প্রাচুর্য বা দারিদ্র কারও মর্যাদার মাপকাঠি নয়
প্রাচুর্য বা দারিদ্র কারও মর্যাদার প্রকৃত মাপকাঠি নয়। কোনো ব্যক্তির বর্তমান পার্থিব অবস্থানের কারণে তাকে ছোট চোখে দেখার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। ধনী হোক বা গরিব, যার মধ্যে তাকওয়া বেশি তিনিই সবচেয়ে অধিক মর্যাদা পাওয়ার অধিকারী। এই দুনিয়াতে সম্পদ ও সম্মানের অধিকারী হওয়া সত্বেও মৃত্যু পরবর্তী জীবনে সে হতে পারে নিঃস্ব ও অপদস্ত। কোনো এক সময়ে এই দুনিয়াতেই সে হয়ে পড়তে পারে নিঃস্ব। এমনকি, অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েও সম্পদে বরকত না থাকার কারণে সে থাকতে পারে সদা অশান্তিতে নিমজ্জিত। আল্লাহ আমাদেরকে তাদের একজন হওয়া থেকে রক্ষা করুন। অন্যদিকে, বিত্ত, বংশমর্যাদা, লোকবল, ক্ষমতা ও জ্ঞানের বিচারে যারা আমাদের পিছনে রয়েছেন বলে মনে করছি পরকালীন জীবনে তাদের মর্যাদা আমাদের চেয়ে অনেক উপরে থাকতে পারে। আর আল্লাহ চাইলে এই দুনিয়াতেও তারা একসময় প্রাচুর্যের অধিকারী হয়ে যেতে পারেন। টাকার জন্যে মানুষ মিথ্যা বলে, ঠকায়, চুরি করে, মানুষ মারে, হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে। টাকা সংগ্রহের জন্যে জীবনটাকেও গুরুতর হুমকির মুখে ফেলতেও পিছপা হয় না। টাকা জমিয়ে টাকার পাহাড় করার নেশা পূরণে টাকার কুমিররা নিয়োজিত হয়। যার যত বেশি টাকা, তার ক্ষমতা তত বেশি; সাধারণত মানুষ তাকে সম্মানও করে সেই অনুপাতে। যে যত বেশি আয় করে তার সাথে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা দেখা যায়। টাকা আনে মান-সম্মান, তোলে জাতে। তাইতো টাকার অনেক শক্তি এমন বলা হয়ে থাকে। টাকা দিলে বাঘের দুধ মেলে। অনেকের ভাবতো এমন যে- ‘টাকা সমস্ত শক্তির উৎস। টাকায় কি না হয়। টাকার কাছে ক্ষমতার পরাজয় হয়। প্রভাবশালীও কুর্নিশ করে টাকার শক্তি কে।’ টাকার যে কী আশ্চর্য ক্ষমতা তা’ আমাদের দেশে খুব ভালোভাবেই বোঝা যায়। টাকার ক্ষমতার কাছে অনেক সময় মানুষের ক্ষমতাও হেরে যায়। আপনি যতই টাকাওয়ালা হোন না কেন- অহংকার যেন সংকীর্ণতার মধ্যে বদ্ধ করিয়া না রাখে, নত এবং বশীভূত করিয়া না রাখে। অনেকেই বলবেন আসলে টাকার কাছে সেসব জ্ঞানীই হেরে যাচ্ছেন যারা প্রকৃত জ্ঞানী নন, জ্ঞানীর মুখোশ পরে আছেন মাত্র। সততার চেয়েও যেখানে মূল্যবান বাড়ি-গাড়ি, পরোপকারের চেয়ে যেখানে বিলাসীতা-আরাম-আয়েশ, ত্যাগ ও সাধনার চেয়ে যেখানে ভোগ ও সুখই মূখ্য; সেখানে জ্ঞান নয় জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতা বিবেচনার কেন্দ্রে অবস্থান করে। ফলে টাকার জোরে অপরাধীও সম্মান পায়, নিরপরাধীও শাস্তি পায়, সন্ত্রাসীও সমর্থন পেয়ে নির্বাচিত হয়, খুনীও জননেতার তকমা পায়, হিংসুক-ষড়যন্ত্রকারীর নেতিবাচকতাও নেতা-কর্মীর নিবেদিত প্রাণের স্বীকৃতি পায়। মামা-খালুর জোর কিংবা দলীয় বিবেচনায় চাকরি মিললে, পেশীশক্তি ও কালো টাকার জোরে নমিনেশন মিললে আর যাই হোক মেধার মূল্যায়ন হয় না। যে সমাজে টাকার কাছে জ্ঞান অসহায় হয়ে পড়ে, টাকাওয়ালার কাছে জ্ঞানী পরাজিত হয়; সেই সমাজ আর সুস্থ ও স্বাভাবিক সমাজ থাকে না।
৪৯৫
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
হজ্বের সফর : কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হজ্বের সফর আর অন্য......
মাযহাবের চার ইমাম ও সিহাহ সিত্তাহর ছয় ইমাম ১- ইমাম......
মহান অাল্লাহ অাদম সন্তানদেরকে ক্ষমা করবেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান......
মহান অাল্লাহ গোপন ও প্রকাশ্য বিষয়ে অবগত তোমরা আমল করে......
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জীবনকে বদলে দেয় হযরত রাসুল (সাঃ) বলেছেন,জান্নাতের......
হযরত খাদীজা বিনতু খুওয়াইলিদ (রা:) নাম তাঁর খাদীজা। কুনিয়াত ‘উম্মু......
المسلم من سلم المسلمون من لسانه ویده. অর্থ : খাঁটি......
মুহাজির সাহাবীঃ ১. হযরত আবু বকর (রাঃ) ২. হযরত উমর......
কুরঅানের অলৌকিকত্বের দিকগুলোর বর্ণানা ১. দুর্লভ পদ্ধতি: কুরঅানের বিস্ময়কর শব্দাকৃতি,......
পাপ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া আমাদের আদি পিতা হযরত আদম......