সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

দোয়া কবুল না হওয়ার কারণগুলো জেনে রাখি
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : সোমবার ১৬/১০/২০১৭

দোয়া কবুল না হওয়ার কারণগুলো জেনে রাখি 

কিছু পাপ আছে যা বান্দার মাঝে উপস্থিত থাকলে তার দুয়া কবুল হওয়ার জন্য বাঁধা হয়ে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে, এই পাপগুলো এড়িয়ে চলতে হবে, যদি কেউ চায় তার দুয়া কবুল করা হোক।
# দোয়া_কবুলের_অন্তরায়_সমূহঃ
হারাম খাদ্য, হারাম পানীয় ও হারাম বস্ত্রঃ
-
কেউ হারাম কোনো খাবার খেলে বা কারো খাবার হারাম টাকায় কেনা হলে, পোশাক হারাম বা হারাম টাকায় কেনা হলে আল্লাহ ঐ অবস্থায় তার দুয়া কবুল করেন না।
-
রাসূলুল্লাহ ‏( ﷺ ) বলেছেন, “হে মানব সকল! আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র বস্তু ছাড়া কোনো কিছু গ্রহণ করেন না। তিনি এ ব্যাপারে মুমিনদের সে নির্দেশই দিয়েছেন যে নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন রাসুলদেরকে। আল্লাহ বলেছেন, “হে রাসুলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর ও সৎকর্ম কর, তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।” আর আল্লাহ (মুমিনদেরকে উদ্দেশ্য) করে বলেছেন, “হে মুমিনগণ! তোমাদের আমি যেসব পবিত্র বস্তু দিয়েছি, তা হতে আহার কর।” একথা বলার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এমন এক ব্যক্তির কথা বললেন, যে ব্যক্তি দীর্ঘ সফর করে মাথার চুলগুলোকে এলোমেলো করেছে এবং পদযুগল ধুলায় ধূসরিত করেছে। অতঃপর আকাশের দিকে হাত তুলে দুয়া করে, হে আমার প্রভু! হে আমার প্রভু! কিন্তু তার খাদ্য হারাম, তার পোশাক হারাম, তার শরীর গঠিত হয়েছে হারাম দিয়ে, কিভাবে তার দুয়া কবুল করা হবে ”?
(সহীহ মুসলিম)
সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ বর্জন করাঃ
-
মানুষকে ভালো কাজের দিকে আহবান না করলে বা খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে না বললে অর্থাৎ দাওয়াত ও তাবলীগে অবহেলা করলে তার দুয়া আল্লাহ কবুল করেন না।
-
রাসূলুল্লাহ ‏( ﷺ ) বলেছেন, “তোমরা অবশ্যই সৎকাজের আদেশ করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে। আর যদি তোমরা তা না করো, আল্লাহ তোমাদের প্রতি শাস্তি নাযিল করবেন অতঃপর তোমরা দুয়া করবে, কিন্তু তিনি তা কবুল করবেন ”না।
(তিরমিজী)
দোয়া কবুলে তাড়াহুড়ো করাঃ
-
অনেকে কিছুদিন দোয়া করার পরে আল্লাহর বিশেষ কোনো হেকমত অনুযায়ী দোয়া কবুল হতে দেরী হলে তাড়াহুড়া করে বা হতাশ হয়ে পড়ে। অভিযোগ করা শুরু করে দেয়, কই এতো দোয়া করলাম, আল্লাহ দোয়া কবুল করেন না। আল্লাহ মনে হয় আমাদের কথা শুনেন না। (নাউযুবিল্লাহ! নাফরমানী ও কুফুরী কথা)। এমন কথা বলার শাস্তিস্বরূপ সত্যিই আল্লাহ তার দোয়া আর কবুল করেন না। এইজন্য ধৈর্য ধরে দোয়া করে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে জাকারিয়া (আঃ) অনেক বছর দোয়া করার পরে তাঁর দোয়া কবুল হয়েছিলো, তিনি পুত্র সন্তান পেয়েছিলেন একেবারে বৃদ্ধ বয়সে। তিনি ছিলেন আল্লাহর নবী, আর আমরা নিশ্চয়ই তাঁর থেকে উত্তম না। এইজন্য অবস্থা যাইহোক, ধৈর্য ধরতে হবে ও মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর কাছে আশা রেখে দোয়া করে যেতে হবে।
-
রাসূলুল্লাহ ‏( ﷺ ) বলেছেন, “বান্দার দোয়া সর্বদা কবুল করা হয়, যদি সে দোয়াতে পাপ অথবা আত্মীয়তার সম্পর্কের ছিন্ন করার কথা না বলে এবং তাড়াহুড়ো না করে। জিজ্ঞেস করা হল হে আল্লাহর রাসুল! তাড়াহুড়ো বলতে কি বুঝায়? তিনি বললেন, দুয়াতে তাড়াহুড়া হল, প্রার্থনাকারী বলে আমিতো দোয়া করলাম কিন্তু কবুল হতে দেখলাম না। ফলে সে নিরাশ হয় ও ক্লান্ত হয়ে দোয়া করা ছেড়ে দেয়। ”
(সহীহ মুসলিম)
-
দোয়াতে এ ধরনের তাড়াহুড়া করা আল্লাহ অপছন্দ করেন।
-
যেমন তিঁনি বলেছেন, “আর মানুষ অকল্যাণের দোয়া করে, যেভাবে সে কল্যাণের দোয়া করে, তবে মানুষ তো অতিমাত্রায় ত্বরা প্রিয়।”
(আল ইসরাঃ ১১)
-
তবে দোয়ার ভিতরে এ কথা বলা নিষেধ নয় যে, হে আল্লাহ এটা আমাকে খুব তাড়াতাড়ি দিয়ে দাও। দোয়াতে তাড়াহুড়া করার অর্থ হল, দোয়া করে কেন এখনো দোয়া কবুল হলো না, এমন ভাবনা নিয়ে ক্লান্ত হয়ে দোয়া করা ছেড়ে দেয়া।
অন্তরের উদাসীনতাঃ
-
মুখে দোয়া করে আর যদি দোয়ার প্রতি অন্তর উদাসীন থাকে, তাহলে দোয়া কবুল হয় না। অর্থাৎ যে দোয়া করে সে শুধু মুখে মুখে দোয়া করে, কিন্তু দোয়া কবুল হবে এমন দৃঢ় আশা, বিশ্বাস বা আল্লাহর প্রতি আস্থা নাই (নাউযুবিল্লাহ)! যেমন হাদীসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দোয়া কবুল হবে এই দৃঢ় বিশ্বাস রেখে তোমরা দোয়া করবে। এবং জেনে রাখ আল্লাহ কোনো উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা কবুল করেন না।”
(তিরমিজী, হাকেম, হাদীস সহীহ, সিলসিলাহ সহীহাহঃ ৫৯৪)
-
অতএব দোয়ায় যা কিছু বলা হবে, তার প্রতি অন্তরের একনিষ্ঠ ভাব থাকতে হবে। মুখে যা বলা হল, মন তার কিছুই বুঝল না। আবার অন্তর বুঝল ঠিকই, কিন্তু তার কথার প্রতি একাগ্রতা ছিল না, মনে ছিল অন্য চিন্তা-ভাবনা। তাহলে এ দোয়াকে বলা হবে উদাসীন অন্তরের প্রার্থনা। যা আল্লাহ কবুল করেন না।
ব্যক্তিত্বের এক বিশেষ ধরনের দুর্বলতাঃ
-
কিছু চারিত্রিক ত্রুটির কারণেও দোয়া কবুল করা হয়না। যেমন
-
রাসূলুল্লাহ ‏( ﷺ ) বলেছেন, “তিন ব্যক্তি এমন যে তাদের দুয়া কবুল করা হয় না।
❏ যে ব্যক্তির অধীনে দুশ্চরিত্রা নারী আছে কিন্তু সে তাকে তালাক দেয় না।
❏ যে ব্যক্তি অন্য লোকের কাছে তার পাওনা আছে কিন্তু সে তার স্বাক্ষী রাখেনি।
❏ যে ব্যক্তি নির্বোধ ব্যক্তিকে সম্পদ দিয়ে দেয় অথচ আল্লাহ বলেন, “তোমরা নির্বোধ লোকদেরকে তোমাদের সম্পদ দিও না। ”
(হাকেম ও তাহাবী, হাদীস সহীহ, সহীহুল জামিঃ ৩০৭৫)

১৭৪৩

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭