সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

ঈমান নষ্ট হওয়া কয়েকটি আমল
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : সোমবার ১৮/০৯/২০১৭

ঈমান নষ্ট হওয়া কয়েকটি আমল ********-----********** ১. গায়রুল্লাহর কাছে দোয়া করা : পবিত্র কুরআনে আছে, ‘আর তাঁকে ছেড়ে এমন কাউকে ডেক না, যে না তোমার উপকার করতে পারে, আর না কোনো তি করতে পারে। আর যদি তা করো তবে অবশ্যই তুমি জালেমদের (মুশরিকদের) অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে’। (সূরা ইউনুস-১০৬) আল্লাহ যদি তোমার কোনো তি বা অকল্যাণ পৌঁছান, তাহলে তিনি ছাড়া তা থেকে পরিত্রাণ দেয়ার কেউ নেই। পান্তরে তিনি যদি তোমার কল্যাণ চান, তবে তাঁর অনুগ্রহ রহিত করার মতো কেউ নেই।’ (সূরা ইউনুস-১০৭) রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে বাদ দিয়ে তার কোনো সমককে ডাকা অবস্থায় মারা যাবে তাহলে সে (জাহান্নামের) আগুনে প্রবেশ করবে। (বুখারি) ২. গায়রুল্লাহর নামে জবেহ করা : পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘তুমি তোমার রবের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করো ও জবাই করো। (সূরা কাওছার-২) রাসূলুল্লাহ (দ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহর নামে জবাই করে, আল্লাহ তার ওপর লানত করেন’। (মুসলিম) ৩. নজর-নেয়াজ করা : নৈকট্য হাসিল ও ইবাদতের নিয়তে কোনো সৃষ্টিকে নজর-নেয়াজ দেয়ার রেওয়াজ আমাদের সমাজে দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে সন্তান কামনায় মাজারে গিয়ে থাকে। মৃত ব্যক্তির কাছে প্রার্থনা করে। এটা তাওহীদের পরিপন্থী এবং স্পষ্ট শিরক। ৪. কবরের চার পাশে তওয়াফ করা : নৈকট্য হাসিল বা ইবাদতের নিয়তে কবরের চার পাশে তওয়াফ করা যাবে না। কারণ তাওয়াফ কেবল কাবা শরিফের সাথেই নির্দিষ্ট। বান্দার উপাসনা বা দাসত্ব একমাত্র আল্লাহর জন্য। সালাত, সিয়াম, জিকির, সাহায্য কামনা, সন্তান ও রোগমুক্তি কামনা, মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করা, অকল্যাণ দূর করার জন্য দোয়া একমাত্র আল্লাহর কাছে করা যাবে। কবরবাসীর কবর তওয়াফ করে তার মাধ্যমে নিজের বাসনা পূরণের কাকুতি শিরকের অন্তর্ভুক্ত। ৫. গায়রুল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা : আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ওপর কোনো ব্যাপারে নির্ভরতা ও ভরসা করা যাবে না। সব কাজের সাহায্যদাতা একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা ভরসাকারীদের জিম্মাদার হয়ে যান। ৬. ইসলাম প্রতিষ্ঠিত কোনো বিষয়কে অপছন্দ করা : পবিত্র ইসলাম ধর্মের কোনো রীতি-নীতি, ইবাদত, সিদ্ধান্ত প্রভৃতিকে অপছন্দ করা যাবে না। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের ফয়সালা ও সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা যাবে না। আল্লাহ কর্তৃক পরিপূর্ণ হিসেবে ঘোষিত ইসলামে সব বিষয়ের ফয়সালা রয়েছে। রয়েছে আগের, বর্তমানের ও ভবিষ্যতের সব পরিস্থিতি ও জিজ্ঞাসার সমাধান। তাই ইসলামের কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধিতা করা বা আধুনিকতার নামে বা যুগের প্রয়োজনে নিজস্ব মতামত ঢুকিয়ে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজিত করার কোনো সুযোগ নেই। এমন কিছু করা হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের সব আমল বিনষ্ট করে দেবেন। ৭. ইসলামের হুকুম-আহকাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রপ করা : পবিত্র কুরআন ও সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত ইসলামের কোনো হুকুম-আহকাম নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রƒপ করা ঈমানদারের কাজ নয়। অনুরূপভাবে আল্লাহ, তাঁর রাসূল সা: ও পবিত্র কুরআন সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ, বিরোধিতা করা, হাসি-ঠাট্টা করা যাবে না। এসব কিছু কুফরি কালাম। ৮. আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নাম ও সিফাতসমূহ অস্বীকার করা : তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত বা আল্লাহর নাম ও গুণাবলিতে একত্ব, আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ত্ব ও সৌন্দর্য যাবতীয় গুণাবলিতে এক, একক ও নিরঙ্কুশভাবে পূর্ণতার অধিকারী। পবিত্র কুরআন ও সহি হাদিসে আল্লাহর যেসব নাম ও গুণাবলি উল্লিখিত হয়েছে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। এই নাম ও গুণাবলি যে অর্থ বহন করে সে অর্থেই বিশ্বাস করতে হবে। হজরত আবু হুরায়রা রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘আল্লাহর নিরানব্বইটি অর্থাৎ একটি কম এক শ’টি নাম রয়েছে। যে এই নামগুলো মুখস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত- হা: ২২৮৭) ৯. বিচারকাজে কুফরি মত অবলম্বন করা : আল্লাহ কেবল স্রষ্টাই নন, তিনি সৃষ্টিরাজি প্রতিপালনও করেন। অর্থাৎ কোনো কিছু সৃষ্টি করার পর আল্লাহ সেই সৃষ্টির ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকেন না, বা সেখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন না। বস্তুত বিশ্বজগতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এটা আবশ্যক। আল্লাহর বাণী সর্বকালের সর্বশ্রেণীর মানুষের কল্যাণের জন্য। আল্লাহর বিধানই সব েেত্র অনুসরণযোগ্য। ১০. হারামকৃত বিষয়কে হালাল বা হালালকৃত বিষয়কে হারাম করা : মহান আল্লাহ যেসব বিষয়কে হারাম করেছেন তা চিরদিনই হারাম, আবার যা হালাল করেছেন তা কিয়ামত পর্যন্ত হালাল। কিন্তু তাবিল করে (বিকৃত ব্যাখ্যা) হারামকে হালাল বা হালালকে হারাম করার কোনো অধিকার মানুষকে দেয়া হয়নি। মহাজ্ঞানী আল্লাহ মানুষের জন্য কী প্রয়োজন তা তাঁর চেয়ে বেশি কারো জানা থাকার কথা নয়। তাই তাঁর আদেশ নিষেধ মান্য করা মানুষের অবশ্যই কর্তব্য। কিন্তু কোনো কোনো েেত্র কেউ কেউ বা কোনো কোনো বিশেষ শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গের বিচণ (!) মতবাদ ঈমানকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মুহাম্মদ শাহ জাহান কুতুবী শিক্ষক আধুনগর ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা লোহাগারা,চট্টগ্রাম ।

৪৯৩

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭