সম্মানিত ইমাম বাতায়ন এর সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা। আমার এই ক্ষুদ্র লেখাটি আপনাদের কেমন লেগেছে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি।
রাসূল (সা.)-এর ওফাতের মাত্র ৫০ বছর পর ৬১ হিজরির মুহাররম মাসের ১০ তারিখে জুমুার দিন ইরাকের কারবালা নামক স্থানে ক্ষমতালোভী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন তাঁরই প্রিয় দৌহিত্র হজরত হোসাইন ইবনু আলী (রা.)। তার শাহাদাতের কারণ নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের মন্তব্য করেন। তবে তারিখুত তাবারিতে যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তা-ই প্রণিধানযোগ্য। হজরত হোসাইন (রা.) প্রিয় নবীজী (সা.)-এর নবুওয়াতের আদলে পরিচালিত খোলাফায়ে রাশেদীনের মহান আদর্শকে রক্ষা করার জন্য ইয়াজিদের স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। ইয়াজিদের স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সপরিবারে শাহাদাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম করে কিয়ামত পর্যন্ত এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলেন। তার সেদিনের সে সংগ্রাম কিন্তু ব্যর্থ হয়নি। আর ওই মহান ত্যাগের ফলে এ কথাই প্রমাণিত হয়েছে যে, ইয়াজিদের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ইসলামবিরোধী ছিল। তিনি এর বিরুদ্ধে জিহাদ না করলে অনেকে এটাকে বৈধ বলেই মনে করতেন। ইয়াজিদের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পক্ষে সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়িগণের ইজমা ছিল বলে প্রমাণিত হতো। কিন্তু হজরত হোসাইন ইবনু আলী (রা)-এর শাহাদাত একথাটি সুস্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বংশানুক্রমিক বাদশাহি ইসলাম সমর্থন করে না। তার এ শাহাদাত যুগে যুগে মুসলিম জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে লড়াই এবং শাহাদাতের প্রেরণা দান করে। মানব রচিত জুলুমের শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে আল্লাহর বিধান কায়েম করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।
শিক্ষা : ঐতিহাসিক কারাবালার শাহাদাতের মাধ্যমে ইমাম হোসাইন (রা.) প্রমাণ করে গেলেন সত্য-মিথ্যা, ন্যায় ও অন্যায়, হক ও বাতিল কখনও এক হতে পারে না। সত্যের বিষয়ে কোনো ছাড় নয় প্রয়োজনে শহীদ হবে। এ শাহাদাতের মাধ্যমে তিনি সব সত্য সন্ধানি মানুষকে শিখিয়ে গেলেন অসত্যের কাছে, জালিমের জুলুমের কাছে কখনও মাথা নত করবে না। প্রয়োজনে জীবন যাবে, দলে দলে সবাই শহীদ হবে তারপরও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না। তাই তো উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিক ও স্বাধীনতার বীরসৈনিক মাওলানা মুহাম্মাদ আলী জাওহার বলেছেন: ‘কাতলে হুসাইন আসল মে মর্গে ইয়াজিদ হ্যায়, ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যায় হার কারাবালা কি বা’দ।’ মূলত কারবালায় ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের মধ্যেই নিহিত ছিল ইয়াজিদের মৃত্যু, আর প্রতিটি কারবালার পরই ইসলামের নব উত্থান ঘটে।
হিজরি সনের প্রথম এবং নতুন মাস মুহাররম। প্রতিটি মুসলিমের ওপর আবশ্যক হচ্ছে এ মাসে গত এক বছরের ভুল-ভ্রান্তির বিষয়ে আত্মসমালোচনা করে আল্লাহর কাছে তাওবা করা। আগামী বছরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এ মাসে সংঘটিত অতীত ঘটনা ও ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে দৃঢ় পদে কাজ করে যাওয়া। কোনো হারানোর বেদনায় হা-হুতাশ ও আপসোস না করে সত্যের ওপর অবিচল থাকা। সবশেষে কবির ভাষায় বলতে চাই ‘ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না।’
২৯৩৮
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
সম্মানিত ইমাম বাতায়ন এর সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা। আমার এই ক্ষুদ্র......
সম্মানিত সুধী, আসসালামু আলাইকুম শুভেচ্ছা নিন। আশা করি ভাল আছেন।......
আসসালামু আলাইকুম। ইমাম বাতায়ন এর সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা। আশা করি......