সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

জুলম বা অত্যাচার।
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : বৃহস্পতিবার ১৯/০৪/২০১৮

জুলম এর পরিচিতি: 'আজ জুলমু' শব্দটি বাবে দ্বারাবা এর মাসদার। এর আভিধানিক অর্থ - অত্যাচার করা, নির্যাতন করা, সীমাতিক্রম করা। তাই অত্যাচারীকে যালিম,জালুম বলা হয়। আর অত্যাচারিত কে বলা হয় মাজলুম।

পরিভাষাগত ভাবে : জুলুম শব্দটির পারিভাষিক সংজ্ঞা দিতে যেয়ে আল্লামা রাগিব ইসপাহানী বলেন-"হুওয়া ওয়াদ্বুউস শাইয়া ফি গাইরি মাওদ্বায়িহিল মুখতাস্বে লাহু"। 

অর্থাৎ- কোন জিনিসকে তার নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরিয়ে অন্য স্থানে রাখার নামই জুলুম। যেমন আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা। এবাদত তারই প্রাপ্য। কিন্তু তা না করে বান্দা অন্যের উপসনায় রত হওয়া।নিজ নিজ জীবন নিয়ে যার যার বেচে থাকার অধিকার সবার ই রয়েছে। কিন্তু সে অধিকার হরণ করে কাউকে প্রাণে সংহার করা ইত্যাদি। শিরক বিল্লাহ সবচেয়ে বড় জুলুম। আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে - "ইন্নাস শিরকা লাজুলমুন আযীম"। নিশ্চয়ই শিরক হচ্ছে অবশ্যই বড় জুলুম। ক্ষমার অযোগ্য। আল্লাহ সুস্পষ্ট ভাবে এর ভয়াবহ পরিনামের কথা বলে রেখেছেন। এরপরই নাহক্ব হত্যা এক বিরাট জুলুম। ক্ষমার অযোগ্য এ অপরাদের জন্য চিরস্থায়ী জাহান্নামের ওয়াদা দেয়া হয়েছে।

জুলুমের ভয়াবহ পরিনতি : কোরআন ও হাদিসের পরিভাষায় জালিমের জুলুমকে কঠোরভাবে নিষেধ প্রদান করা হয়েছে। বারণ করার জন্য বিভিন্নভাবে নির্দেশ ও ভীতি সঞ্চারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পবিত্র কালামে পাকে ঘোষিত হয়েছে -"ওয়া ইম মিনকুম ইল্লা ওয়ারিদুহা কানা য়ালা রাব্বিকা হাতামাম মাক্বদিয়া। সুম্মা নুনাজ্জিল লাজিনাত ত্বাকাও ওয়া নাযারুয যালিমিনা ফিহা জিসিয়্যা "। অর্থাৎ - তোমাদের প্রত্যেকেই জাহান্নাম অতিক্রম করতে হবে। এটি আল্লাহর অবধারিত সিদ্ধান্ত। অত:পর আমি খোদাভীরুদেরকে নাজাত দিবো। আর জালিমদেরকে উপুুর করে জাহান্নামে  নিক্ষেপ করব।

( মারিয়াম -৭১'৭২)

জালিম যার উপরে জুলুম করবে, ময়দানে ক্বিয়ামতে আল্লাহ পাক ঐ জালেম থেকে বদলা না নিয়ে জান্নাতে দিবেন না। যদি ও জালিম নামাজী, রোজাদার কিংবা হাজী হোকনা কেন। সেখানে দিনার দিরহাম নাই। কাজেই বদলা নেয়ার উপায় হল মাজলুমকে জালেমের পূণ্য দিয়ে দেয়া হবে। জালিমের পূণ্য না থাকলে মাজলুমের পাপ জালিমের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে। কাজেই নামাজ রোযা হজ্জ যাকাত নিয়া ও হাশরের ময়দানে জালিম হবে একান্তই নি:স্ব। জালিমকে তার জুলমতির পরিমাপ মত পূণ্য কেড়ে নিয়ে মাজলুম কে দিয়ে অত:পর জালিম কে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

(তথ্য সূত্র: মুসলিম শরীফ)

অন্য হাদিসে আল্লাহর নবী ফরমান " ইত্বাকু দাওয়াতাল মাজলুমে....... তোমরা মাজলুমের দোয়াকে ভয় কর, কেননা মাজলুমের দোয়া আল্লাহর দরবারে ক্ববুল। সুতরাং দুনিয়ায়  কাউকে অন্যায়ভাবে প্রহার করা, হত্যা করা, গালি দেয়া, গীবত করা, হেনস্থা করা, অধিকার কেড়ে নেয়া, চোগলখুরী করা, টকানো, কম দেয়া সহ এবম্বিদ গর্হিত কাজগুলো জুলুমের পর্যায়ভূক্ত। হার মোতাবেক সে জুলুমের প্রতিকার ছাড়া কাউকে জান্নাতে যেতে দেয়া হবে না। সে যতই আমলদার অর্থাৎ হাক্বুল্লাহ আদায়কারী হোক না কেন। ক্বিয়ামতের দিন জুলুম হবে যুলমত বা অন্ধকার। জাহান্নামে যাওয়ার কারণ। 

৬৯৭

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭