আজ আমাদের এ বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয় শোভা যাত্রা দিয়ে। এ শোভা যাত্রা স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক অংগনে। তাই অতি উতফুল্যের আবেশে ঘোষণা হয়ে গেছে এ মংগল শোভা যাত্রা উদযাপন করতে হবে আবশ্যিক ভাবে। হিন্দু মুসলিমের ফরাক এখানে নেই। অপরদিকে বাংলা মায়ের দামাল ছেলে মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মোড়ে সুনির্দিষ্ট আনন্দ উদযাপনের স্থলে মিলিত হয় বাধ ভাংগা জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়ে। থাকেনা বোধ বিবেচনার সামান্য আবহ। হারিয়ে যায় উত্তাল আনন্দে অনৈতিক উচ্ছাসে। অঘটন ঘটে কত, তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু একটি বারের জন্য মুসলিম হিসেবে আমাদের চিন্তায় ই আসেনা যে, এ বাংলা নববর্ষ মুসলিম ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ এক ইতিহাস। মুসলিম কর্তৃক উদ্ভুত এক সংস্কৃতির নাম বাংলা নববর্ষ।
ইরানের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতুল্লাহ সিরাজী মোগল সম্রাট বাদশা আকবরের নির্দেশ ক্রমে ফসলি সন প্রবর্তন করার জন্য ঘবেষণা করেন। তিনি হিজরী চান্দ্র বর্ষপঞ্জিকে সৌর বর্ষপঞ্জিতে রূপান্তরিত করেন। ৯৯৮ হিজরী মোতাবেক ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবর এ হিজরী সৌরবর্ষপঞ্জি প্রবর্তন করেন। তিনি উনত্রিশ বছর পূর্বে তার সিংহাসনে আরোহনের বছর থেকে নুতন পঞ্জিকার সূচনা তারিখ নির্ধারণের নির্দেশ প্রদান করেন। এ জন্য ৯৬৩ হিজরী সন থেকে বংগাব্দ গননা শুরু হয়। আগে বংগে প্রচলিত শতাব্দ চৈত্র মাস থেকে শুরু হত, কিন্তু ৯৬৩ হিজরির মুহাররম মাস ছিল বাংলা বৈশাখ মাস। তাই বৈশাখ মাসকে বাংলা সনের প্রথম মাস ধরা হয় ( দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ।)
আর এ জন্যই বাংলাদেশে বৈশাখ মাসে ব্যবসায়ী সন উদযাপিত হয়। হালখাতা বৈশাখ মাসেই উদযাপনের রেওয়াজ আজও বিদ্যমান। ব্যবসার হিসাব খাতা হাল নাগাদ করণ থেকে আমরা জীবনের পাপ পুন্যের খাতাকে হাল নাগাদ করণের তাগিদ পেলে ও আমরা সে ঐতিহ্য ভুলতেই বসেছি। আর এই ফাকা পথের চোরাগলি দিয়ে বিজাতীয় বেলেল্লাপনা,উশৃংখল মূখর নগ্ন পরিবেশের বৈশাখী উদযাপনের হৈ হুল্লোর আমাদের মধ্যে প্রবেশ করে ঝেকে বসেছে।
এটাকে ই আমরা ইতিহাস ঐতিহ্য বলে ধরে নিয়েছি। অথচ ইসলামের নবী বললেন " মান তাশাব্বাহা বি ক্বাওমিন ফাহুুুয়া মিনহুম "।যে কোন জাতির সাথে সম্পর্ক রাখে সে তাদের ই অন্তর্ভূক্ত "। এ অন্তর্ভূক্তি আবশ্যিক ভাবে পালনের রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা পর্যন্ত চলে এসেছে। মংগল শুভাযাত্রার মাধ্যমে উদযাপন করতে হবে বাংলা নববর্ষ কে! কথা ছিল আল্লাহর ফরমান নিয়ে আমাদের কার্যকর ভাবে কিছু করার। "ইয়া আয়্যুহাল্লাজিনা আমানুত ত্বাক্বুল্লাহা ওয়াল তান যুর নাফসুম মা ক্বাদ্দামাত লি গাদ"। হে ইমানদার সকল! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর প্রত্যেক আত্মা যেন চিন্তা করে,লক্ষ্য করে,যে সে আগামীদিন অর্থাৎ ক্বিয়ামত দিবসের জন্য সে কি প্রেরণ করেছে "। এখানে প্রত্যেক আত্মা মানে বোধসম্পন্ন নারী পুরুষ সকলকে ই আগামী দিনের সম্বল কি প্রেরণ করেছে তা ভাবার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আমার দেশের নারী পুরুষ বৈশাখ উদযাপনের নামে রঙ মেখে প্রবৃত্তির খেয়ালিপনার জোয়ারে ভেসে আহবান জানায় এসো হে বৈশাখ!
বিগত দিনের কসুর, যুলুম, নাফসানিয়তের খেসারত যেখানে অনুশোচনার সাথে স্মরণ করে তাওবার সাথে আগামী দিনের সুপরিকল্পনা করার কথা ছিল, সেখানে খাহেশাতের সর্ববিধ্বংসি বেলেল্লাপনা দিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরা স্বাগতম জানায় পহেলা বৈশাখ কে।
ঐতিহ্য ভুলার কি আজব আয়োজন। অবলিলায় অবগাহন করছি সে গড্ডালিকা প্রবাহে। আল্লাহর ফানাহ।
আমরা কি পারি না এ পহেলা বৈশাখ কে হামদ নাতের সংস্কৃতি দিয়ে উদযাপন করতে? সুন্দর প্রমিত বাংলা উচ্চারণে উপদেশ মূলক কবিতাবৃত্তির প্রতিযোগিতার আয়োজন করে? ভোর রাতে কি পারিনা মাবুদের দোয়ারে করুণা ভিক্ষার জন্য হানা দিতে?জায়নামাজে বসে? আগামী সালের মংগল কামনায়? তাওবার আয়োজন করতে পারি না সবে মিলে?
পারিনা মীলাদ আয়োজন করতে? নবীর শান গাইতে? আত্মসমালোচনার পরিবেশ তৈরি করতে? প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার। আল্লাহ যেন তার হাবিবের উসিলায় আমাদের বোধ উদয় করে দেন।
৩৪৫
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
নামাজের মধ্যে তাকবীরে তাহরিমা :- বৈজ্ঞানিক গবেষনায় প্রতীয়মান হয়েছে নামাজের......
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, স্বজনপ্রীতি,গোত্রপ্রীতি ও সাম্প্রদায়িকতার কারনে......
ইভটিজিং এর পরিচিতি : ' ইভ' শব্দের অর্থ আদি মাতা......
জানাযার সালাতের পর দোয়া করা প্রসংগ ঃ জানাযার নামাজের পর......
عن ابن مسعود رضي الله تعالي عنه قال قال رسول......
মায়ের কবর। ০৯/০৯/২০২০ ইং ঐখানে মোর মা দুঃখীনি ঘুমিয়ে চিরতরে।......
মুসলিমদের জন্য সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সে আল্লাহ ও তার......
অহকার শব্দটির আরবী হচ্ছে ' কিবার'। এটি বাবে সামিয়া ইয়াসমাউ......
হযরত সালমা ইবনে আকওয়া ( রা:) বলেন এক ব্যক্তি হুজুর......
বিশ্ব মানবের মধ্যে সৃষ্টিগত কোন পার্থক্য নাই। সকলেই আল্লাহর কাছে......