সদকায়ে ফিতরের হুকুম ---
সদকায়ে ফিতর এমন প্রত্যেক সচ্ছল মুসলমান নারী পুরুষ, নাবালক সাবালকের ওপর ওয়াজিব (আহলে হাদীসের মতে সদকায়ে ফিতর যাকাতের মতো ফরয। অতএব প্রত্যেক ধনী গরীব, নারী-পুরুষ, আযাদ-গোলাম, ছোট-বড়, সকলের ওপর ফরয। তাদের যুক্তি এই যে, নবী (স) মক্কার অলিতে গলিতে লোক পাঠিয়ে এ ঘোষণা করিয়ে দেন সাধান থাক। সদকায় ফিতর প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষ, আযাদ গোলাম, ছোট-বড় সকলের ওপর ওয়াজিব। (তিরমিযি)
ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) সদকায়ে ফিতর ফরয বলেছেন এবং তাহলো প্রত্যেক নারী-পুরুষ, আযাদ-গোলাম, ছোট ও বড়োর জন্যে এক সা খেজুর, এক সা যব এবং হুকুম দিয়েছেন যে, ঈদগাহে যাবার পূর্বে তা দিতে হবে। যার কাছে তার প্রকৃত প্রয়োজনের অতিরিক্ত এতো মূল্যের মাল হবে যার ওপর যাকাত ওয়াজিব হয়। সে মালের ওপর যাকাত ওয়াজিব হোক বা না হোক। যেমন ধরুন, কারো কাছে তার বসবাসের গৃহ ছাড়া আরও বাড়ী-ঘর আছে যা খালি পড়ে আছে অথবা ভাড়ার জন্যে তৈরী করা হয়েছে।
যদি সে ঘর-বাড়ীর মূল্য নেসাব পরিমাণ হয় তাহলে তার মালিকের ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে যদিও সে বাড়ীর ওপর যাকাত ওয়াজিব নয়। তবে যদি বাড়ীর ভাড়ার দ্বারা সে জীবিকা অর্জন করে তাহলে তা তার প্রকৃত প্রয়োজনের মধ্যে শামিল হবে এবং তার ওপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে না। অথবা কারো ঘরে ব্যবহারের সামগ্রী ছাড়াও কিছু আসবাবপত্র আছে যেমনঃ তামার বাসনপত্র, মূল্যবান ফার্নিচার প্রভৃতি যার মূল্য নেসাবের পরিমাণ অথবা তার অধিক, তাহলে তার ওপর সাদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যদিও সে সব মালের যাকাত দিতে হবে না।
সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়ার জন্যে ওপরে বর্ণিত নেসাব ছাড়া অন্য কোনো শর্ত নেই। না আযাদী কোনো শর্ত, আর না বালেগ হওয়া অথবা হুশ জ্ঞান থাকা। গোলামের ওপরও ওয়াজিব। কিন্তু তার মনিব তা দিয়ে দিবে। নাবালেগ ও পাগল ছেলেমেয়েদের ফিতরা তার বাপ-মা অথবা ওলী দিয়ে দেবে।
সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হওয়ার জন্য এটাও শর্ত নয় যে, মাল এক বছর স্থায়ী হতে হবে। বরঞ্চ সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পূর্বেও যদি কেউ ধন দৌলতের মালিক হয়, তাহলে তার ওপরও সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে।
৩৩১
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
মুকতাদী ইমামের পেছনে ক্বিরাত তথা সুরা ফাতিহা পাঠ করবেন কিনা......
মোজার উপর মাসেহ করার হুকুমঃ অজু আবশ্যক করে এমন অপবিত্রতা......
পবিত্রতা ঈমানের অংগ। আর এ পবিত্রতা অর্জনের উপকরন হলো পানি......
অজুর সময় যে সকল কাজ করা মুস্তাহাবঃ ১) পবিত্রতা লাভের......
নামাজরত অবস্থায় যে সকল কাজ করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়,......
ইহরাম অবস্থায় যে সকল কাজ করা বৈধ্যঃ ১) ছায়ায় বিশ্রাম......
যে সকল কারনে অজু ভংগ হয়-- ১) পেশাব পায়খানার রাস্তা......
ইহরাম অবস্থায় যে সকল কাজ করা বৈধ্য নয়ঃ ১) যৌনকর্মে......
নামাজের মাক্রুহ সমুহঃ ১) প্রচলিত নিয়মের বিপরীত কাপড় পরিধান করা।......
অজুর ফরজ চারটিঃ- ১) মুখমন্ডল ধৌত করা। ২) হস্তসমূহ কনুই......