১. গরীব ও দুর্বলদের কারণে রিযিক প্রদান করা হয় :
আল্লাহভীরু গরীব ও দুর্বল শ্রেণীর লোকেরা সমাজিকভাবে হেয় হলেও মহান আল্লাহর নিকটে মর্যাদাশীল এ শ্রেণীর কারণেই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের রিযিক দিয়ে থাকেন। সা‘দ (রাঃ) নিজেকে নিম্নশ্রেণীর লোকদের চাইতে অধিক মর্যাদাশীল মনে করলে রাসূল (ছাঃ) বললেন,هَلْ تُنْصَرُوْنَ وَتُرْزَقُوْنَ إِلاَّ بِضُعَفَائِكُمْ ‘তোমাদের দুর্বল লোকদের দো‘আয় তোমাদেরকে সাহায্য করা হয় ও রিযিক দেওয়া হয়’। বুখারী, মিশকাত হা/৫২৩২।
রাসূল (ছাঃ) আরো বলেছেন,ابْغُوْنِىْ ضُعَفَاءَكُمْ فَإِنَّمَا تُرْزَقُوْنَ وَتُنْصَرُوْنَ بِضُعَفَائِكُمْ ‘তোমরা দুর্বলদের মাঝে আমাকে অন্বেষণ কর। কেননা দুর্বলদের দো‘আর কারণেই তোমাদেরকে রিযিক প্রদান করা হয় এবং সাহায্য করা হয়’। আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫২৪৬, সনদ ছহীহ।
২. জান্নাতের অধিবাসীদের অধিকাংশ সম্পদহীন গরীব :
সাধারণত সম্পদশালীদের কমসংখ্যকই আল্লাহভীরু হয়ে থাকে। বরং এদের অধিকাংশই হয় উদ্ধত অহংকারী। ধরাকে করে সরা জ্ঞান। আখেরাতে পুনরুত্থান,হিসাব-নিকাশ, পুলছিরাত ও জান্নাত-জাহান্নাম নিয়ে তাদের কোন ভাবনা-চিন্তা নেই। দুনিয়া নিয়েই এরা মহাব্যস্ত। অথচ এই সাধারণ জ্ঞানটুকু তাদের ঠিকই আছে যে,দুনিয়া চিরস্থায়ী নয়। যেকোন সময় এখানে বিদায়ের ঘণ্টা বেজে যাবে। তারপরও আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই।ফলে চূড়ান্ত বিচারে তারা হবে চরমভাবে ব্যর্থ। জ্বলন্ত হুতাশনে জীবন্ত পুড়বে যুগ যুগ ধরে।
অপরদিকে আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যশীল ব্যক্তি দুনিয়াতে গরীব ও দুর্বল হলেও আখেরাতের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সে হবে সফলকাম। প্রবেশ করবে চির শান্তির আবাস জান্নাতে। ভোগ করবে অসংখ্য নাজ ও নে‘মত। উল্লেখ্য যে,সমাজের এই গরীব-মিসকীন ও দুর্বল শ্রেণীই অধিকহারে আল্লাহর বিধানের প্রতি আনুগত্যশীল হয়। ফলে জান্নাতের অধিকাংশ অধিবাসীও হবে তারাই। ডান হাতে আমলনামা পেয়ে আনন্দচিত্তে সেদিন বলে উঠবে,
فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَيَقُولُ هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ ﴿١٩﴾ إِنِّي ظَنَنتُ أَنِّي مُلَاقٍ حِسَابِيَهْ ﴿٢٠﴾ فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ ﴿٢١﴾ فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٍ ﴿২২﴾ قُطُوفُهَا دَانِيَةٌ ﴿٢٣﴾ كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئًا بِمَا أَسْلَفْتُمْ فِي الْأَيَّامِ الْخَالِيَةِ ﴿٢٤﴾যাদেরকে তার আমল নামা ডান হাতে দেয়া হবে তারা বলবে-‘পড়ে দেখ আমলনামা। নিশ্চয়ই আমি জানতাম যে, আমাকে হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে। অতঃপর সে সুখী জীবন যাপন করবে। সুউচ্চ জান্নাতে। যার ফলসমূহ থাকবে অবনমিত। (বলা হবে) বিগত দিনে তোমরা যা প্রেরণ করেছিলে তার প্রতিদানে তৃপ্তি সহকারে খাও এবং পান কর’ (হাক্কাহ ৬৯/১৯-২৪)।
৩৭২
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
এখলাস বা এক নিষ্টতার সারকথা হচ্ছে, স্বীয় আমল ও ইবাদতের......
عن ابي هريرة رضي الله عنه ان رسول الله صلي......
হযরত আলী (রা:) থেকে বর্ণিত - হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম......
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলে আরাবী......
আল্লামা সমরকন্দি (রাঃ) তার বিখ্যাত কিতাব তানবিহুল গাফিলিনের মধ্যে লিখেন......
হুজুর সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়াসাল্ললা ফরমাান- বেহেশতে আফযাহ ( প্রশস্থ) নামক......
عن العباس ابن عبد المطلب قال قال رسل الله صلي......
হযরত নাওয়াস ইবনে সাময়ান( রা:)একে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রাসুুল্লাহ......
কারোপ্রতি ভালবাসা না থাকলে কারো আনুগত্য করা যায় না। আর......
মাওলানা আব্দুল হাই লৌকনভী বলেন- একদা হযরত আব্বাস (রা:) জিজ্ঞাসা......