সাধারণত গোপনীয় সদক্বা ই আল্লাহর দরবারে অধিক প্রিয় । কারণ প্রকাশ্য সদক্বায় আত্ম অহমিকা এবং লৌকিকতার সম্ভাবনা থাকতে পারে । তবে এ ব্যপারটি সবার ক্ষেত্রে পেজোয্য নয় । এটা নিয়তের উপর নির্ভরশীল । কোন প্রকাশ্য দানকারী অন্যদের কে উতসাহ প্রদানের জন্য প্রকাশ্যে সদকা প্রদান করলে তার সদক্বা উত্তম না হওয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না । তাই পবিত্র কালামে পাকে ও প্রকাশ্য ,গোপনীয় সদকা প্রদানকে উতসাহিত করে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন -الذين ينفقون اموالهم باليل والنهار سرا وعلانية فلهم اجرهم عند ربهم لا خوف عليهم ولاهم يحزنون অর্থাৎ যাহারা তাদের সম্পদ রাজী রাতে বা দিনে প্রকাশ্যে বা গোপনে সদক্বা করে তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে রয়েছে পরম প্রতিদান । তাদের কোন ভয় নাই, না আছে তাদের কোন চিন্তা । (সূরা বাক্বারা আয়াত- ২৪৭)
সুতরাং এ আয়াতে কারিমা দ্বরা বুঝা যায় -প্রকাশ্য গোপন উভয় প্রকার সদক্বাই ভাল এবং প্রভূত সাওয়াবের কাজ । তবে নিয়তের পরিশুদ্ধতা এখানে বিবেচ্য বিষয় । যেমন সূরা নিসার ৩৮ নং আয়াতে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তালা আজ্জা ওয়া জাল্লা ফরমান-"আর যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে তাদের ধন সম্পদ ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস করে না ,আল্লাহ তাদের ভালবাসেন না" । সুতরাং এরূপ সদকা দান কারীর কোন কল্যাণ আশা করা যায় না । অনূরূপ সদক্বা দিয়ে যারা মানুষের কাছে সদকার কথা প্রকাশ করে বেড়ায় তার জন্য রয়েছে আরো অকল্যান । এরূপ দানকে নিরোতসাহিত করে আল্লাহ ফরমান - হে বিশ্বাসি গণ! তোমরা তোমাদের দানের কথা প্রচার করে ও কষ্ট দিয়ে তোমাদের দানকে বিনষ্ট করো না ঐ ব্যক্তির মত, যে নিজের সম্পদ অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যে দান করে এবং আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে না ।( বাক্বারা ,আয়াত - ২৬১)
দানের পরিমানঃ সদক্বা বা দানের পরিমান কত হবে এ ব্যপারে মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান - "সামান্য এক টুকরা খেজুর ও সদক্বা হতে পারে ।তবে আবশ্যকীয় সদকা তার নির্দিষ্ট পরিমান মত প্রদান করতে ই হবে । আর ঐচ্ছিক সদক্বা সাধ্য মত যত বেশী দান করা যায় তত ই কল্যাণকর। নবীজি বলেছেন "সদকা আল্লাহর ক্রোধকে উপশম করে ,এবং মৃত্যু যন্ত্রনাকে দূরীভূত করে" । (তিরমিযি শরীফ )
৭২৫
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
স্ত্রী সংগম করিলে বা স্বপ্নে বা জাগ্রতাবস্থায় শুক্রপাত ঘটলে গোসল......
সাধারণত গোপনীয় সদক্বা ই আল্লাহর দরবারে অধিক প্রিয় । কারণ......
মৃত ব্যক্তির সম্পদে পিতা তিন অবস্থায় পরিত্যক্ত সম্পদের অধিকারী হন।......
عن ابي هريرة رضي الله تعالي عنه قال قال رسول......
যে কৌতুকের মাধ্যমে অন্য কাউকে কষ্ট দেয়া কিংবা খাট করা......
(সংগ্রহ) প্রশ্নঃ দাড়ি রাখা কি ওয়াজিব? দাড়ি শেভ করা বা......
ইমাম শব্দের অর্থ হচ্ছে নেতা, যিনি আগে থাকেন। ইসলামের পরিভাষায়......
১.বিশ্ব বিখ্যাত ফিক্বহের কিতাব শামিতে আছে -নবীজির উপর সকল সময়......
মৃত ব্যক্তির ক্বাযা হয়ে যাওয়া নামাজ রোযার হিসাব করে নিতে......
কুরবানীর মাংসের তিন ভাগ ঃ কুরবানী মাংস নিজেও খেতে পারবেন......