পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
ভূমিকা: নিঃসীম নীল আকাশ রয়েছে মহাশূন্যে ভাসি।
তারই প্রতিবেশী গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র ভেলার মত চলছে ভাসি। প্রকৃতিকে নষ্ট করছে মানুষ নানা উপায়ে।
নিজের অজান্তেই মারছে কুঠার নিজেরই পায়ে।
আকাশ, বাতাস, মাটি, পানি বিষাক্ত করে তুলছে।
গ্রীন হাউস গ্যাস আজ পৃথিবীর বুকে এসে পড়ছে।
লাখ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে যে প্রাণ ও প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন প্রকৃতি ও পরিবেশে সাম্য ছিল। এ ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশের। সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের পথ ধরেই মানুষ একটু একটু করে গড়ে তুলেছে নিজের পরিবেশ। মানুষের রচিত পরিবেশ তারই সভ্যতার বিবর্তন ফসল। মানুষ তার নতুন নতুন আবিষ্কারের প্রতিভা, পরিশ্রম আর দক্ষতা দিয়ে সংগ্রহ করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন পদ্ধতি। অধিগত করেছে জীবন-বিকাশের নানা উপকরণ। তাই দিয়ে সে তার নিজের প্রয়োজন ও রুচি অনুযায়ী তৈরি করেছে তার পরিবেশ। এ পরিবেশের মধ্যেই তার বিকাশ, তার বিনাশের ইঙ্গিত।
পরিবেশ দূষণের কারণ: জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ জল, মাটি, বায়ুর ওপর পড়েছে প্রচণ্ড চাপ। শুরু হয়েছে বন সম্পদ বিনষ্টের অমিত উল্লাস। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উদ্ভিদ জগৎ ও প্রাণী জগৎ। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য এসে পৌঁছেছে এক সংকটজনক অবস্থায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্রমবর্ধমান হারে শক্তি উৎপাদনের চাহিদা। শক্তি উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে নির্গত হয় মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ-দূষক নানা রাসায়নিক দ্রব্য। দূষিত রাসায়নিক দ্রব্যই নানা দুরারোগ্য ব্যাধির দ্রুত প্রসারণের কারণ। এতে বায়ু-জল-খাদ্যদ্রব্য মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।
বায়ু দূষণ:বাংলাদেশের বায়ু দূষণমুক্ত নয়। এই সমস্যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে বায়ু দূষণে পিছনে প্রধানত দুইটি কারণ রয়েছে। প্রথমত: কলকারখানার ধোঁয়া এবং দ্বিতীয়ত: যানবাহনের ধোঁয়া। সার কারখানা, চিনি, কাগজ, পাট এবং টেক্সটাইল মিল, টেনারীজ, গার্মেন্টস, কেমিক্যাল ও ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রচুর পরিমাণ ধোঁয়া নির্গত হয়। বাংলাদেশে কতিপয় শিল্প যেমন হাজারীবাগের ট্যানারী, এমিট হাইড্রোজেন সালফাইড, এ্যামোনিয়া প্রভৃতি কেমিক্যাল থেকে সৃষ্ট বিষক্রিয়া থেকে মাথা যন্ত্রণাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
দেশে ক্রবর্ধমান নগরায়ণ, অধিকহারে যানবাহন বৃদ্ধি বায়ু দূষণে ভূমিকা রাখছে। বেবি ট্যাক্সি, টেম্পু, মটর সাইকেল, ট্রলি প্রভৃতি টু-স্ট্রোক যাননবাহন থেকে অধিক ধোঁয়া নির্গত হয়। এছাড়া ঢাকা শহরের ৯০% যানবাহন ত্রুটিপূর্ণ যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সম্প্রতি সরকার ২০ বছরের অধিক পুরাতন যানবাহন নিষিদ্ধের সিদ্ধন্ত নিয়েছে।
বায়ুতে বিভিন্ন গ্যাসের স্বাভাবিক উপাদান হচ্ছে: ইট্রোজেন ৭৮.০৮৪% অক্সিজেন ২০.৯৪৬% আর্গন ০.৯৩৪০% কার্বন-ডাই-অক্সাইড ০.০৩৮৩%
নিয়ন ০.০০১৮১৮% হিলিয়াম ০.০০০৫২৪% মিথেন ০.০০০১৭৪৫% ক্রিপ্টন ০.০০০১১৪% হাইড্রোজেন ০.০০০০৫৫% নাইট্রাস অক্সাইড ০.০০০০৩
স্বল্প মেয়াদে সমস্যা :
বায়ু দূষণের কারণে স্বল্প মেয়াদে চোখ ও নাকে ব্যাথা হয়। এছাড়া ব্রন্কাইটিস ও নিউমোনিয়ার মতো মারাত্নক রোগ হয়।
দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা : বায়ু দূষণের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ক্যান্সার, হার্টের সমস্যা এমনকি ব্রেইন, নার্ভ, লিভার ও কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বায়ু দূষণের স্বাস্থ্য সমস্যা : বায়ু দূষণ আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী দুইভাবে আক্রান্ত করতে পারে। কেউ বায়ু দূষণ থেকে মুক্ত নয় তবে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ক্ষতির শিকার। বায়ু দূষণের কারণে মানুষের এ্যাজমা, হার্ট ও ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেয়।
বায়ু দূষণের কারণে স্বল্প মেয়াদে চোখ ও নাকে ব্যাথা হয়। এছাড়া ব্রন্কাইটিস ও নিউমোনিয়ার মতো মারাত্নক রোগ হয়।
দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা : বায়ু দূষণের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ক্যান্সার, হার্টের সমস্যা এমনকি ব্রেইন, নার্ভ, লিভার ও কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
পানি দূষণ: পানির অপর নাম জীবন। মানুষের শরীরের ৬৫% পানি। পৃথিবীর ৭১% পানি। কিন্তু প্রতিনিয়ত পানি দূষণের কারণে খাবার পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। দূষিত পানি পান করার ফলে বিভিন্ন জটিল রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে।
পানি দূষনের কারণ: বাংলাদেশে শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্নভাবে পানি দূষিত হচ্ছে। নিম্নে পানি দূষণের কারণসমূহ উল্লেখ করা হলো :
শহরাঞ্চলে : শহরে পানির সর্বরাহ হয় মূলত পার্শ্ববর্তী নদীগুলো থেকে। নদীর পানি বিশুদ্ধ করে খাওয়া ও ব্যবহার উপযোগী করা হয়। শহরে যেসকল কারণে পানি দূষিত হয় সেগুলি হচ্ছে-
1. কলকারখানার বর্জ্য নদীতে মিশে পানি দূষিত হয়।
2. ওয়াসার পানির লাইনের উপর অবৈধ পয়নিষ্কাষণের ব্যবস্থা এবং এগুলি পানিতে মিশে পানি দূষিত করে।
3. অনেক সময় পানির লাইন ফেটে যেয়ে এর ভিতর ময়লা-আবর্জনা প্রবেশ করে। এর ফলে পানি দূষিত হয়।
গ্রামাঞ্চলে : গ্রামাঞ্চলে খাওয়া ও ব্যবহারের জন্য মানুষ নলকূপ, পুকুর ও জলাশয়ের পানি ব্যবহার করে। বিভিন্নভাবে এই পানি দূষিত হচেছ। কারণসমূহ নিম্নে দেওয়া হলো:
1. নলকূপের পানিতে আর্সেনিক গ্রামে পানি দূষণের প্রধান কারণ।
2. ফসলের ক্ষেতে কীটনাশকের ব্যবহার এবং বৃষ্টির পানিতে তা পুকুর, জলাশয়ের পানিতে মিশে পানি দূষিত হয়।
3. একই পুকুরে কাপড় পরিষ্কার, মানুষ ও গবাদী পশুর গোছল করালে পানি দূষিত হয়।
এভাবে শহর ও গ্রামে পানি দূষিত হয় এবং খাওয়া ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে ওঠে।
পানি দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি: পানি দূষণের কারণে বিভিন্ন ধরণের পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। যেমন-
পানিবাহিত রোগ: ডায়েরিয়া
ব্যাকটেরিয়াজনিত: টাইফয়েড
সংক্রমন : কলেরা, প্যারাটাইফয়েডজ্বর ও বেসিলারী আমাশয়
ভাইরাল সংক্রমণ(জন্ডিস) : পোলিওমাইলিটিস হেপাটাইটিস সংক্রমণ
প্রোটোজল সংক্রমণ: অ্যামোবিক আমাশয়
শব্দ দূষণ: শব্দ দূষণ এ যুগের এক গুরুত্বপূর্ণ, জলজ্যান্ত সমস্যা। দিন দিন এ সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শহরে শব্দ দূষণের মাত্রা সর্বাধিক। প্রতিনিয়তই এখানে মোটরগাড়ির হর্ন, কলকারখানার বিকট আওয়াজ, বাজি পটকার শব্দ, রেডিও, টেলিভিশনের শব্দ, লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি, উৎসবের মত্ততা, মাইকে চড়া সুর, সব মিলেমিশে এক অপস্বর সৃষ্টির মহাযজ্ঞ চলছে। শব্দ দূষণের পরিণাম ভয়াবহ।
শব্দ দূষণের উৎস অনেক এবং অনেক ধরনের। যথাযথ কারণ ছাড়া যত্রতত্র মাইক বা ক্যাসেট প্লেয়ার বাজানো বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানো এবং হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো আইনগতভাবে বন্ধ করতে হবে। আবাসিক এলাকায় যাতে কলকারখানা গড়ে উঠতে না পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। বন ও পরিবেশ আইন ১৯৯৭ অনুসারে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকাকে নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শব্দ দূষণ রোধে মানুষের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি।
ঢাকা এখন শব্দ দূষণের নগর। ২০০৩ সালে দুই স্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা ঢাকা শহর থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর বায়ু দূষণের পাশাপাশি শব্দ দূষণের মাত্রাও অপেক্ষাকৃত কমে যায়, ফলে নগরবাসী কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। শব্দ দূষণের ফলে যে অসুখ হয়, তার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হয় বলে মানুষ তৎক্ষণাৎ এর কুফল বুঝতে পারে না। তাই এদিকে মানুষের নজরও থাকে কম। এ কারণে ঢাকার আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—কোনো কিছুই রেহাই পাচ্ছে না যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন, কারখানার উচ্চশব্দ, মাইক ও সিডি প্লেয়ারের উদ্দাম আওয়াজ থেকে।
শব্দ দূষণের ভয়াবহতা: শব্দ দূষণ যে শুধু বিরক্তি সৃষ্টি করে তাই নয়, মানবদেহের আর্টারিগুলো বন্ধ করে দেয়, এড্রনালিনের চলাচল বৃদ্ধি করে এবং হূৎপিণ্ডকে দ্রুত কাজ করতে বাধ্য করে। ধারাবাহিক উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শব্দ দূষণ স্নায়বিক বৈকল্যের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ধারাবাহিক শব্দ দূষণ শ্রবণশক্তি নষ্ট করে এবং স্নায়ুর স্থায়ী ক্ষতি সাধন করে। তাঁদের মতে, রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের হার্ট, কিডনি ও ব্রেনের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। শব্দ দূষণে শিশুদের মেজাজ হচ্ছে খিটখিটে। তারা শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে, হারাচ্ছে তাদের একনিষ্ঠতা। এর প্রভাব তাদের লেখাপড়ার ওপর পড়ছে। সব ধরনের শব্দ দূষণের ফলেই মানুষের ঘুম, শ্রবণশক্তি, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। যেকোনো ধরনের শব্দ দূষণই গর্ভবতী মায়েদের ক্ষতি করে দারুণভাবে। শব্দ দূষণে মানুষের স্থায়ী মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে।
তেজস্ক্রিয় দূষণ: পারমাণবিক যুদ্ধ, পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে তেজস্ক্রিয় দূষণের বিপদ সবচেয়ে বেশি নিহিত। ১৯৬৩ তে একটি মার্কিন নিউক্লিয় সাবমেরিন আটলান্টিক সাগরে হারিয়ে যায়। তা থেকে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে। নিউক্লিয় জ্বালানি উৎপাদনকেন্দ্রের আবর্জনা তার ক্ষতিকারক ক্ষমতা নিয়ে ৬০০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।
পরিবেশ দূষন রোধের উপায়:
মানুষ পরিবেশের অংশ এবং প্রত্য সুফল ভোগকারী। পরিবেশ বিপর্যস্ত হলে মানুষই তিগ্রস্থ হয়, মানুষের ব্যবহার্য প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট হয়, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাহত হয়। তাই সুস্থ্য শরীর ও মন বিনির্মাণে বিপর্যয়মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি প্রয়োজন। পরিবেশ সংরনে ও দূষণ রোধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে; তাহল-
1। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ নীতি প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
2। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য হ্রাস এবং নূন্যতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা।
3। পরিবেশ দূষনের সম্ভাবনা রয়েছে এরূপ প্রতিটি শিল্প-কারখানার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
4। ব্যাপক বনায়ন কর্মসূচী প্রনয়ন করা।
5। শব্দ দূষন রোধে শব্দ নিয়ন্ত্রন এবং সুনাগরিকতার বিকাশ ঘটানোর জন্য জনসচেতনা সৃষ্টি।
6। শিল্পবর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
7। জ্বালানী হিসেবে কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। বিকল্প জ্বালানী উদ্ভাবন করা।
8। সঠিক রনাবেনের মাধ্যমে যানবাহন থেকে কালো ধোয়া নির্গমন বন্ধ করা এবং উচ্চ শব্দযুক্ত হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
9। পরিবেশ সংরনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াসে রাজনৈতিক অঙ্গীকার সুনিশ্চিত করা।
10| সড়কে যানজট বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ দূষণ, দূর্ঘটনাসহ নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি ক্রমগতভাবে নতুন নতুন সড়ক বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে, সড়ক পথের ব্রিজ ও কালভার্টের কারণে নৌ-যোগাযোগ ব্যহত এবং জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি হচ্ছে। নদী মাত্রিক বাংলাদেশের নৌ-পথ ধ্বংস হওয়ার পিছনে অনেকেই অপরিকল্পিত সড়ক তৈরি বিষয়টিকে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। অপর দিকে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দেওয়া হলে স্বল্প জায়গায় কম জ্বালানি ও পরিবেশ দুষণ করে অধিক যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সম্ভব হতো। ভবিষ্যতে জ্বালানী সংকট মোকাবেলা, কৃষি জমি রক্ষা, পরিবেশ দূষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রধান্য দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থায় রেলকে অগ্রাধিকার প্রদান করা প্রয়োজন।
সুতরাং পরিবেশকে দূষনমুক্ত রাখতে হলে আমাদেও সম্মিলিত প্রচষ্টা প্রয়োজন। প্রয়োজনে পরিবেশ আদালত এবং বন আদালত স্থাপন করতে হবে। আসুন আমরা আমাদের বাসযোগ্য পরিবেশ গড়ার জন্য অঙ্গীকার করি। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াস বিরাট শক্তিরূপে অজিত হতে পারে।
উপসংহার: পরিবেশ দূষণ সমস্যা নিয়ে আজ সব দেশই চিন্তিত। সভ্যতার অস্তিত্বই আজ এক সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। তাই ১৯৭২ সালে ‘মানুষের পরিবেশ’ নিয়ে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অধিবেশন হয়ে গেল স্টকহোমে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ দিনব্যাপী ধরিত্রী সম্মেলন। বাংলাদেশের সংবিধানেও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এখানেও প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে। আজ পরিবেশ দূষণ মানব সভ্যতার জন্য ভয়ংকর বিপদের পূর্বাভাস। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যেকোনো মূল্যে পরিবেশ দূষণ রোধ করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
২০২৫৫
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
সুরক্ষিত হোক মানবাধিকার অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী যুগে যুগে দূর্বলের......
জানুয়ারিতেই ফোর-জি সেবা চালু হবে আগামী জানুয়ারিতেই ফোর-জি সেবা চালু......
যৌবনে অাল্লাহর ইবাদত করুন হযরত রাসূল (সাঃ) বলেন- যে যুবক-যুবতী......
অালহামদুলিল্লাহ! সাম্প্রতিক যেভাবে ইমাম বাতায়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ......
অহংকার মানুষকে তার কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।......
বিজয় দিবস অামাদের প্রেরণার উৎস অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী বাংলাদেশের......
ক্যানসারের পাঁচ কারণ বিশ্ব ক্যানসার দিবস । ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর......
শিশুকালীন যৌন হয়রানি রোধে মায়েদের জন্য ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশঃ ১.......
যৌতুক একটি সামাজিক ক্যান্সার ভূমিকা: যৌতুক একটি সামাজিক ক্যান্সার। এর......
বিনা হিসাবে যারা জান্নাতে যাবেন যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম......