হাফেজদের মর্যাদা
রমজান মাসে আমাদের দেশে তারবিহ নামাজে খতমে কুরআনের জন্য হাফেজদের চাহিদা বেড়ে যায়। এই হাফেজদের মর্যাদা আসলে অপরিসীম। যারা রাতের আরামের ঘুমকে হারাম করে দিনকে দিন রাতকে রাত মনে না করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পবিত্র কুরআনের ত্রিশটি পারা অন্তরে ধরে রেখেছেন তারা পবিত্র কুরআনের হাফেজ এবং মহান আল্লাহ তয়ালার প্রিয় বন্ধু। সব সময় তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা উচিত। রাসুল (স) বলেন,“হাফেজে কুরআন মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বন্ধু। যে তাদের সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করবে আল্লাহ তার সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করবেন, আর যে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখবে আল্লাহ তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখবেন” (জামে সগীর)।
পৃথিবীতে অন্য কোনো ধর্ম গ্রন্থ কেউ মুখস্থ করতে সক্ষম হয়নি এবং হবে না। কিন্তু অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অন্তরে পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন বিদ্যমান রয়েছে। অন্তরে বিদ্যমান রত হাফেজের জন্য আল্লাহ জান্নাতে বিশেষ স্থান নির্ধারণ করে রেখে দিয়েছেন। রাসুল (স) বলেন, জান্নাতে একটি নদী রয়েছে যার নাম রাইয়ান। তার উপর মারজানের একটি শহর রয়েছে। যা সত্তুর হাজার স্বর্ণ ও রৌপ্য দ্বারা প্রস্তুত। তা একমাত্র কুরআনে হাফেজদের জন্য নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে” (কানযুল উম্মাল)। তাছাড়া হজরত আবু যর গিফারী (রা) হতে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, ‘সবচেয়ে ধনী হলো হাফেজে কুরআন যার হূদয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারীম সংরক্ষণ করেছেন’ (কানযুল উম্মাল)। পরিবারের লোকদের মুক্তির জন্য একমাত্র কুরআনে হাফেজ ব্যক্তি সুপারিশ করতে পারবে যা অন্য কেউ পারবে না। হজরত আলী (রা) হতে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করেছে এবং হেফজ করে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে এবং হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জেনেছে। আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেশতে দাখিল করবেন এবং তার পরিবারস্থ দশজন লোকের মুক্তির সুপারিশ কবুল করবেন যাদের উপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল”(তিরমিযি শরিফ)। এমন কি কুরআনের হাফেজদের পিতা-মাতার সঙ্গে অসম্মান করা যাবে না। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাদের পিতা মাতার কবরের আজাব হালকা করে দেন। রাসুল (স) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআন হেফজ করে, তার পিতা-মাতার আজাব মহান আল্লাহ হালকা করে দেন । যদিও তারা মুশরিক হোক না কেন?’(রুহুল বায়ান)। কিয়ামতের বিভীষিকাময় যখন মাথার অর্ধ হাত উপরে সূর্য থাকবে তখন কুরআনে হাফেজগন মহান আল্লাহ তায়ালার ছায়াতলে আশ্রয় পাবেন। হজরত দাইলামী (র) তিনি হজরত আলী (রা) হতে বর্ণনা করেন ‘যেদিন আল্লাহ তায়ালার ছায়া ব্যতীত কোনো ছায়া থাকবে না,সে দিন হাফেজে কুরআনগণ আল্লাহর ছায়াতলে আশ্রয় পাবেন’ (তাফসীরে ইতক্বান)। রাসুল (স) বলেন, ‘হাফেজে কুরআনের মর্যাদা অন্যান্য লোকদের উপর এমন-যেমন স্রষ্টার মর্যাদা সৃষ্টির উপর’। (জামে সগীর)। অন্যদিকে হজরত আনাস(রা) হতে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, ‘হাফেজে কুরআন ব্যক্তিরা জান্নাতবাসীদের সর্দার হবেন’ (তাবরানী)।
৫০৫
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
মাবরুর হজের বিনিময় জান্নাত অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী হজের ইবাদত......
বিসমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহিম। #হজ্জের নিয়ত আল্লাহুম্মা ইন্নি উরীদুলহাজ্জা, ফায়াসসিরহুলি......
বিসমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহিম। হজ্জের সুন্নত ১৪ টি ১,ইহরাম বাঁধার......
বিসমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহিম। #ইহরামের ফরজ ২ টি ১,নিয়ত করা,......
হজ্জ্বের ফরজ,ওয়াজিব ও সুন্নত হজ্জ্বের ফরজ তিনটি। যথাঃ ১। ইহরাম......
বিসমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহিম। #তাওয়াফে নিষিদ্ধ কাজ ৭ টি ১,অজু......
হাফেজদের মর্যাদা রমজান মাসে আমাদের দেশে তারবিহ নামাজে খতমে কুরআনের......
বিদায় হজের ভাষণ: মানবাধিকারেরর মৌলিক নীতিমালা অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী......
বিসমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহিম। #ওমরাহ্ এর ফরজ ২ টি ১,ইহরাম......