সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

বিশ রাকা'ত তারাবী নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসন।শেখ মুহাম্মদ মোশাহিদ আলী
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : বুধবার ২৩/০৫/২০১৮

তারিখঃ- ১৭।০৫।২০১৮ ইং

আমি শিক্ষক বাতায়নে ১৪।০৫।১৮ ইং তারিখে পবিত্র মাহে রামাদ্বান উপলক্ষে দাখিল নবম- দশম শ্রেণীর আক্বাইদ ও ফিক্বহ এর তারাবীহ সালাত বিষয়ক কন্টেন্ট আপলোড করি । একজন শিক্ষক আমার মেসিঞ্জারে আব্দুর রহিম সালাফি নামক একজন হাফ হাতা পাঞ্জাবী ওয়ালা মৌলভীর একটি ভিডিও পাঠান । উক্ত মৌলভী সাহেব ভিডিওতে তারাবীহ বিষয়ে উল্টাপাল্টা অনেক বক্তব্য পেশ করেছেন । উনার একটা হাত সাদা কাপড়ে গলের সাথে বাঁধা । মৌলভীর বক্তব্য শোনে আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়েছি । তিনি বলতে চেয়েছেন, তারাবীহ নামে কোন নামাজ রামাদ্বানে আদৌ নেই । তারপরে তিনি রাকাআত সংখ্যা নিয়ে বিশুদ্ধ হাদীছ শুনিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে চেয়েছেন রামাদ্বানের ক্বিয়ামুল লাইল ৮ রাকাআত । বিশ রাকআতের বিষয়টিকে তিনি সম্পূর্ণ ভুল আখ্যা দিয়েছেন অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে । তাই সংগত কারণেই এ বিষয়ে আমি কলম হাতে নিতে বাধ্য হলাম ।

প্রথমতঃ আমরা দেখি তারাবীহ কি ?

ছয়খানা বিশুদ্ধ হাদীছ গ্রন্থের দ্বিতীয় কিতাব সহীহ মুসলিম শরীফের পঞ্চম জুজ -باب الترغيب في قيام رمضان وهو التراويح অর্থাৎ রামাদ্বান শরীফের ক্বিয়াম সেটাই তারাবীহ নামাযের উৎসাহ প্রদান অধ্যায়” ৩৭ পৃষ্টা ১৭৪ নং হাদীছে উল্লেখ আছে-عن ابي هريرة قال كان رسول الله صلي الله عليه وسلم يرغب في قيام رمضان من غير ان يامرهم فيه بعزيمة فيقول من قام رمضان ايمانا و احتسبا غفر له ما تقدم من ذنبه" فتوفي رسول الله صلي الله عليه وسلم والامر علي ذالك ثم كان الامر علي ذالك في خلافة ابي بكر و صدرا من خلافة عمر علي ذالك .অর্থাৎ হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ)হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রামাদ্বান মাসে তারাবীহ নামাজ আদায় করার জন্য উৎসাহিত করতেন । তবে দৃঢ়তার সাথে আদেশ করেন নি । বরং তিনি এভাবে নসিহত করতেন,যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমানের সাথে ও সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে রামাদ্বানে তারাবীহ সালাত পড়বে,তার পূর্বের গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে । অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করলেন । অবস্থা এভাবেই চলছিল । অতঃপর হযরত আবুবকর ছিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফত কালেও এভাবেই চলছিল এবং হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফতের প্রথম কালের কিছুদিন এভাবে ই চলছিল”। হাদীছে পরিলক্ষিত হয় যে,রামাদ্বানে দয়াল নবীজি রাতে নামাজের জন্য মানুষকে  উৎসাহিত করেছেন । আর ইমাম মুসলিম এ নামাজকে তারাবীহ সালাত বলেছেন । তারাবীহ অর্থ – বিশ্রাম , যেহেতু দুই দুই করে প্রতি চার রাকাত পর পর একবার বিশ্রাম নেয়া হয় এভাবে পাঁচ বারে বিশ রাকা’ত সালাত কে  তারাবীহ এর নামাজ বলা হয় ।  সুতরাং হাদীছে রামাদ্বানের ক্বিয়াম বলতে তারাবীহ নামাযকেই বুঝানো হয়েছে । এখন যদি আমরা বলি তারাবীহ নামায নামে কোন নামাজ নাই “। তাহলে আমাদের কোন মৌলভীর কথা গ্রহনযোগ্য হবে ? না ইমাম মুসলিম রাহমাতুল্লাহি আলাইহির কথা গ্রহনযোগ্য হবে ? লক্ষ লক্ষ হাদীছের হাফিজের সাথে বর্তমানের কোন মৌলভীর বৈশাদৃশ্য অকাল কুষ্মাণ্ড এর লম্পঝম্প নয় কি ? মুসলিম শরীফের তৃতীয় জিলদের তারাবীহ নামাজের উৎসাহ প্রদানের অধ্যায়ে ৩৭ নং পৃষ্ঠায় ৭৬১ নং হাদীছে আছে -عن عاءشة ان رسول الله صلي الله عليه وسلم صلي في المسجد ذات ليلة فصلي بصلاته ناس ثم صلي من القابلة فكثر الناس ثم اجتمعوا من الليلة الثالثة او الرابعة فلم يخرج اليهم رسول الله عليه وسلم . فلما اصبح قال رايت الذي صنعتم فلم يمنعني من الخروج اليكم الا اني خشيت ان تفرض عليكم قال وذالك في رمضان অর্থাৎ হযরত আয়েশা থেকে বর্ণিত নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়য়াসাল্লাম রামাদ্বানের কোন রাতে তারাবীহ নামাজ পড়েছেন সাহাবীগণ ও হাবীবে খোদার সাথে নামাজ পড়েছেন । অতঃপর দ্বিতীয় রাত নামাজ পড়া অবস্থায় অনেক সাহাবায়ে কেরাম জামাতে শরিক হলেন। এরপর তৃতীয় বা চতুর্থ রাতে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে তাশরিফ আনলেন না । তারপর ভোর বেলায় হাবীবে খোদা এরশাদ করলেন –আমি দেখেছি তোমরা যা করেছে (অর্থাৎ তোমাদের তারাবীহ নামাজ পড়া আমি দেখেছি) কিন্তু আমি তোমাদের কাছে এ ভয়ে আসিনি যে ,তোমাদের উপর তারাবীহ নামাজ ফরয হয়ে যায় কিনা ।

দেখুন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়য়াসাল্লাম তারাবীহ নামাজ জামাত সহ কারে সাহাবাগণকে নিয়ে পড়েছেন। অতঃপর উম্মতের কষ্ট লাগবের জন্যই নিয়মিত জামা’তে আসেন নি এ জন্য যে, এ নামাজ উম্মতের উপর ফরয হয়ে যায় কি না । তাহলে উম্মতের জন্য কষ্ট হবে ।

 তাই পরবর্তি যুগে হযরত উমর (রাঃ) এর খেলাফতের শেষের দিকে তার ই হুকুমে উবাই ইবনে কা’বের পিছনে সাহাবাগণকে জামাত বদ্ধভাবে তারাবীহ নামাজের প্রচলন করে হযরত উমর (রাঃ) বলেছেন- نعم البدعةة هذه অর্থাৎ এ একটা উত্তম বিদা’ত। (বোখারী শরীফের ১৮৭১ নং হাদীছ দ্রষ্টোব্য।)

সহীহ মুসলিম শরীফের বর্ণনায় আমরা দেখতে পাই নবীজি তারাবীহ নামাজ জাম’ত সহকারে পড়েছেন যদিও রাকাত সংখ্যা নির্দিষ্ট নেই । আবার বোখারী শরীফের পূর্বোক্ত হাদীছ দ্বারা বুঝলাম হযরত উমর (রাঃ) এ নামাজকে একজন ইমামের পিছনে লোকজনকে একত্রিত করে পড়ার প্রচলন করেছেন । হাফিজে কবির আবু বকর আব্দুর রাজ্জাক আসসান আনি(জন্ম১২৬ ইন্তিকাল ২১১ হিজরী) তদীয় মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক নামক কিতাবের চতুর্থ জিলদের ২৬১-’৬২ পৃষ্টায় ৭৭৩৩ নং হাদীছে সহীহ হাদীছ উল্লেখ করেন -عن عبد الرزاق عن الاسلامي عن الحارث بن عبد الرحمان بن ابي ذباب عن الساءب بن يزيد قال كنا ننصرف من القيام علي عهد عمر و قد دنا فروع الفجر و كان القيام علي عهد عمر ثلاثة وعشرين ركعة অর্থাৎ সাঈব ইবনে ইয়াজিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন-আমরা হযরত উমর (রাঃ) এর খেলাফত কালে ফজর উদয় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তেইশ অর্থাৎ বিশ রাকা’ত তারাবীহ ও তিন রাকা’ত বেতের নামাজ আদায় করতাম । উল্লেখ্য যে ,সিহাহ সিত্তা ছাড়া ও আরো অনেক হাদীছের কিতাবে সন্দেহাতীত বিশুদ্ধ হাদীছ রয়েছে এটা হাদীছ বেত্তাগণের কাছে স্বীকৃত । উল্লেখিত হাদীছ খানা সে বিশুদ্ধ হাদীছ সমূহের ই একটি হাদীছ ।যেখানে সাহাবার বর্ণনা দ্বারা হযরত উমরের সুন্নাতের উপর সাহাবাগণের ঐক্যমত্য প্রতিষ্টিত হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট । এছাড়া ও ইমাম বায়হাক্বী সুনানুল কুবরা নামক কিতাবের ৪৯৬ পৃষ্টায় অনুরূপ বর্ণনার দুখানা বিশুদ্ধ হাদীছ উল্লেখ করেছেন ।শেষের হাদীছে বলেছেন বিশ রাকাত তারাবীহের পর হযরত আলী (রাঃ) বিতির পড়িয়েছেন । অনুরূপ ইমাম বোখারীর উস্তাদ ছয় লক্ষ হাদীছের হাফেজ আলী ইবনে জা’দ(জন্ম ১৩৪হিঃ ইন্তিকাল ২৩০ হিজরী) مسند ابن الجعد নামক হাদীছের কিতাবে ৪১৩ পৃষ্ঠা ২৮২৫ নং হাদীছে উল্লেখ করেন-حدثنا علي انا ابن ذءبعن يزيد بن خصيفة عن الساءب بن يزيد قال كانوا يقومون علي عهد عمر في شهر رمضان بعشرين ركعة وان كانوا ليورءون بالمءتين من القران অর্থাৎ আমার নিকট হাদীছ বর্ণনা করেছেন আলী ইবনে জা’দ।তিনি তার উস্তাদ ইবনে আবি জিঈব থেকে ।তিনি সাঈব ইবনে ইয়াজিদ থেকে ।সাঈব ইবনে ইয়াজিদ সাহাবী (রাঃ) বলেন –আমরা সাহাবায়ে কেরানগণ হযরত উমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফত কালে রামাদ্বান মাসে বিশ রা’কাত তারাবীহ সালাত আদায় করতাম । এহাদীছ বিশুদ্ধতার দৃষ্টীকোণ থেকে সন্দেহাতীত । কলেবর বৃদ্ধি হবার ভয়ে বিশুদ্ধ হওয়ার বিস্তারিত উল্লেখ করা সম্ভব হল না ।

এবার বলুন হযরত উমর প্রবর্তিত এ সুন্নাত যদি ঐক্য মত নাহত তাহলে হযরত উমরের পর হযরত উসমান তার পর হযরত আলী রাদীয়াল্লাহু আনহুমা কি তার ব্যপারে আপত্তি করতেন না ? কিন্তু তারা কেউ আপত্তি করেন নি বলেই ইমাম আবু হানিফা সহ অপরাপর ইমামগণ হাদীছ গুলোর তার তম্য বিচার করে ই বিশ রাকাত তারাবীহ নামাজের উপর রায় দিয়েছেন । প্রায় পোনে চৌদ্দশ’ বছর পর্যন্ত বিনা আপত্তিতে সাহাবাগণ সহ উম্মতে মুহাম্মদী কর্তৃক পালিত এবং উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বিধিবদ্ধ এ সুন্নাত কে অবলিলাক্রমে পালন করে আসছেন । আর বর্তমানে মাথামোটা কিছু আলেম বেশধারী লোক এর উপর আপত্তি উত্থাপন করে তারা কার এজেন্ডা বাস্থবায়িত করতে চায় ?

এবার বলতে পারেন কিয়ামুল্লাইল বিষয়ে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত বোখারীর সহীহ হাদীছ গুলো উল্লেখ কেন করিনি যেখানে আট রাকাত ক্বিয়ামুল লাইলের কথা বলা হয়েছে ? হা হাদীছ গুলো সহীহ ।কিন্তু এটা তারাবীহ সালাতের কথা নয় । তাহাজ্জুদের বর্ণনা । যেহেতু হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নবীজিকে হুজরায় নামাজ পড়তে দেখেছেন । কিন্তু সহীহ মুসলিম শরীফের বর্ণনায় আয়েশা (রাঃ)থেকেই  মসজিদে নবীজি তারাবীহ কিভাবে পড়েছেন আমরা আলোচনা করেছি ।সেটাও বিশুদ্ধ হাদীছ ।তাছাড়া বোখারী শরীফের বর্ণনার হাদীছ গুলো দ্বারা রাকা’ত সংখা নির্ধারনের কোন ই সুযোগ নাই । কারন এক বর্ণনায় ১১ অন্য হাদীছে ১৩ আবার ১০ রাকা’তের কথা বর্ণিত হয়েছে । আর হযরত উমর ফারুক (রাঃ) কর্তৃক জামাতবদ্ধ ও রাকাত সংখা নির্ধারিত করার এ সুন্নাতে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তার যুগ থেকে সকল সাহাবী রিদ্বওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাইন বিনা দ্বিধায় পালন করেছেন । এটা ইজমায়ে উম্মত ও বটে । তাই উসুল শাস্ত্রের নিয়মানুযায়ী বর্তমান যুগে আপত্তি উত্থাপন ও গ্রহন করার সুযোগ নাই । ফিক্বহ বিদ মানেই এ সহজ সত্য টি সবাই মানেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় হল হাইব্রিড মার্কা কিছু বাংলা বই পড়ুয়া মুফতিগণ টেলিভিশন ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় হৈ হুল্লোড় শুরু করেছেন । ভাব খানা এমন যে, তারা ইমামগণ থেকেও বেশী জেনে ফেলেছেন ! সহজ পদ্ধতি হল তাদের কে জায়গায় দাঁড় করিয়ে বলুন একশ হাদীছ সনদ সহ মূখস্থ বলুক । পারবেনা অতি অবশ্য ই । তখন বলুন লক্ষ হাদীছ মূখস্থ এবং বাচ বিচার করার ক্ষমতা সম্পন্ন ইমামগণের বিরোদ্ধে কোন সাহসে কথা বল ? দেখবেন সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে । আল্লাহ আমাদের কে শিখিয়েছেন  -اهدنا الصراط المستقيم .صراط الذين انعمت عليهم অর্থাৎ হে আল্লাহ ! আমাদের কে সরল-সঠিক পথ দেখাও । তাদের পথ যাদের উপর তুমি অনুগ্রহ প্রদান করেছ । (সূরা ফাতিহা )

নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা গণের পথকে আল্লাহ সরল সঠিক পথ বলেছেন । যারা নিজেদের জীবনকে কোরআন হাদীছের অতলান্ত সাগরে অবগাহন করিয়ে আমাদের জন্য বিশাল জ্ঞানের ভান্ডার রেখে গেলেন তারা কি নিয়ামত প্রাপ্ত নন ? আল্লামা ইবনুল জাদ ছয় লক্ষাধিক হাদীছের হাফেজ । ইমাম বোখারীর উস্তাদ ।ইমাম আযম আবু হানিফা প্রায় দশ লক্ষ হাদীছের হাফেজ ।ইমাম আহমদ  ,ইমাম শাফেয়ি,ইমাম মালেক সকলেই হাফিজুল হাদীছ ছিলেন । কোরআনের পূর্ণ জ্ঞান ও হাদীছের এদিক ওদিক বিবেচনায় এনে তাত্ববিক বা সমাধানের যোগ্যতায় ছিলেন পারংগম । আর আমরা ? এক দুই টা হাদীছ দেখলে বা জানলেই মনে করি নাজানি কি আমি জেনে ফেলেছি ! নাছির উদ্দীন আলবানী ,ইবনে তাইমীয়া, আর আব্দুল ওয়াহাব নজদী ও ইবনে ক্বায়্যিমের মত ভ্রষ্টদের কিছু মতবাদ কে ইসলাম মনে করে তাদের লেখাকে চুড়ান্ত মেনে ইসলামের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে আজ শায়েখ আর মাদানী, নায়েকদের  বিবেকে বাঁধে না । কোথায় সাহাবী ও চার ইমাম গণের দিকদর্শন । আর কোথায় এদের ফেতনা ! একজন তো আমাকে বলেই ফেললেন “আমি আপনার কোন ইমামের কেউ নই । ইবনে কাইয়্যেমের বই’ নবীজি নামাজে কোথায় হাত বাধতেন’ পড়ে নাভীর উপর থেকে এখন বুকের উপর  হাত বাধি”। আমি তার কথায় মনে মনে ভাবলাম -আমার এ বন্ধু যদি আরো কিছু পড়েন তাহলে হাত উপরে নিতে নিতে  নাজানি কোথায় নিয়ে যে বাঁধেন আল্লাহ ই মালুম!

৫৫৭

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭