প্রশ্ন :এক ব্যক্তি প্রস্রাব শেষ করে প্রস্রাবের স্থান ধৌত করে নেয়। কিন্ত যখনই সে নড়াচড়া করে ও দাঁড়ায়, তখন অনুভব হয় যে,কয়েক ফোটা প্রস্রাব বের হয়েছে। এ জন্য সে দীর্ঘ সময় প্রস্রাবের স্থানে বসে থাকে আর বলে, 'কি করব ?' সে কি তার এ অনুভূতি ও ধারণা ত্যাগ করে অযূ পূর্ণ করে নেবে ? না, পরিপূর্ণ পেশাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ? আশা করি উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাদের কল্যাণ করুন।
উত্তর :আল-হামদুলিল্লাহ,এ বিষয়টি ওয়াসওয়াসা ও সন্দেহ থেকে সৃষ্টি হয়। আর এগুলো তৈরি হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। তবে কারো কারো ব্যাপারে প্রকৃত পক্ষেই এমন ঘটে।
আর প্রকৃত হলে, সে তাড়াহুড়ো করবে না, বরং পেশাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, অতঃপর পানি দ্বারা পেশাবের স্থান ধৌত করবে। এরপর যদি কোন কিছুর আশঙ্কা থাকে, তাহলে লজ্জাস্থানের আশপাশে লুঙ্গি বা পায়জামায় পানি ছিটিয়ে দেবে। অতঃপর অযূ শেষ করার পর যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়, সে দিকে সে ভ্রূক্ষেপ করবে না। ওয়াসওয়াসা ত্যাগ করার জন্য এ পদ্ধতি তার জন্য সহায়ক হবে।
আর যদি শুধুই সন্দেহ ও ওয়াসওয়াসা হয়, যার কোন বাস্তবতা নেই, তবে তার প্রতি মোটেই ভ্রক্ষেপ করবে না। মুমিনদের জন্য এ সমস্ত জিনিসে দৃষ্টি দেয়া উচিত নয়। কারণ, এগুলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা। শয়তান চায় মানব জাতির সালাত-ইবাদত নষ্ট করতে। অতএব, তার ষড়যন্ত্র ও ওয়াসওয়াসা থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। আল্লাহকে আকড়ে থাকা এবং তাঁর উপর ভরসা করা। আর এসব যা কিছু সৃষ্টি হয়, তা শয়তানের পক্ষ থেকে মনে করা, যাতে অযূ এবং তার পরবর্তী সালাতে এর প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ সৃষ্টি না হয়। আর নিশ্চিতভাবে কিছু বের হলে, পুনরায় পবিত্র হবে ও অযূ করবে।
আর ধারণার কোনই গ্রহণযোগ্যতা নেই। যদিও ৯৯% ভাগ ধারণা হয়, তার প্রতিও কোন ভ্রূক্ষেপ করা যাবে না। এগুলো শয়তানের প্ররোচনা। যতক্ষণ পর্যন্ত দৃঢ় বিশ্বাস না হবে,সে তার অযূ, সালাত ও অন্যান্য কাজ করেই যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল : হে আল্লাহর রাসূল, কোন ব্যক্তির ধারণা হয় যে, তার সালাতে কিছু বের হয়েছে।
উত্তরে তিনি বলেন : (لَا يَنْصَرِفْ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا) সালাত ত্যাগ করবে না, যতক্ষণ না সে আওয়াজ শোনে, অথবা গন্ধ পায়। এখানে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, আওয়াজ বা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত, কেবল ধারণার উপর নির্ভর করে সালাত ত্যাগ করবে না। তদ্রূপ মানুষ যখন অযূ থেকে ফারেগ হয়, অতঃপর কোন কিছু অনুভূত হলে, সে দিকে ভ্রূক্ষেপ করবে না, এবং তার প্রতি ফিরে যাবে না।
বরং, সে তার পবিত্রতা, সালাত ও আমল করে যাবে, যতক্ষণ না ১০০% ভাগ ধারণা হয় যে, কিছু বের হয়েছে। কারণ, কিছু বের না হওয়াই নিয়ম। আরো স্মরণ রাখবে যে, শয়তানের ওয়াসওয়াসা, তার প্ররোচনা ও তার সৃষ্ট সন্দেহ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুমিনকে ক্লান্ত করা ও তাকে কল্যাণকর এসব কাজ থেকে বিরত রাখা। আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা চাচ্ছি।
৬৯২
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
জুমু’আর দিনের বিস্তারিত ফজীলত ●●আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,......
মধু পানের উপকারিতা ১. বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়। ২.ত্বক সুন্দর করে। ৩.গলার......
আল্লাহর অনুগ্রহে আশা রাখার গুরুত্ব আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلْ يَا......
যে সব অধিকারের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে সমান দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক......
প্রশ্ন : ইসলামে হজ্জের মর্যাদা কী এবং কার উপর হজ্জ......
প্রশ্নঃ হিজড়রাদের ইবাদত সম্পর্কে আল্লাহ এবং তার রাসূল সাঃ কি......
মানবজীবনে হারাম উপার্জনের প্রভাব অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী মহান আল্লাহ......
কিয়ামতের নিদর্শন গান-বাজনা,নর্তকী,মদ,সূদ,রেশম কাপড় ইত্যাদিতে যুক্ত অভাগাদের জন্য সতর্কবার্তা। হযরত......
কালিমা সমুহ ১. কালিমায়ে তাইয়্যেবা : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর......
ঘুমানোর সময়ে পালনীয় ১০ টি সুন্নাত ১. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে......