নারী ও পুরুষ মিলেই মানব জাতি। এখানে নারী ও পুরুষের হক্ব বা অধিকার বা ন্যায্য পাওনাকেই অধিকার এবং উভয়ে সমান সমান পাওয়ার নামই সমানাধিকার বলে।
ইসলাম নারী পুরুষের পাওনাকে সমান হওয়ার ব্যাপারে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। পবিত্র কালামে এরশাদ হচ্ছে--" মান আমিলা আমালান সালিহান মিন যাকারিন আও উনসা ওয়া হুয়া মু' মিনুন ফালানুহিয়ান্নাহু হায়াতান ত্বাইয়্যিবাতান "।
অর্থাৎ - যে কোন নারী কিংবা পুরুষ সৎ কর্ম করে এমতাবস্থায় যে সে মু'মিন, আমি তাকে অবশ্যই পবিত্র উন্নত সমৃদ্ধ জীবন দান করব। (সূরা নাহল)
আলোচ্য আয়াতে নারী পুরুষকে প্রতিদানের সমানাধিকারের প্রচ্ছন্ন ধারণা দেয়া হয়েছে। আর নারীদের অধিকারের ব্যাপারে বলা হয়েছে -" ওয়ালাহুন্না মিসলুল লাজি আলাইহিন্না বিল মা'রুফ"। অর্থাৎ - তাদের ও তেমনি অধিকার আছে, যেমন আছে তোমাদের অধিকার তাদের উপরে। ( বাক্বারা-২২৮)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে -"লির রিজালে নাসিবুম মিম্মা কাসাবু ওয়ালিন্নিসায়ে নাসিবুম মিম্মাক্তাসাবনা"। অর্থাৎ -পুরষের জন্য রয়েছে যা সে অর্জন করে, নারীর জন্য রয়েছে তা, যা সে উপার্জন করে। আয়াতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ইসলাম নারী পুরুষের যার যার উপার্জনকে তার অধিকারের মধ্যে ন্যস্ত করেছে। ইসলাম পূর্ব যুগে যা কল্পনারও অতীত ছিল। জাহেলী যুগে নারীদেরকে পিতার সম্পদে কোন অধিকার দেয়া হত না। ভোগের সামগ্রি হিসেবে নারীকে বিবেচনা করা হত। নারীকে অপয়া ভাবা হত। এজন্য পিতারা নারীসন্তান জন্ম নেয়াকে লজ্জাকর বিষয় মনে করত। বিধায় জীবন্ত কবর দেয়ার ঘটনা ছিল নিত্যদিনকার ব্যাপার। ইসলাম চরমভাবে এ জাহেলীপনার মূলে কুঠারাঘাত করেছে। নারীকে মা, যার পায়ের নীচে সন্তানের জান্নাত বলে সুসংবাদ দিয়েছে।
স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়েছে, যাকে স্বামীর সহধর্মিণী ও অর্ধাঙ্গিনী ঘোষণা করেছে। এভাবে সকল ক্ষেত্রে নারীর অধিকারকে সুন্দর সাবলিলভাবে উপস্থাপন করেছে।
তবে সৃষ্টিগতভাবে নারী ও পূরুষের মধ্যে পার্থক্য দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। যার জন্য নারীর গঠনগত কোমলতা ও দূর্বলতার কারণে নারীর কাজকর্মের ক্ষেত্রকে পুরুষ থেকে অপেক্ষা কৃত সহজ ও সহনশীল পর্যায়ে রেখেছে।
কিন্তু সমানাধিকারের ধোয়া তুলে মহিলাকে পুরুষের সমান তালে কর্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ করলে তাদের উপর বাড়তি অবিচার হয়ে যায় কিনা দেখা যেতে পারে। মনে করুন - সন্তান পেটে ধারণ করার যোগ্যতা একক ভাবে নারীর। তাদের লালন পালন সহজাত প্রবৃত্তি হিসেবে মা'কেই আঞ্জাম দিতে হয়। পুরুষেরা সন্তানের লালন পালন ও দুধ খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করা নিতান্তই অসম্ভব। সুতরাং প্রকৃতিগতভাবেই এ দায়িত্ব নারীরা নারীর টানেই পালন করে থাকেন। এবার যদি বিভিন্ন প্রজাতান্ত্রিক কাজে তাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে হয়, তাহলে তাদের উপর কাজের দ্বিগুন চাপ হওয়ায় তা অধিকার না হয়ে অবিচারের আওতায় পড়ে।
কাজেই অধিকার ও কর্ম ক্ষেত্রের বিষয় বিবেচনায় এনে আমাদেরকে পথ চলতে হবে। সমাজের অবকাঠামো বিনির্মাণে নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা জাতীয় কর্মক্ষেত্র নির্ধারনকে সমানাধিকার বলা হয় না। বরং ইসলাম ঐশী বিবেচনায় নারীপুরুষের যে অধিকার ও কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করেছে ও সুবিধাদি প্রদান করেছে সর্বকালের মানবতার জন্য তা অনন্য,ভারসাম্যপূর্ণ ও প্রশ্নাতীত।
৪৯০
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
অপ্রাপ্ত বয়সে যে সকল শিশু মৃত্যু বরণ করে তাদের কবরে......
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, স্বজনপ্রীতি,গোত্রপ্রীতি ও সাম্প্রদায়িকতার কারনে......
পৃথিবীতে বেচে থাকতে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান ও চিকিৎসা হচ্ছে মৌলিক......
ইমাম বাতায়ন বাংলাদেশের সম্মানিত ইমাম গনের জ্ঞান- বিজ্ঞান চিন্তা- চেতনাকে......
মানুষ একে অপরের প্রতি ভাল আচরণ করবে, সুন্দর আচরণ করবে;......
অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানেরা কবরে ফেতনায় পড়বে কি না ? এ......
বাংলাদেশের ইতিহাসে ইমাম বাতায়নের পথচলা নজিরবিহীন এক ঘটনা। ডিজিটাল বাংলা......
আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা ঘোষণা করেন--ওয়া আশিরুহুন্না বিল মা'রুফ "......
শুক্রবার দিনকে সাইয়্যেদুল আইয়্যাম বলা হয়েছে। বলা হয়েছে এ জন্য......