কুরঅানের বাণী
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
সুরা আনফাল আয়াত ২
অর্থঃ সাচ্চা ঈমানদার তো তারাই আল্লাহকে স্মরণ করা হলে যাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে৷ আর আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পড়া হয়, তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা নিজেদের রবের ওপর ভরসা করে৷
ব্যাখ্যাঃ অর্থাৎ যখনই মানুষের সামনে আল্লাহর কোন হুকুম আসে এবং সে তার সত্যতা মেনে নিয়ে আনুগত্যের শির নত করে দেয় তখনই তার ঈমান বেড়ে যায়৷ এ ধরেনের প্রত্যেকটি অবস্থায় এমনটিই হয়ে থাকে৷ যখনই আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রসূলের হেদায়াতের মধ্যে মানুষ এমন কোন জিনিস দেখে যা তার ইচ্ছা, আশা-আকাংখা , চিন্তা-ভাবনা, মতবাদ,পরিচিত আচার-আচরণ, স্বার্থ, আরাম-আয়েশ ,ভালোবাসা, ও বন্ধুত্ব বিরোধী হয় এবং সে তা মেনে নিয়ে আল্লাহ ও রাসূলের বিধান পরিবর্তন করার পরিবর্তে নিজেকে পরিবর্তিত করে ফেলে এবং তা গ্রহণ করতে গিয়ে কষ্ট স্বীকার করে নেয় তখন মানুষের ঈমান তরতাজা ও পরিপুষ্ট হয়৷ পক্ষান্তরে এমনটি করতে অস্বীকৃতি জানালে মানুষের ঈমানের প্রাণ শক্তি নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকে৷ কাজেই জানা গেলো, ঈমান কোন অনড়, নিশ্চল, এ স্থির জিনিসের নাম নয়৷ এটা শুধুমাত্র একবার মানা ও না মানার ব্যাপার নয়৷ একবার না মানলে শুধুমাত্র একবারই না মানা হলো এবং একবার মেনে নিলে কেবলমাত্র একবারই মেনে নেয়া হলো এমন নয়৷ বরং মানা ও না মানা উভয়ের মধ্যে হ্রাস বৃদ্ধি রয়েছে৷ প্রত্যেকটি অস্বীকৃতির মাত্রা কমতেও পারে, বাড়তেও পারে৷ আবার এমনিভাবে প্রত্যেকটি স্বীকৃতি ও মেনে নেয়ার মাত্রাও বাড়তে কমতে পারে৷ তবে ফিকাহর বিধানের দিক দিয়ে তামাদ্দুনিক ব্যবস্থায় অধিকার ও মর্যাদা নির্দিষ্ট করার সময় মানা ও না মানার ব্যাপাটির একবারই গৌন্য করা হয়৷ ইসলামী সমাজে সকল স্বীকৃতি দানকারী (মুমিন) আইনগত অধিকার ও মর্যাদা সমান৷ তাদের মধ্যে মানার (ঈমান )ব্যাপারে বহুতর পার্থক্য থাকতে পারে৷ তাতে কিছু আসে যায় না৷ আবার সকল অস্বীকৃতিদানকারী একই পর্যায়ের যিম্মী বা হরবী(যুদ্ধমান) অথবা চুক্তিবদ্ধ ও আশ্রিত গণ্য হয়, তাদের মধ্যে কুফরীর ব্যাপারে যতই পার্থক্য থাক না কেন৷
৩১৯
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
হে অাল্লাহ কল্যাণ দান করুন রসূলুল্লাহ (স) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ......
হে তরুণ নামাজ পড়ুন হে তরুণ, অাপনি নামাজ কেন পড়েন......
অন্যের ঘরে প্রবেশকালে অনুমতি নিন অন্যের গৃহে প্রবেশকালে অনুমতি নেওয়া......
হতাশ হবেন না মহান আল্লাহ বলেন -হতাশ হয়ো না! উঠো,......
আলেমরাই বিশ্বস্ত পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ সাক্ষ্য......
অন্যের জন্যও দোয়া করুন উম্মু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি......
দূ'টি ঢোক অাল্লাহ তায়ালার নিকট অত্যন্ত প্রিয় - ১. ক্রোধের......
মহান আল্লাহ সমগ্র জমিনকে উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য মসজিদ হিসাবে নির্বাচন......
কুরঅান বুঝে পড়ুন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন: তিনি......
একে অপরকে ভালোবাসুন হযরত আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ......