সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

মাসঅালা-মাসায়েল
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : বৃহস্পতিবার ১৫/০২/২০১৮

তওবা কী? কেন করতে হয়?? কিভাবে করতে হয় ???

নিজের কৃত গুনাহের উপর লজ্জিত হয়ে খোদার সামনে কান্নাকাটি ও কাকুতি-মিনতি করে ভবিষ্যতে এমন গুনাহ না করার সংকল্প করা এবং এই বলে ফরিয়াদ করা যে, হে আল্লাহ আমার গুনাহ ক্ষমা করে দাও এবং অন্তরে এ দৃঢ় অঙ্গীকার করা যে,আর কখনো গুনাহ করব না, একেই তওবা বলে। 

তওবা কেন করতে হবে?

কোনো প্রকার খারাপ কাজ, গুনাহ, অন্যায় অবিচার ও আল্লাহর নাফরমানির কারণে আল্লাহ তাআলা শাস্তি দিয়ে থাকেন। সেই শাস্তি থেকে মুক্তির জন্যেই তওবা করতে হয়।

শুধুমাত্র খারাপ কাজ তথা গুনাহের কাজ করলেই তওবা ওয়াজিব হয় এমন না বরং, যেসব নেক আমল করার জন্য আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন তা ছেড়ে দিলেও গুনাহ হবে। এই গুনাহ থেকে তওবা করা এবং পুনরায় নেক আমলগুলি চালু করা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কুরআনে এসেছে, 

ان الحسنات يذهبن السيات...

অর্থাৎ নিশ্চই নেক কাজসমূহ গুনাহকে মিটিয়ে দেয়। 

 

*কিভাবে তওবা করতে হবে?

কয়েকটি শর্ত পূরণ করলেই আল্লাহ তাআ’লা সেই তওবা কবুল করবেন।

১। পাপ কাজ করা বন্ধ করতে হবে।
শুধু মুখে মুখে "কয়েকদিন পর থেকে পাপ কাজটা ছেড়ে দেবো"– এ রকম বললে তওবা হবে না।

২। অতীতের সমস্ত পাপ কাজ ও ভুল ত্রুটি আল্লাহর কাছে স্বীকার করে চোখের পানি ফেলে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।পূর্ববর্তী বুযুর্গানে দ্বীন নামাজের সেজদাতে গিয়ে কান্নাকাটি করে আল্লাহর দরবারে মাফ চাইতেন। 

৩। অন্তরে ঐকাজগুলোর প্রতি সর্বদা ঘৃণা রাখতে হবে। এবং সেগুলোতে আর ফিরে না যাওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে।

৪। কারো হক নষ্ট করে থাকলে তাকে তার হক ফিরিয়ে দিতে হবে যেভাবেই হোক। আর সামর্থ্য না থাকলে অনুরোধ করে, ক্ষমা চেয়ে বা যেভাবে সম্ভব  তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। নামাজের পর তার জন্যে দোয়া করতে হবে। এবং ভবিষ্যতে সামর্থ এলে পরিশোধ করার ইচ্ছে থাকতে হবে। 

উল্লেখ্য, তওবা করলে আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন, এমনকি কারো পাপ আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেও আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন। কিন্তু বান্দার কোনো হক নষ্ট করলে সেটা বান্দা মাফ না করলে আল্লাহ মাফ করেন না।

৫. অন্তরে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আমি গুনাহগার কিন্তু আল্লাহ গাফুরুর রাহীম – অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। সুতরাং তিনি আমার তওবা কবুল করবেন।

৬. তওবা করার পরে প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে সবধরণের গুনাহের কাজ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে এবং সাধ্য অনুযায়ী বেশি বেশি নেক কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।

৭.  তওবার পর কখনো  ভুলে বা কুপ্রবৃত্তির কারণে আবার কোনো গুনাহে জড়িয়ে গেলে দ্রুত সেটা থেকে ফিরে আসতে হবে এবং পূর্বের ন্যায় কেঁদে কেঁদে মাফ চাইবে। এভাবে যখনই কোনো পাপ হবে সাথে সাথেই তওবা করবে, মৃত্যু পর্যন্ত।

কোরআনে এরশাদ হয়েছে→ “তারা কি একথা জানতে পারে নি যে,আল্লাহ নিজেই স্বীয় বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং যাকাত গ্রহণ করেন? বস্তুতঃ আল্লাহই তওবা কবুলকারী,করুণাময়।” (সূরা আল অনফাল,আয়াত-১০৪)

“তারা তওবাকারী, এবাদাতকারী, শোকরগোযার, (দুনিয়ার সাথে) সম্পর্কছেদকারী,রুকু ও সেজদা আদায়কারী ,সৎকাজের আদেশ দানকারী, ও মন্দকাজ থেকে নিবৃতকারী এবং আল্লাহর দেওয়া সীমাসমূহের হেফাজতকারী। বস্তুতঃ সুসংবাদ দাও ঈমানদারদেরকে।” (সূরা আল আনফাল, আয়াত- ১১২)

৪৪১

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭