হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ( রা:)হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু যর গিফারীকে ফরমান, হে আবু যর! ঈমানের কোন শাখাটি অধিক মজবুত? তিনি বললেন আল্লাহ ও তার রাসূল ই অধিক অবগত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহল একমাত্র আল্লাহর সতুষ্টির উদ্দেশ্যে পরস্পর বন্ধুত্ব স্থাপন করা। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালবাসা, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ঘৃণা করা। ( ইমাম বায়হাক্বী শুয়াবুল ঈমানে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।)
আয়্যু উরাল ঈমান আওসাক্বু :- আলোচ্য হাদীছে 'উরা' শব্দটি, যা 'উরয়াতুন' থেকে নিস্পন্ন, তার অর্থ হল বালতি ও জগের প্রান্তে অবস্থিত আংটা। তবে আলোচ্য হাদীছে' উরাতুন' প্রকৃত বা হাক্বিক্বি অর্থে ব্যবহার হয়নি বরং মাজায বা অপকৃত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সে হিসেবে হাদীছের অর্থ দাঁড়াবে " মা ইয়াতামাসসাকু বিহি ফি আমরিদ দ্বীনি ওয়া ইয়াতা' ল্লাক্বু বিহি শা'বুল ঈমান "। অর্থাৎ এমন বিষয় যা দ্বারা দ্বীনকে মজবুত ভাবে ধারণ করা যায়, এবং এটি ঈমানের শাখার সাথে সম্পৃক্ত। ' আওসাক্ব' শব্দের অর্থ হল অধিক মজবুত। এখন হাদীছাংশের অর্থ হলো ঈমানের কোন শাখাটি অধিক মজবুত?
ঈমানের অসংখ্য শাখা প্রশাখার মধ্যে হযরত আবু যর গিফারী (রা:) কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন - ঈমানের মজবুত শাখা হল একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালবাসা, এবং কারো সাথে বন্ধুত্ব করা।
যেমন হক্বপন্থি আলেম ও বুযূর্গকে ভালবাসা। তার থেকে কিছু জানার জন্য তার সাহচর্য গ্রহন করা।আর পাপী তাপী যে পাপ থেকে নিবৃত্ত হয় না বরং প্রকাশ্যে গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকে, তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্বেষায় ঘৃণা করা।
আলহুব্বু ফিল্লা আল বুগদু ফিল্লাহ :- রাসূলের বাণী, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাউকে ভালবাসা, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কারো প্রতি ঘৃণা পোষণ হচ্ছে ঈমানের একটি সুদৃঢ় শাখা। এ হাদীছের মাধ্যমে আল্লাহর নবী বুঝাতে চাইলেন যে, মু'মিন ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য কাউকে ভাল বাসবে বা কাউকে ঘৃণা করবে। আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালবাসার অর্থ হল কোন আল্লাহ ওয়ালাকে বা দ্বীনদার ব্যক্তিকে তার দ্বীনদারীর কারণে ভলবাসবে।
অনুরূপ ভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের মানসে আল্লাহ রাসূলের দুশমন ও দ্বীন অমান্যকারীকে ঘৃণা করবে। এটা ঈমানের প্রকৃত দাবী। এজন্যই রাসূল ইরশাদ করেন -" মান আহাব্বা লিল্লাহি ওয়া আ' তা লিল্লাহি ওয়া মানায়া লিল্লাহি ফাক্বাদ ইসতাকমালাল ঈমানা"। অর্থাৎ - যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভালবাসবে, আল্লাহর জন্য কাউকে দান করবে, এবং আল্লাহর মর্জি বিধানের অন্বেষায় কাউকে নিষেধ বা বারণ করবে, তাহলে সে অবশ্য ই ঈমানকে পরিপূর্ণ করল।
৮১৬
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
হযরত আবু হোরায়রা ( রা:) হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু......
এক মাস রোজার পর হঠাৎ করে পোলাও, বিরিয়ানি, জর্দা, সেমাই......
নামাজে নাভীর নীচে হাত বাঁধা প্রসংগে অনেক কথা বার্তা শুরু......
যে নাম আল্লাহর আরশে লেখা , যে নাম আদম (আঃ)'র......
ব্যাখ্যা না জেনে সহীহ হাদিসেরও সরাসরি অনুসরন করা যাবে না।......
ইমাম বুখারী (রাহঃ)বলেন,আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি......
নামাজের মধ্যে তাকবীরে তাহরিমা :- বৈজ্ঞানিক গবেষনায় প্রতীয়মান হয়েছে নামাজের......
শিশুরা কোমলমতি অনুকরণ প্রিয়। তারা যা দেখবে, বুঝবে শুনবে তা......
ইসলাম ধর্ম সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ট হওয়ার কারণ হল এ ধর্মের মূল......
আদম শব্দটি 'উদ্মাতুন' থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ - মাটি। মাটির......