ইসলামের দৃষ্টিতে পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়া কোনোভাবেই বৈধ নয়। সন্তান যদি একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহ তাআলার ইবাদাত করার পাশাপাশি পিতা-মাতার সেবাযত্ন, খেদমত এবং উত্তম আচরণ করে; তবে সে দুনিয়া ও পরকালে মহাসফলতা লাভ করবে। আর যদি পিতা-মাতার সঙ্গে অসদাচরণ করে অথবা সন্তানের কোনো কাজের কারণে পিতা-মাতা অসন্তুষ্ট হন, তবে তার জন্য জাহান্নাম সুনিশ্চিত। পিতা-মাতার সঙ্গে উত্তম ব্যবহারের বিষয়ে কুরআন ও হাদিসের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
আল্লাহ তাআলা তাঁর ইবাদতের পর সন্তান-সন্ততির জন্য পিতা-মাতার আনুগত্য করার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। পিতা-মাতাকে সম্মান করা, তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, কোমল আচরণ করাকে আবশ্যক করেছেন। এ জন্য তাঁর ইবাদাতের সঙ্গে সঙ্গে পিতামাতার প্রতি উত্তম আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে (আল্লাহ) ছাড়া অন্য কারও ইবাদাত কর না এবং পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কোনো একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বল না এবং ধমক দিও না এবং তাদের সঙ্গে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা বল।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৩)
এ কারণেই হাদিসে এসেছে, হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলে আরাবিকে জিজ্ঞাসা করলেন, সন্তানের ওপর পিতা-মাতার হক কী? উত্তরে বিশ্বনবি বললেন, তাঁরা উভয়েই তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম। অর্থাৎ যারা পিতামাতার প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে, তারা সফলকাম। আর যারা তাদের অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে তাদের জন্য লাঞ্ছনা।
হাদিসে আরো এসেছে- যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পিতা-মাতার আনুগত্য করে তার জন্য জান্নাতের দুটি দরজা খোলা থাকবে; আর যে ব্যক্তি তাদের অবাধ্য হয় তার জন্য জাহান্নামের দুটি দরজা খোলা থাকবে। এ কথা শুনে এক ব্যক্তি বিশ্বনবিকে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাহান্নামের এ শাস্তির বাণী কি তখনো বলবৎ থাকবে? পিতা-মাতা যখন এ ব্যক্তির প্রতি জুলুম করে। উত্তরে রাসুলে আরাবি বলেন, এই শাস্তির বিধান হয়তো তখনো প্রযোজ্য হবে।
কোনোভাবেই পিতামাতকে কষ্ট দেয়া যাবে না। তাদের অবাধ্য হওয়া যাবে না। আর কুরআন ও হাদিসের বিধানও তাই। সুতরাং সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলার ইবাদাত (হুকুম-আহকাম) করা; তারপরই পিতা-মাতার খেদমত করা, তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই সকল মানুষের একান্ত কর্তব্য। সর্বোপরি এমন কোনো কাজ না করা, যাতে তাদের মনে সামান্যতম কষ্টও হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগির পাশাপাশি পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, তাদের প্রতি সহনুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের সার্বিক তত্ত্ববধান গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
৪৯০
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
প্রসঙ্গঃ শবে কদরের আমল কি? বিশেষ পদ্ধতির কোনো আমল আছে......
ইসলামের দৃষ্টিতে পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়া কোনোভাবেই বৈধ নয়। সন্তান যদি......
রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আগত মাহে রমজানের প্রতিদান......
الحمد لله رب العالمين الصلوة والسلام على سيد الانبياء والمرسلين......
শনিবার সৌদি আরবের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রবিবার......
শোলাকিয়া ময়দানে লাখো মুসল্লির সমবেত ঈদ জামাত এখন বাংলাদেশের চিরায়ত......
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা মাসঊদ......
ভয়কে জয় করে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়......
............আব্দুল্লাহ শাকির সন্তান বাবার শরীরের একটি অংশ। এটা পরিপক্ব হয়......
পবিত্র সিয়ামসাধনার একটি মাস কাটানোর পর আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনের......