সংবাদ :
জাতীয় : জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত- বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ১০ জুলাই রবিবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ইসলামিক বিশ্ব : আরাফাতে খুতবা দিবেন শায়খ ড. মুহাম্মাদ আবদুল করীম , হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার হবে বাংলাসহ ১৪ ভাষায় আন্তর্জাতিক : আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জনকারী সালেহ আহমদ তাকরিমকে সংবর্ধনা প্রদান করল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন

  • টেক্সট সাইজ
  • A
  • A
  • A
  • |
  • রং
  • C
  • A
  • A
  • A

সফরের শরয়ী নিয়ম-কানুন
প্রিন্ট
প্রকাশঃ : শুক্রবার ২২/১২/২০১৭

সফর সংক্রান্ত বিষয়ে শরীয়তের বিধি-
যে কোন সফরে বের হওয়ার সময় কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত নিম্নবর্ণিত আদবগুলো মেনে চলা উচিৎ।

(১) সফরের পূর্বে অভিজ্ঞ লোকদের সাথে পরামর্শ করে এবং দুরাকআত ইস্তেখারার নামায পড়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। (বুখারী)

(২) যারা হজ্জ বা উমরা করতে যাবেন তারা আগে থেকেই মাস্আলাগুলো জেনে নেবেন।

(৩) হালাল মাল নিয়ে হজ্জ বা উমরায় যাবেন।

(৪) অসিয়তনামা লিখে যাবেন। ঋণ আছে কিনা তাও লিখে দিয়ে যাবেন। কারণ আপনি ফিরে আসতে পারবেন কিনা তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।

(৫) পরিবারের লোকদেরকে তাকওয়া অর্জনের এবং ইসলামী জীবন যাপন করার অসিয়ত করে যাবেন।

(৬) সাথী হিসেবে নেককার লোক বাছাই করে নেবেন।

(৭) পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজন থেকে বিদায় নিয়ে যাবেন। (ইবনে মাজাহ)

(৮) বৃহস্পতিবার এবং দিনের শুরুতে সফরে রওয়ানা দেয়া মুস্তাহাব। (বুখারী)

(৯) ঘর থেকে বের হওয়ার দোয়াটি পড়ে রওয়ানা দেবেন। দোয়াটি নিম্নরূপঃ

بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ

(তিরমিযী ৩৪২৬)

(১০) গাড়ী বা বিমানে উঠেই তিনবার আল্লাহু আকবারবলা, অতঃপর সফরের দোয়া পড়া।

দোয়াটি নিম্নরূপঃ

سبحان الذي سخرلنا هذا وما كنا له مقرنين- وانا الي ربنا لمنقلبون- اللهم انا نسألك في سفرنا هذا البر والتقوي ومن العمل ما ترضي - اللهم هون علينا سفرنا هذا واطو عنا بعده - اللهم انت الصاحب في السفر والخليفة في الاهل- اللهم اني اعوذ بك من وعثاء السفر وكأبة المنظر وسوء المنقلب في المال والاهل.والولد والحور بعد الكور ودعوة المظلوم. مسلم, ابو داود, الترمذي. 1342.

"পুত পবিত্র ও মহান ঐ সত্তা যিনি আমাদের জন্য এ বাহন অধীণ করে দিয়েছেন অথচ তা অধীন করার কোন ক্ষমতা আমাদের ছিল না । নিঃসন্দেহে আমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত হবো। হে আল্লাহ আমি সফরে আপনার কাছে নেকী ও তাকওয়ার প্রার্থনা করছি। আর আপনি এমন কাজের সামর্থ্য দিন যাতে আপনি সন্তুষ্ট থাকেন। হে আল্লাহ, আমাদের জন্য সফরের পথ সহজ ও কন্টকমুক্ত করুন এবং তার দুরত্ব আমাদের জন্য কমিয়ে দিন। হে আল্লাহ আপনিই আমাদের সফরসঙ্গী এবং আমাদের পরিবার-পরিজনদের হেফাজতকারী। হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে সফরের কষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি, আমনোরম দৃশ্য হতে, ধনজনের বিপদাপদ ও ভালোর পর খারাপের এবং মযলুমের বদ দোয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।"

(১১) একাকী সফরে না যাওয়া উত্তম। (বুখারী)

(১২) সফরে তিনজন হলে একজনকে আমীর বানিয়ে নেয়া। (আবূ দাউদ)

(১৩) পথে ঘাটে উপরে উঠার সময় আল্লাহু আকবারএবং নীচে নামার সময় সুবহানাল্লাহবলবেন। (বুখারী)

(১৪) বেশী বেশী দোয়া করা। কেননা মুসাফিরের দোয়া কবূল হয়। (তিরমিযী)

(১৫) গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা। চরিত্র হেফাযতে রাখা।

(১৬) সঠিকভাবে সালাত আদায় করা। তিলাওয়াত, যিকর ও তাসবীহ পাঠ করা।

(১৭) পথের সঙ্গী ও দুর্বলকে সহায়তা করাপারলে টাকা পয়সা দেয়া।

(১৮) কাজ শেষে দেরী না করে তাড়াতাড়ি সফর থেকে চলে আসা। (বুখারী)

(১৯) রাতের বেলা ঘরে ফেরার চেষ্টা না করা ভাল।

(২০) সফর শেষে মুস্তাহাব হলো নিজ ঘরে প্রবেশের পূর্বে নিকটতম মসজিদে দুরাকআত নফল সালাত আদায় করা। (বুখারী)

(২১) নিজ গ্রামে ও ঘরে প্রবেশের নির্ধারিত দোয়া পড়া। (মুসলিম)

(২২) পরিবারের লোকজনের জন্য হাদিয়া উপঢৌকন নিয়ে আসা এবং ঘরে ফিরে তাদের সাথে কোমল ব্যবহার করা।

(২৩) সফর থেকে এসে এলাকার লোকজনের সাথে মুআনাকা (কোলাকুলি) ও মুসাফা করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর থেকে ফিরে তাঁর সাথীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতেন। (বুখারী)

(২৪) হানাফী মাযহাবে পথের দূরত্ব ৪৮ মাইলের বেশী হলে এটাকে সফর ধরা হয়। সফরের হালাতে যুহর, আসর ও এশার ৪ রাকআত ফরয সালাতগুলো ২ রাকআত করে কসর করে পড়তে হয়। সুন্নত নফল পড়া লাগে না। ইচ্ছা করলে পড়তে পারেন। তবে সফরের হালাতে ফজরের দুরাকআত সুন্নাত এবং বেতরের নামায পড়তেই হবে। কেউ কেউ যুহর ও আসরকে একত্রে কসর করে যুহর বা আসরের সময় এবং মাগরিব ও এশাকে একত্র করে মাগরিব বা এশার ওয়াক্তে জমা করে আদায় করে থাকে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও এমনভাবে করতেন বলে দলীল আছে। (মুসলিম)

(২৫) সফররত অবস্থায় জুমুআনা পড়লে গোনাহ হবে না। তখন জুমুআরবদলে জুহর পড়ে নেবেন। সফরে সালাতরত অবস্থায় কিবলা উল্টাপাল্টা হয়ে গেলেও নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে কিবলা কোন দিকে এটা একটু চিন্তা ভাবনা করে ঠিক করে নিতে হবে।

১৪১৭

কোন তথ্যসূত্র নেই

আপনার জন্য প্রস্তাবিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশন

To preach and propagate the values and ideals of Islam, the only complete code of life acceptable to the Almighty Allah, in its right perspective as a religion of humanity, tolerance and universal brotherhood and bring the majority people of Bangladesh under the banner of Islam

অফিসিয়াল ঠিকানা: অফিসিয়াল ঠিকানা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, আগারগাঁও, শের-এ- বাংলা নগর, ঢাকা -১২০৭