আল্লাহর অনুগ্রহে আশা রাখার গুরুত্ব
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لا تَقْنَطُوا مِنْ رَحْمَةِ اللهِ إِنَّ اللهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعاً إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
অর্থাৎ, ঘোষণা করে দাও (আমার এ কথা), হে আমার দাসগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছ, তারা আল্লাহর করুণা হতে নিরাশ হয়ো না; নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত পাপ মাফ ক’রে দেবেন। নিশ্চয় তিনিই চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা যুমার ৫৩ আয়াত) তিনি আরো বলেন,
وَهَلْ نُجَازِي إِلاَّ الْكَفُور
অর্থাৎ, আমি অকৃতজ্ঞ (বা অস্বীকারকারী) কেই শাস্তি দিয়ে থাকি। (সূরা সাবা ১৭ আয়াত)
আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেন,
إِنَّا قَدْ أُوحِيَ إِلَيْنَا أَنَّ الْعَذَابَ عَلَى مَنْ كَذَّبَ وَتَوَلَّى
অর্থাৎ, নিশ্চয় আমাদের প্রতি অহী (প্রত্যাদেশ) প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি তার জন্য, যে মিথ্যা মনে করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা ত্বাহা ৪৮ আয়াত) আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَرَحْمَتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ
অর্থাৎ, আমার দয়া তা তো প্রত্যেক বস্ত্ততে পরিব্যাপ্ত। (সূরা আ’রাফ ১৫৬ আয়াত)
উবাদাহ ইবনে সামেত (রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, আর মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রসূল এবং ঈসা আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল, আর তাঁর বাণী যা তিনি মারইয়ামের মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন এবং তাঁর রূহ। আর জান্নাত সত্য ও জাহান্নাম সত্য। তাকে আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; তাতে সে যে কর্মই ক’রে থাকুক না কেন।’’ (বুখারী ৩৪৩৫, মুসলিম ১৫১)
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর রসূল, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম ক’রে দেবেন।’’
আবূ যার্র বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আযযা অজাল্লা বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি একটি নেকী করবে, তার জন্য দশগুণ নেকী রয়েছে অথবা ততোধিক বেশী। আর যে ব্যক্তি একটি পাপ করবে, তার বিনিময় (সে) ততটাই (পাবে; তার বেশী নয়) অথবা আমি তাকে ক্ষমা ক’রে দেব। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি এক বিঘত নিকটবর্তী হবে, আমি তার প্রতি এক হাত নিকটবর্তী হব। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি এক হাত নিকটবর্তী হবে, আমি তার প্রতি দু’হাত নিকটবর্তী হব। যে আমার দিকে হেঁটে আসবে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাব। আর যে ব্যক্তি প্রায় পৃথিবী সমান পাপ করে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, অথচ সে আমার সাথে কাউকে শরীক করেনি, তার সাথে আমি তত পরিমাণই ক্ষমা নিয়ে সাক্ষাৎ করব।’’ (মুসলিম ৭০০৯)
৪১৪
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
রাসুল (সাঃ) ঘুমানোর পূর্বে যে আমল করতেন ১- দুই হাতের......
তওবা কী? কেন করতে হয়?? কিভাবে করতে হয় ??? নিজের......
মহান স্রষ্টা অাল্লাহর সার্বভৌমত্বকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে মেনে নেয়ার বিশ্বাসকেই বলা......
ঘুমানোর সময়ে পালনীয় ১০ টি সুন্নাত ১. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে......
স্বামীর উত্তমতা বিবেচনায় স্ত্রীর সনদ خيركم خيركم لأهله বিবাহিত কিন্ত......
প্রশ্ন : শিশুদের অসুখ হয় কেন? তারা তো নিষ্পাপ। অসুখ......
ইস্তিন্জা দুই প্রকার ১. ছোট ইস্তিন্জা, ২. বড় ইস্তিন্জা। পেশাব......
কালিমা সমুহ ১. কালিমায়ে তাইয়্যেবা : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর......
মাসঅালা - মাসায়েল আবূ ন’আইম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে......
...