জান্নাতে যাবেন
হযরত আবু আনসারি (রা:) প্রতিদিন নবীজীর পেছনে ফজরের নামাজ পড়েন। কিন্তু নামাজে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে তিনি মসজিদে না বসে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যান। এভাবে কয়েকদিন চলার পর অন্যান্য সাহাবিরা এটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন যে, প্রতিদিন সালাম ফিরিয়েই আনসারি চলে যান। অথচ নবীজী (দঃ) ফজরের পর সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে বসে বয়ান করেন।
অন্যান্য সব সাহাবিরাও রাসূলের কাছে বসে থাকেন। এক পর্যায়ে এই কথা নবীজীর কানে পৌছালো। নবীজী সাহাবিদের বললেন, আগামিকাল ফজরের নামাজ শেষে আনসারি যেন আমার সাথে দেখা করে। পরের দিন নামাজে আসলে আনসারিকে একথা জানিয়ে দেয়া হল। ফজরের নামাজ শেষ। আনসারি বসে আছেন নবীজীর সাথে দেখা করার জন্য। একপর্যায়ে নবীজী তাকে ডাকলেন। নবীজী অতি মোলায়েম কন্ঠে বললেন, আনসারি! আমি কি তোমাকে কোন কষ্ট দিয়েছি? আমি কি তোমার কোন হক নষ্ট করেছি? একথা শুনে আনসারি কেদে ফেললেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (দঃ)! আমার জীবন আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আপনি আমার কোন হক নষ্ট করেননি। নবীজী (দঃ) বললেন, তাহলে আনসারি! তুমি প্রতিদিন নামাজ শেষে আমার কাছে না বসে চলে যাও কেন?
আনসারি কেদে কেঁদে বললেন, রাসুল (দঃ)! আমার এবং আমার স্ত্রীর সতর ডাকার জন্য একটি মাত্র জামা আছে। যেটা পরে আমি যখন নামাজ পড়ি আমার স্ত্রী তখন উলংগ থাকেন। স্ত্রী যখন নামাজ পড়েন আমি তখন উলংগ থাকি। এক্ষেত্রে ফজরের নামাজের সময় একটু অসুবিধা হয়ে যায় ইয়া আল্লাহর রাসুল (দঃ)। ফজরের নামাজে আসার সময় আমি আমার স্ত্রীকে একটা গুহায় রেখে আসি। এমতাবস্থায় আমি যদি নামাজ শেষে এখানে বসে থাকি তাহলে তো আমার স্ত্রীর নামাজটা কাজা হয়ে যাবে ইয়া আল্লাহর রাসূল। এজন্য আমি নামাজ শেষে দৌড়ে চলে যাই। আনসারির কথা শুনে আল্লাহর রাসুল দরদর করে কেঁদে ফেলেন। নবীজীর দাঁড়ি বেয়ে বেয়ে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে। সাথে সাথে নবীজী তাকে জানিয়ে দিলেন, আনসারি! নিশ্চয়ই তুমি জান্নাতে যাবে। আল্লাহু আকবার।
৩২৫
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
জুমু'অা ও জুমু'অার মধ্যবর্তী সকল পাপ অাল্লাহ ক্ষমা করেন হযরত......
বিজ্ঞানীর বাণী তোমরা এটা মনে করো না, জীবনে যে সফলতা......
প্রাচুর্য বা দারিদ্র কারও মর্যাদার মাপকাঠি নয় প্রাচুর্য বা দারিদ্র......
পুণ্যবান নবীপত্নীরা রাসূল (সা.) এর স্ত্রী ছিলেন ১১ জন। ইসলাম......
انما الاعمال بالخواتیم. অর্থ : শেষ অামলই নির্ভরযোগ্য। -মিশকাত শরীফ,......
কুরঅান ও হাদিস অামল করুন যারা তওবা করে ও ঈমান......
রাসূলুল্লাহ(সাঃ) চারিত্রিক গুণাবলী ১. কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যক্তি......
নামাযের হেফাজত করুন হযরত রাসুল (সা:) বলেন -যে ব্যক্তি নামাযের......
ঈমান ভঙ্গের কারণ ১ আল্লাহর সাথে শরীক করা। ২ আল্লাহ......
যেভাবে অন্যের বিশ্বাস অর্জন করবেন,,,, বিশ্বাস আমাদের বন্ধনকে দৃড় করতে......