আসুন জুমার দিনের ফজিলত জেনে নিই
১. সূর্য উদিত হয় এমন দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হলো সর্বোত্তম।
হাদিসের ভাষ্য মতে, এদিনে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। যথা-
(ক) এ দিনে আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়।
(খ) এ দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ
করানো হয়।
(গ) একই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের
করে দেয়া হয়।
(মুসলিম : ৮৫৪)।
(ঘ) একই দিনে তাকে দুনিয়ায় পাঠানো হয়।
(ঙ) এ দিনেই তার তওবা কবুল করা হয়।
(চ) এ দিনেই তার রূহ কবজ করা হয়।
'(আবু দাউদ : ১০৪৬)।
(ছ) এ দিনে শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে।
(জ) এ দিনেই কেয়ামত হবে।
(ঝ) এ দিনেই সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে। আবু দাউদ : ১০৪৭।
(ঞ) প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতা,
আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত ও সমুদ্র এ
দিনটিকে ভয় করে। ইবনে মাজাহ ১০৮৪।
২. উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এটি একটি মহান দিন। এ জুম্মার দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদি-নাসারাদের ওপর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এ দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদিরা শনিবারকে আর খ্রিস্টানরা রোববারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল।
অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফজিলতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদি তা গ্রহণ করে নিয়েছে। বোখারি : ৮৭৬।
৩. জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ : ১০৯৮)।
৪. জুমার দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন। (ইবনে মাজাহ : ১০৮৪)।..
৫. জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তাই তাকে দেয়া হয়। (এ সময়টি গোপন রাখা হয়েছে- তবে এক হাদীস অনুযায়ী) এ সময়টি হলো জুমার দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।
মুসলিম : ৮৫২।
৬. জুমার রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি মারা
যায় আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের
ফেতনা থেকে রক্ষা করবেন।
তিরমিজি :
১০৭৮।
৭. জান্নাতে প্রতি জুমার দিনে
জান্নাতিদের হাট বসবে। জান্নাতি
লোকেরা সেখানে প্রতি সপ্তাহে একত্রিত
হবেন। তখন সেখানে এমন মনোমুগ্ধকর
হাওয়া বইবে, যে হাওয়ায় জান্নাতিদের
সৌন্দর্য অনেকগুণে বেড়ে যাবে এবং
তাদের স্ত্রীরাতা দেখে অভিভূত হবে।
অনুরূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি স্ত্রীদের বেলায়ও
হবে। মুসলিম :২৮৩৩।
৮. যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ পড়বে,
আল্লাহ তায়ালা তার জন্য দুই
জুমারমধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে
দেবেন। জামেউস সাগির : ৬৪৭০।
৯. যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফের
প্রথম ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের
ফেতনা থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে।
মুসলিম।
১০. প্রত্যেক সপ্তাহে জুমার দিন আল্লাহ
তায়ালা বেহেশতি বান্দাদের দর্শন
দেবেন। সহিহুত তারগিব।
১১. এই দিনে দান-খয়রাত করার সওয়াব অন্য
দিনের চেয়ে বেশি হয়। ইবনুল কায়্যিম
বলেছেন, অন্য মাসের তুলনায় রমজান
মাসের দানের সওয়াব যেমন বেশি, তেমনি
শুক্রবারের দান-খয়রাত অন্য দিনের তুলনায়
বেশি। জাদুল মায়াদ।
১২. ইবনুল কায়্যিম আরও বলেছেন, অন্য
মাসের তুলনায় রমজান মাসের মর্যাদা
যেমন,সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায়
জুমা বারের মর্যাদা ঠিক তেমন। তাছাড়া
রমজানের কদরের রাতে যেমনভাবে দোয়া
কবুলহয়, ঠিক তেমনি শুক্রবারের সূর্যাস্তের
পূর্বক্ষণেও দোয়া কবুল হয়। জাদুল মায়াদ :
১/৩৯৮।
১৩. হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু
আনহুথেকে বর্ণিত আছে যে,
রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি জুমুয়ার দিন সূরা
কাহফ পড়বে তার দুই জুমুয়ার মধ্যবর্তী সমগ্র
সময় জুড়ে তার ওপর আল্লাহর জ্যোতি
বর্ষিত হতে থাকবে”। নাসায়ী, বাইহাকী।
হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দাও, আমাদের থেকে সকল মন্দ দূর করে দাও এবং আমাদের নেক লোকদের সাহচার্য দান কর।" সূরা আল ইমরান ১৯৩।
৪১৯
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
নবীজির বিদায় হজ্জের ভাষন। নবীজি উনার ভাষনে বলে গিয়েছিলেন যাতে......
নির্বাচিত ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে অাখিরাতে শুভ পরিণাম যারা তাদের রবের......
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন- "নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দেহ......
গবেষণা বার্তা-০৫ মহাগ্রন্থ অাল-কুরঅান মানব জীবনের একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান......
মিসওয়াক করার গুরুত্ব প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “আমি উম্মতের জন্য......
মক্কা-মদিনার দুর্লভ কিছু তথ্য পবিত্র মক্কা ও পবিত্র মদিনা শরিফে......
জীবনে তিনটি কথা অান্তরিকতার সাথে মনে রাখবেন.... ১. যে অাপনাকে......
ঈমানের স্বাদ গ্রহণ করুন আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু......
রাসূল সা: বলেন - সবচেয়ে উত্তম মাহরানা হচ্ছে তা, যা......
ইফতারের সুন্নত ও ফজিলত ইফতার আরবি শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো......