সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

জিনগত ত্রুটিতে আক্রান্ত নারীর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এবং বিকলাঙ্গ সন্তান প্রসবের আশংকায় গর্ভ-নিরোধ করার বিধান
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : বৃহস্পতিবার ২৪/০১/২০১৯

রোগের প্রকৃতি জানার জন্য এবং এটি বংশগতভাবে সংক্রমিত হওয়া কিংবা অন্য কোন রোগ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা কতটুকু তা জানার জন্য জেনেটিক-টেস্ট করতে কোন আপত্তি নেই। যেহেতু এতে রয়েছে কল্যাণ লাভ করা, ক্ষতি দূর করা এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা; যা গ্রহণ করা শরিয়ত অনুমোদিত। দুই: ধরে নিই, জিনগত ত্রুটি ধরা পড়ল সেক্ষেত্রেও এ নারীর জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয। এমনকি যদি বংশগতভাবে রোগটি সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা সত্ত্বেও। তবে, শর্ত হচ্ছে পাত্রকে রোগের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। বিয়ে জায়েয হওয়ার বিষয়টি এ দিক থেকে: বিয়ের মূল বিধান হচ্ছে– বৈধ হওয়া ও বিয়ের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা; যাতে করে বিয়ের মাধ্যমে চারিত্রিক পবিত্রতা, মানসিক প্রশান্তি ও ভালবাসা অর্জিত হয়। আর গর্ভধারণ বৈধ হওয়ার বিধান এ দিক থেকে: যেহেতু বিয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে– গর্ভধারণ। সন্তানের রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাটি এ উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। যেহেতু সেটা আল্লাহ্‌র জ্ঞানে রয়েছে। হতে পারে সম্পূর্ণ সুস্থ সন্তান জন্মগ্রহণ করবে। তবে, যদি প্রবল ধারণা অনুযায়ী সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী সন্তান গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং ভ্রূণের বিকলাঙ্গতা সাব্যস্ত হলে তারা ভ্রূণ নষ্টও করে ফেলতে পারেন; তবে শর্ত হচ্ছে রূহ আসার আগেই তা করতে হবে। অর্থাৎ গর্ভধারণের বয়স ১২০ দিন হওয়ার আগে করতে হবে। শাইখ বিন বায (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হয়: আমি একজন মুসলিম নারী। আলহামদু লিল্লাহ্‌ আমি ফরয আমলগুলো পালন করি; যেসব আমল আমার প্রতিপালক আমার উপর ফরয করেছেন; যেমন- নামায, রোযা, যাকাত। কিন্তু, আমি গর্ভধারণ স্থগিত করেছিলাম। যে সময়ে আমার স্বামী যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সে সময়। এটা প্রায় দশ বছর সময়কাল হবে। এরপর আমার মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আমার এই কর্মের মাঝে এমন কিছু আছে কি যাতে করে আল্লাহ্‌ আমার উপর নারাজ হবেন? কারণ আমার সন্তানেরা হেমিপেরেসিসে আক্রান্ত হত। তাদের মধ্যে কেউ মারা যেত। কেউ বেঁচে থাকলেও এই রোগে ভুগত। দয়া করে, আমাদেরকে অবগত করবেন আল্লাহ্‌ আপনাদেরকে অবগত করুন। তিনি জবাব দেন: যদি আপনি স্বামীর সন্তুষ্টি সাপেক্ষে গর্ভনিরোধ করে থাকেন তাহলে এতে কোন গুনাহ হয়নি। যদি আপনি স্বামীর সন্তুষ্টি বা সম্মতি সাপেক্ষে করে থাকেন তাহলে আমরা আশা করছি আপনার কোন গুনাহ হয়নি। আর যদি আপনি স্বামীর অসন্তুষ্টি বা অজান্তে করে থাকেন তাহলে আপনার কর্তব্য হচ্ছে তাওবা করা, ইস্তিগফার করা এবং কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়া। আলহামদু লিল্লাহ্‌।[সমাপ্ত; ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব (২১/৪২১)] বিয়ের প্রস্তাব-দাতাকে এই ত্রুটির কথা জানানো আবশ্যক। কেননা অগ্রগণ্য মতানুযায়ী যা কিছু দাম্পত্য জীবনের উপর কিংবা সন্তান-ধারণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কিংবা স্বামী-স্ত্রীর একজনকে অপরজন থেকে দূরে রাখে এগুলো এমন ত্রুটি যা অবহিত করা আবশ্যক। যদি পাত্র রোগের ব্যাপারে জানার পর বিয়েতে সম্মত হয় তখন যে ধরণের রোগ-ই হোক না কেন তাতে কোন দোষ নেই। আমরা আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদের বোনকে সুস্থ করে দেন, নিরাময় দান করেন, নেক স্বামী ও নেককার সন্তানসন্ততি দান করেন।

১২৯৬

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭