সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

দরুদ পাঠের ফজিলত
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : বুধবার ২১/০৬/২০১৭

দুনিয়ার সব মানব সন্তান থেকে নিয়ে প্রাণিকুল, এমনকি প্রত্যেকটি বালুকণা পর্যন্ত যে মহান সত্তার রহমতের কাছে ঋণী, তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। যাঁকে মহান রাব্বুল আলামিন সৃষ্টিকুলের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। ওই মহান ব্যক্তির ঋণ শোধ করতে গিয়ে মানুষ গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো বানিয়ে দিলেও এ ঋণ পরিশোধ হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের প্রতি তাঁর চাওয়া আর কিছুই নয়, শুধু একটিই দাবি- আর তা হলো আল্লাহর বান্দারা সবাই আমার আদর্শ আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নাও। আর এতেও তোমাদেরই কল্যাণ, নতুবা তোমরাই বিপথগামী হবে, আমার ক্ষতির কিছুই নেই।

তাই মুমিনদের প্রতি রাসুল (সা.)-এর অনুগ্রহের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ ও গুরুত্বারোপ করে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর ফেরেস্তাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমারাও নবীর প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করো।’ (সুরা আহজাব : ৫৬)

অনুরূপ হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আলী (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইশাদ করেন- ওই ব্যক্তি কৃপণতম লোক, যার কাছে আমার আলোচনা সত্ত্বেও সে আমার ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে না। (সুনানে তিরমিজি : ৩৫৪৬)

দরুদ শরিফ পড়ায় লাভ কার?

এ ক্ষেত্রে স্মরণীয় যে, আমরা আজীবনও দরুদ পাঠ করে রাসুল (সা.)-এর অনুগ্রহের ঋণ শোধ করতে পারব না, বরং তাঁর ওপর দরুদ পড়ার দ্বারাও আমাদেরই লাভ। তাঁর মহান সত্তা আমাদের মতো নগণ্য লোকদের দরুদের প্রতি মুখাপেক্ষী নয়। বরং তাঁর ওপর তো স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই রহমত নাজিল করেছেন। হজরত আবু হোরাইরা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর ১০টি রহমত বর্ষণ করেন। (সহিহ মুসলিম : ৩০০৯)

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তার জন্য ১০টি নেকি লেখা হবে। (তিরমিজি : ৩৪৪৮)

হজরত উবাই ইবনে কা’ব (রা.) থেকে একটি দীর্ঘ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একপর্যায়ে হজরত উবাই ইবনে কা’ব (রা.) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি যদি আমার পুরো সময় আপনার প্রতি দরুদ পাঠে রত থাকি তাহলে কী হবে? রাসুল (সা.) ইরশাদ করলেন, তাহলে তোমার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (সুনানে তিরমিজি : ২৪৫৭)

রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা পাওয়ার উপায় দরুদ শরিফ

একজন মুসলমান পরিপূর্ণ ইমানদার হওয়ার জন্য রাসুল (সা.)-এর মহব্বত থাকা অপরিহার্য। হাদিস শরিফে এসেছে, আমাদের মধ্য থেকে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তোমাদের কাছে তোমাদের ছেলে সন্তান, মাতা-পিতা ও দুনিয়ার সব কিছু থেকে প্রিয় হব। বোখারি : ১২)

আর তাঁর মহব্বত লাভের শ্রেষ্ঠতম পন্থা হলো তাঁর ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করা। (তিরমিজি : ৪৮৬)

হজরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা আমার কাছে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন, যে আমার কাছে দূর-দূরান্তে পঠিত আমার উম্মতের দরুদ ও সালাম আমার কাছে পৌঁছায় এবং দরুদ পাঠকারীর নাম ও পিতার নামসহ আমার কাছে পৌঁছানো হয়। (মুসনাদে বায্যার : ৩১৬২)

কী দরুদ পড়ব?

অভিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, শরিয়তবিরোধী কোনো কথা উল্লেখ না থাকার শর্তে যদিও এমন সব বাক্যের মাধ্যমে দরুদ পড়া যায়; যাতে রাসুল (সা.)-এর ওপর সালাত, সালাম ও রহমতের প্রার্থনা করা হয়। কিন্তু সর্বোত্তম ও অধিক সওয়াব হলো ওইসব শব্দে দরুদ পড়ার মধ্যে, যে শব্দ রাসুল (সা.) দরুদ পড়া শিক্ষা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো- আমাদের নামাজের মধ্যে পঠিত দরুদ শরিফ। এ ছাড়াও আরো কিছু দরুদ শরিফ রয়েছে, যা হাদিসের বিভিন্ন কিতাবে উল্লেখ আছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের রাসুল (সা.)-এর শেখানো দরুদের মাধ্যমে তাঁর ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করার দ্বারা কিয়ামতের দিন তাঁর সাথি হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

৮৬৯

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

  • দরুদ পাঠের ফজিলত

    দুনিয়ার সব মানব সন্তান থেকে নিয়ে প্রাণিকুল, এমনকি প্রত্যেকটি বালুকণা......

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭