একশ্রেণীর লোক যারা সবকিছু বোঝার জন্য বিজ্ঞানকে একমাত্র মাপকাঠি মেনে থাকে। বাস্তবিক জীবনেও এরূপ কিছু তথাকথিত অপশিক্ষিত লোকের সাথে আমার পরিচয় আছে। তারা সবকিছু বিজ্ঞানের গানিতিক বিশ্লেষণে বিচার করতে চায় এমনকি আল্লাহ পাক উনার কুদরত কিংবা সৃষ্টি সম্পর্কেও।
অথচ আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির বিশালতার কাছে এই বিজ্ঞান যে কত ঠুনকো সেটা একটু চিন্তা করলেই হৃদয়াঙ্গম করা সম্ভব।
এসকল নাস্তিকমনা পাবলিকের জ্ঞান যে সৌরজগতের গন্ডিও অতিক্রম করতে সক্ষম হয় নাই এটা কিন্তু তারা নিজেরাও ভুলে যায়। মানুষের পক্ষে কিভাবে এই বিজ্ঞানের মাধ্যমে সৃষ্টি জগত আবিস্কার করা এবং সেটা উপলব্ধি করা সম্ভব ?
মহাকাশ বা মহাশূন্য বলতে অনেকে তাকে আসমান ভেবে ভুল করে বসে। অথচ মহাকাশ বা মহাশূন্যে যা কিছু বিদ্যমান তার সবই প্রথম আসমানের নিচে অবস্থিত। যদিও বর্তমান বিজ্ঞান মানুষকে দ্রুতগামী করেছে কিন্তু তারপরেও বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ সর্বোচ্চ সেকেন্ডে ৭-১৫ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম।
অপরদিকে দেখুন আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৮৬০০০ হাজার মাইল। এ গতি বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানুষের পক্ষে অর্জন করা অসম্ভব। পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্ব অনুযায়ী কোন বস্তুর গতি আলোর গতির চাইতে বেশি গতিপ্রপ্ত হলে সময়ের উর্ধে উঠে যায় (Theory of Relativity) যেটা কিনা অসম্ভব।
মহাকাশের দূরুত্ব নির্ননের একক হচ্ছে, আলোকবর্ষ। অর্থাৎ এক বছরে আলো যে পরিমান দুরত্ব অতিক্রম করে তাকে এক আলোকবর্ষ বলে।
অর্থাৎ ১৮৬০০০×৬০×৬০×২৪×৩৬৫ মাইল।
বর্তমান বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী আমাদের সৌরজগতের নিকটবর্তী ছায়াপথ যার দুরুত্ব ২০/৩০ হাজার আলোকবর্ষ এবং এর বিস্তৃতি হচ্ছে, ১৬০ হাজার আলোকবর্ষ। এই সব ছায়াপথে ১০ হাজার কোটি নক্ষত্র বিদ্যমান। হাবল টেলিস্কোপের মাধ্যমে আবিষ্কৃত সুপার গ্যালাক্সি যা কিনা কয়েকটি ছায়াপথের সমন্বয়ে গঠিত। যার দুরুত্ব ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ এবং এরমধ্যে ব্লাকহোল এর অস্তিত্ব ধরা পরেছে। কেননা ছায়াপথের চারধারে উত্তপ্ত গ্যাসের যে স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে, যার বিস্তৃতি ১০ লক্ষ আলোকবর্ষ। যা প্রচন্ড মধ্যাকর্ষন শক্তি ছাড়া সম্ভব নয় এটা একমাত্র ব্লাকহোলের দ্বারাই সম্ভব। আর এই ছায়াপথে যে কতসংখ্যক নক্ষত্র রয়েছে সেটা আল্লাহপাকই ভালো জানেন !!!
প্রথম আসমানের নিচে এসকল বিশাল সৃষ্টিজগতই সমগ্র বিজ্ঞানের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে থাকে। দেখুন, আলোর গতিতে (সেকেন্ডে ১৮৬০০০হাজার মাইল) গেলেও এই ছায়াপথে পৌঁছাতে ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ সময় লাগে, যেটা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কোনদিনই সম্ভব নয়। তাহলে এখন আপনারাই বলুন, বিজ্ঞানের মাধ্যমে এসকল নাস্তিক্যমনাদের সৃষ্টি জগতের পরিমাপ করাটা কতটা হাস্যরসাত্মক বিষয়।
পবিত্র হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
প্রথম আসমান দ্বিতীয় আসমানের কাছে একটা ডিমের সমান, দ্বিতীয় আসমান তৃতীয় আসমানের নিকট একটা ডিমের সমান….এভাবে ষষ্ঠ আসমানও সপ্তম আসমানের কাছে একটা ডিমের সমান। এরপর সিদরাতুল মুনতাহা তারপর সত্তর হাজার নূরের পর্দা এরপর হচ্ছে, পবিত্র আরশ।
যেখানে আজ মানুষের গমন সর্বোচ্চ সৌরজগতের মধ্যে এবং চিন্তা ও আবিষ্কার নিকটবর্তী কোন ছায়পথ পর্যন্ত। যাদের গবেষনা বা চিন্তা প্রথম আসমানের সৃষ্টি সম্ভারকে অতিক্রম করতে পারবে না তারা কি করে এই ঠুনকো বিজ্ঞান দ্বারা আল্লাহ পাকে সৃষ্টি পরিমাপ করতে চায় ?
তারা কি করে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুজেজা শরীফের পরিমাপ করতে চায় ?
তারা কিরে আওলিয়ায়ে কিরামগনের কারামত পরিমাপ করতে চায় ?
অথচ এই বিশালত্ব দেখে সবার উচিত সমগ্র বিশ্ব জাহান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ পাক রব্বুল ইজ্জত উনার প্রতি সিজদার জন্য মাথা নত করা। এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সলাত ও সালাম পাঠ করা। যাঁর উছিলায় আল্লাহ পাক এই কুল ক্বায়িনাত সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ্!!
আরো তথ্য জানতে ভিজিট করুনঃ captainiilliterae.wordpress.com
৩৯৩
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
একশ্রেণীর লোক যারা সবকিছু বোঝার জন্য বিজ্ঞানকে একমাত্র মাপকাঠি মেনে......
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য......
হযরত ইমাম মাহদি (আঃ) এর পরিচিতি : ♦নাম ও বংশ......
ইন্নালহামদা লিল্লাহ্............... নাস্তিকরা প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা......
মিডিয়া সহ সকল বিধর্মীদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে সমগ্র পৃথিবীর......
স্টিফেন হকিং এবং মিচিও কাকু দু’জনই সমসাময়িক বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী।......