সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

পবিত্র মদিনার শ্রেষ্ঠ ফজিলত
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : শুক্রবার ১৬/০২/২০১৮

পবিত্র মদিনার শ্রেষ্ঠ ফজিলত হলো- আঠার হাজার মাখলুকাতে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ছৈয়্যদেনা হজরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লামা-এর পবিত্র কবর শরিফ এ নগরীতেই অবস্থিত। এটা এমন এক ফজিলত যার সাথে অপর কোনো ফজিলতের তুলনা হয় না। বরং দুনিয়া ও আখিরাত কোনো নিরামতই এ নিয়ামতের সমতুল্য হতে পারে না। কেননা, ফরজ ও ওয়াজিব ব্যতীত অপর কোনো আমলই আল্লাহর হাবিব সা:-এর পবিত্র রওজা শরিফ জেয়ারতের চেয়ে অধিক কল্যাণকর নয়।

বিভিন্ন হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, ‘প্রত্যেক মানুষ ঐ Description: মুহাম্মাদ সা:-এর সেই আকর্ষণীয় বিশ্বাসগুলো মাটি দ্বারা সৃষ্টি, যে মাটিতে তাঁকে দাফন করা হয়, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ছৈয়্যদেনা নবী পাক সা: পবিত্র মদিনার মাটিতে শায়িত। শুধু তাই নয় তাঁর মহান তিন খলিফা, আহলে বাজেত, উম্মে হাতুল মোমেনিন, মহান দশ হাজার মতো সাহাবা এ পবিত্র মদিনার মাটিতে শায়িত।

আল্লাহর রাসূল সা: বলেন, ‘হে আল্লাহ, আমার অন্তরে মদিনার ভালোবাসা দান কর, যেমন আমরা মক্কাকে ভালোবাসি এবং তার চাইতেও বেশি।

পবিত্র মদিনা মানুষের ময়লাকে এমনভাবে দূরীভূত করে যেভাবে কামারে ভাতি লোহার মরিচাকে দূরীভূত করে। অন্য হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে মদিনা শরিফ পূত-পবিত্র। গোনাহসমূহকে তা এমনভাবে বিদুরিত করে যেমনিভাবে কামারের ভাতি রূপার মরিচাকে দূরীভূত করে অর্থাৎ- ফিতনা, ফাসাত, সন্ত্রাস, সৃষ্টিকারীদের এখান থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। অধিকাংশ ইমাম একমত যে, মদিনা শরিফের এ বৈশিষ্ট্য সর্বদা বিদ্যমান।

এক বর্ণনায় বর্ণিত আছে যে, এক বেদুঈন আল্লাহ রাসূল সা:-এর হাতে এ কথার ওপর বাইয়াত গ্রহণ করল যে, সে মদিনাতেই অবস্থান করবে। দ্বিতীয় দিবসে ঘটনা চক্রে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং জ্বরাক্রান্ত হয়। অতঃপর সে নবী পাক সা:-এর কাছে এসে বাইয়াত ভঙের এবং স্বদেশে চলে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করে। তখন নবী পাক সা: তার সম্পর্কে উল্লিখিত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।

হজরত উমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ: মদিনা শরিফ থেকে আসার সময় বন্ধু-বান্ধবদের সম্বোধন করে বললেন- মদিনা শরিফ যাদেরকে দূরে নিক্ষেপ করেছে আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি।

এ পবিত্র নগরীর পূর্ণাঙ্গ বৈশিষ্ট্য ঐ দিনই পূর্ণভাবে প্রকাশ পাবে, যখন মল উন দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং মদিনা শরিফে প্রবেশে সক্ষম হবে না, আর সব সন্ত্রাসকারী দাজ্জালের অনুসরণে মদিনা শরিফ থেকে বাইরে চলে আসবে। সে দিন মদিনা শরিফে দুষ্ট লোক থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে যাবে। যেমন হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে- সে সময় ইসলামবিরোধী এবং মুশরিকদের অপবিত্রতা থেকে মদিনা শরিফের পবিত্রতা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। মদিনা শরিফের ফজিলতসমূহের মধ্যে এটা আরেকটি ফজিলত যে, মহান আল্লাহ পাক মদিনা শরিফের মাটি ও ফলের মধ্যে শেফা ও আঙ্গুরের গুণ রেখেছে। অনেক হাদিস বর্ণিত আছে মদিনা শরিফের ধুলাবালুতে প্রত্যেক রোগের শেফা রয়েছে। কোনো কোনো বর্ণনায় দেখা যয়, মদিনা শরিফের মাটিতে রোগের ওষুধ রয়েছে। বিশেষ করে ওয়াদিয়েবুরতান নামক স্থানে। বর্ণিত আছে যে, নবী পাক সা: কোনো কোনো সাহাবিকে ওষুধস্বরূপ এ মাটি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। ওষুধ হিসেবে এ মাটি নিয়ে যাওয়া সম্পর্কে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। অনেক ইমাম এ মাটি সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন।

যখন নবী পাক সা: সফর থেকে ফেরার সময় মদিনা শরিফের কাছাকাছি পৌঁছে যেতেন, তখন তাড়াতাড়ি পবিত্র মদিনায় পৌঁছে যাওয়ার উৎসাহে সওয়ারিকে জোরে চালিয়ে দিতেন এবং চাদর মোবারক গর্দান থেকে নিয়ে ফরমাইতেন- হে আমার শ্বাস গ্রহণের স্নিগ্ধ পুরবী বাতাস! তোমাকে স্বাগত জানাই।
শুধু তাই নয়, মদিনা শরিফের যে সব ধুলাবালু তার চেহারা মোবারক লাগত তা তিনি পরিষ্কার করতেন না। এমনকি যদি কোনো সাহাবাকে দেখতেন যে, তিনি ধুলাবালু থেকে বেঁচে থাকার জন্য মাথা ও মুখমণ্ডলকে আবৃত করছেন, তখন তিনি নিষেধ করতেন এবং এরশাদ করতেনমদিনার মাটি শেফাএ কারণেই মদিনা শরিফের আরেক নাম শাফিয়া অর্থাৎ আরোগ্যকারী।

বোখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি মদিনা শরিফেরআজওয়ানামক সাতটি খেজুর দিয়ে নাশতা করবে কোনো প্রকার বিষ ও জাদু তার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
হজরত আশেয়া সিদ্দিকা রা: দুরারোগ্য রোগে আজওয়া খেজুর খাবার পরামর্শ দিতেন। আজওয়া মদিনা শরিফের উৎকৃষ্ট খেজুর।

বিভিন্ন বর্ণনায় রয়েছে, এ খেজুরের মূল বৃক্ষ নবী পাক সা: নিজ হাত মোবারকে রোপণ করেছিলেন।
পবিত্র শহরকে নবী পাক সা: এত বেশি ভালোবাসতেন যা বর্ণনা করে শেষ হওয়ার নয়। আশেকে রাসূলগণের আরজু থাকে মদিনা শরিফে বারবার যাওয়ার জন্য। যাতে রওজা পাকে সালাম পেশ করার সৌভাগ্য লাভ করা যায়।
 

৩৩৩

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭