সন্তানের সুশিক্ষা সুনিশ্চিত করুন
এম সোলাইমান কাসেমী
সন্তানকে সুশিক্ষা দেওয়া বাবা-মার অনাবশ্যকীয় কর্তব্য। এটি তাঁদের ইমানী দায়িত্ব হিসেবেও বিবেচিত। হযরত লোকমান (আ.) স্বীয় পুত্রকে যে মূল্যবান নসিহত করেছেন তাতে বলেছেন, অহংকার বশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কর না। পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে বিচরণ কর না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না। পবিত্র কোরআনে লোকমান (আ.)-এর এ নসিয়তের কথা বলা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে সন্তানকে সুশিক্ষা দেওয়া যে বাবা-মার কর্তব্য সে বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়েছে। হযরত আইউব ইবনে মুসা (রা.) থেকে তাঁর ও তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : কোনো পিতা তার সন্তানদের উত্তম আচার-ব্যবহারের চেয়ে অধিক ভালো কোনো জিনিস উপহার দিতে পারেনি (তিরমিজি থেকে মিশকাতে)। অর্থাৎ পিতা-মাতার পক্ষ থেকে সন্তানদের জন্য উত্তম রীতিনীতি, আচার-ব্যবহার ও সৌজন্যবোধ শিক্ষা দেওয়ার চেয়ে অধিক ভালো ও মূল্যবান আর কোনো উপহার-উপঢৌকন হতে পারে না। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মানুষ যখন মরে যায় তখন তার যাবতীয় কাজেরও পরিসমাপ্তি ঘটে।
কিন্তু তিন প্রকারের কাজ অব্যাহত থাকে। (১) সদকায়ে জারিয়া অর্থাৎ এমন দান-খয়রাত যার দ্বারা মানুষ দীর্ঘকাল ধরে উপকৃত হতে থাকে; (২) এমন ইলম (জ্ঞান-বিজ্ঞান) যা থেকে (মৃত্যুর পরও) ফায়দা পাওয়া যায় এবং (৩) এমন সৎ কর্মপরায়ণ সন্তান যে তার জন্য দোয়া করতে থাকে (মুসলিম থেকে মিশকাতে। )।
আমর ইবনে শুআইব (রা.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সাত বছর বয়স হলে তোমাদের সন্তানদের নামাজ পড়ার নির্দেশ দাও এবং ১০ বছর বয়স হওয়ার পর এ জন্য তাদের প্রহার কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও (আবু দাউদ থেকে মিশকাতে)। সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত করে তোলা উচিত। তাদের বুঝানো এবং মৌখিকভাবে তাগিদ করা সত্ত্বেও তারা যদি নামাজ পড়তে প্রস্তুত না হয় তবে তাদের ওপর প্রয়োজনে চাপ করা যেতে পারে। তারা ১০ বছরে পদার্পণ করার পর তাদের বিছানা পৃথক করে দিতে হবে। তখন তাদের পিতা-মাতার সঙ্গে এক বিছানায় শোয়ানো জায়েজ নয়। আল্লাহ আমাদের সবার সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন।
লেখক : এম.ফিল গবেষক,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
৩৩০
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
বাস্তবতা পশ্চিমারা বিচক্ষণ না। আমরাও বোকা নই। তারা সাপোর্ট করে......
অাসল বন্ধু প্রকৃত বন্ধু সে যার উপস্থিতি আপনাকে উজ্জীবিত করে।......
হযরত উম্মে হানী রা : উম্মে হানি রা.এর মূল নাম......
চুরি করা প্রসঙ্গে আদী ইবনে আমীরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি......
শাসকের জবাবদিহিতা (১) মোমের আলোয় কাজ করছিলেন খলিফা উমর (রা.)।......
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। অর্থ : অাল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য......
কিয়ামতের দিন কুরঅান তাঁর পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে হযরত রাসূলুল্লাহ......
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি......
অামলনামা পরিস্কার রাখতে ক্ষমা প্রার্থনা করুন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া......
খলিফা হযরত উমর (রাঃ) এর চিঠি... খলিফা হযরত উমর (রাঃ)এর......