যাস ও বমি
বমি ভাব থেকে সাথে সাথে মুক্তি
দেবে। গ্যাস্টিকের ব্যথা যখন অল্প তখন
থেকে অল্প কিছু পুদিনা পাতা মুখে
নিয়ে ভাল করে চিবুতে থাকুন। দেখবেন
কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার ব্যাথা অনেকটা
কমে গেছে। এছাড়া এক কাপ পানিতে
কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন।
এটি দিনে ২/৩ বার পান করতে পারেন।
স্বাদ বাড়াতে এতে মধু যোগ করতে
পারেন তবে দুধ দিবেন না।
৩। লবঙ্গ
লবঙ্গ অম্লতা উপশম এবং গ্যাস দূর করতে
সাহায্য করে। কয়েকটি লবঙ্গ এবং
দারুচিনি গুঁড়া করে মিশিয়ে নিন। এটি
আপনি আপনার প্রতিদিনের খাবারের
সাথে খেতে পারেন। লবঙ্গ গ্যাসের
সমস্যা দূর করার সাথে সাথে আপনার
নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধও দুর করে থাকে।
৪। আদা
পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য একটি
অনন্য এবং সহজ উপাদান হিসেবে ‘আদা’
অত্যন্ত কার্যকরী। এটি বদ হজমও দূর করে
থাকে। প্রতিদিন খাবার পর এক টুকরা আদা
চিবিয়ে খেলে পেটে আর গ্যাসের
সম্যসা করবে না। এছাড়া আদা চা,আদা
পানি পান ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে
থাকে।
৫। রসুন
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য রসুন খুবই
কার্যকরী উপাদান। রসুন, কালো মরিচ বীজ,
ধনে বীজ এবং জিরা বীজ একসাথে
মিশ্রিত করে কয়েক মিনিট উত্তাপে
ফুটিয়ে সিদ্ধ করতে হবে , সিদ্ধ করার পর
এই মিশ্রন থেকে যে নির্যাস বের হবে
সেটা ছেঁকে আলাদা করতে হবে। তারপর
সাধারণ তাপমাত্রায় এই নির্যাস ঠান্ডা
করে দৈনিক দুই বার পান করতে হবে।
৬। ভেষজ চা
পুদিনা পাতা,ক্যামোমিল,রাসবেরি এবং
ব্ল্যাকবেরি একসাথে মিশিয়ে তৈরী
কর়া ভেষজ চা হজম প্রক্রিয়া অনেকবেশি
সাহায্য করে ,আর হজম প্রক্রিয়া ঠিক
থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
অনেকাংশে কমে যায়।
৭। প্রচুর পরিমাণে পানি পান
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি শুধু
আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা কমাবে না
আরো অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি
দেবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট
গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।
৮। আলু
আলু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য
করে থাকে।খাবার আগে তিন বেলা আলু
থেকে রস বের করে খেতে হবে এবং
এতে খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।
সংগ্রহীত।
১২৯৬
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
কিসে মানবতার কল্যাণ কিসে মানুষের অকল্যান আছে তা মহান রাব্বুল......
লাইলাতুল ক্বদর পবিত্র মাহে রামাদ্বানের এক মহিমান্বিত রাত । যাকে......
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ( রা:)হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর......
রসনা বা কথা বার্তা বলার ইচ্ছা ও বাসনা মানুষের অন্যতম......
পৃথিবীতে প্রতিটি সভ্য জাতি যখন নিজেরা পরস্পরের সাথে মিলিত হয়......
শিষ্টাচার, সদ্ব্যবহার ও ওয়াদা পূরণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,......
আল্লাহ তায়ালা বনি ইসরাইলের প্রতি যে সব নিয়ামত দান করেছিলেন......
আন জাবেরিন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আন্নান নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমারা......
আল্লাহ ছাড়া কারো অস্থিত্ব নাই এ ব্যপারে সুরা বাক্বরায় এসেছে......