সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

ধর্মপাশায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করলেন এমপি।
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : সোমবার ০২/০৪/২০১৮

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ডেকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক কে লাঞ্চিত করলেন স্থানীয় এমপি। ঘটনাটি ধর্মপাশা সুনামগঞ্জের প্রতিনিধি কর্তৃক প্রকাশিত দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার ২৭ শে মার্চ ৭ নং পৃষ্টার সংবাদ।

ধর্মপাশা জনতা মডেেল উচ্চ বিদ্যালয়। ঘটনাটি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই সাম্প্রতিক বিষয়াদির কলামে লিখতে বাধ্য হলাম বিবেকের তারনায়। কারণ নবিজী হাদীছে ঘোষণা করেছেন তোমাদের মধ্যে গর্হিত কোন কাজ হতে দেখলে সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে। না পারলে কথা দিয়ে। তাও না পারলে অন্তরে হলেও ধিক্কার জানাতে হবে। এটা দূর্বল ঈমান! আল হাদীছ।

প্রশ্ন হল এম পি জনতার রায়ে নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। সম্মানীত ব্যক্তি বটে। যার দায়িত্বে জনগনের জান মাল ইজ্জত হুরমাত ন্যস্থ করেছে জনগণ ই। ষোল কোটি মানুষের মাত্র তিনশ' প্রতিনিধির তিনি একজন প্রতিনিধি।

কত বিশাল তার দায়িত্ব!  কত আমানত তার হাতে ন্যস্থ। সেই তিনি ই( এমপি) জাতির বিবেক, জাতির আদর্শ, একজন শিক্ষাগুরু কে নাজেহাল করবেন? কি করে এটা মেনে নেয়া যায়?  কি ভাষায় একজন এমপির এহেন আচরণের মূল্যায়ন করা যায়? আমার ভাষা জানা নেই। বিনয় সভ্যতার ভূষণ, তাই জাতির কপাল দোষের কথা বলছি। জাতির বিবেক নির্বাসনে আছে। আছে বহু দূরের অন্ধকার কারাগারে বন্দি। নতুবা যে শিক্ষক, মন্ত্রীর কারিগর, প্রেসিডেণ্ট নির্মাতা, সাংসদ প্রসূতি। সে শিক্ষক লাঞ্চিত হবেন সোনার বাংলার রাষ্টীয় দায়িত্বে সমাসীন কোন ভদ্র লোকের(?) দ্বারা! এটা জাতির কপাল খারাপ নাহলে হওয়ার কথা ছিল না। নবিজী ফরমান- "আকরিমিল্লাজি আল্লামাকা " অর্থাৎ যে তোমাকে শিক্ষা দিয়েছে তাকে সম্মান কর। এ সম্মানের নমুনা দেখাতে যেয়ে ইসলামের চতুর্থ খলিফা জ্ঞানের ফটক দ্বার হযরত আলী বলেন " যে আমাকে একটি অক্ষর শিক্ষা দিয়েছেন, আমি তার কিনা ভৃত্য, ইচ্ছা করলে তিনি আমাকে তার সান্নিধ্যে রাখতে পারেন অথবা বিক্রি কররে দিতে পারেন।"

বাদশা আলমগীর সে শিক্ষকের মর্যাদা দেখিয়েছেন অনুকরণীয় নমুনায়। কিন্তু আমরা যে তার চেয়ে ও বড় হয়ে গেছি!  এ বড়ত্বের সামাল হবে কিসে? নতুবা মানুষের ত্রুটি থাকতে ই পারে, কিন্তু লাঞ্চিত করে মাসুল নিতে হবে?  শুনেছিলাম যে যত বড় আসনে অধিষ্ঠিত হয় সে তত নম্র ভদ্র হয়। কিন্তু কই আমরা? আর কই বাস্থবতা!  আল্লাহর কাছে ফানাহ চাওয়া ছাড়া কি ই বা করার আছে?  পাছে গোটা জাতির উপর কোন গজব এসে না যায়। 

৩২২

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭