সবর কী?
----------------------
সবরের আভিধানিক অর্থ বাধা দেয়া বা বিরত রাখা। শরীয়তের ভাষায় সবর বলা হয়, অন্তরকে অস্থির হওয়া থেকে, জিহ্বাকে অভিযোগ করা থেকে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে গাল চাপড়ানো ও বুকের কাপড় ছেড়া থেকে বিরত রাখা। কারো কারো মতে, এটি হলো মানুষের ভেতরগত একটি উত্তম স্বভাব, যার মাধ্যমে সে অসুন্দর ও অনুত্তম কাজ থেকে বিরত থাকে। এটি মানুষের এক আত্মিক শক্তি যা দিয়ে সে নিজেকে সুস্থ্য ও সুরক্ষিত রাখতে পারে। জুনায়েদ বাগদাদী রহ. কে সবর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'হাসি মুখে তিক্ততার ঢোক গেলা।' জুন্নুন মিসরী রহ. বলেন, 'আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ থেকে দূরে থাকা, বিপদের সময় শান্ত থাকা এবং জীবনের কুরুক্ষেত্রে দারিদ্রের কষাঘাত সত্ত্বেও অমুখাপেক্ষিতা প্রকাশ করা।' কারও মতে, 'সবর হলো সুন্দরভাবে বিপদ মোকাবিলা করা।' আবার কারও মতে, 'বিপদকালে অভিযোগ-অনুযোগ না করে অমুখাপেক্ষিতা প্রকাশ করাই সবর।' এক বুযুর্গ এক ব্যক্তিকে অন্যের কাছে তার সমস্যা নিয়ে অনুযোগ করতে শুনলেন। তিনি বললেন, 'তুমি ভাই, স্রেফ যে দয়া করে না তার কাছে দয়াকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছো। এর বেশি কিছু করোনি।' এ সম্পর্কে আরও বলা হয়, 'তুমি যখন মানুষের কাছে অভিযোগ করো, তখন মূলত সদয়ের বিরুদ্ধে নির্দয়ের কাছেই অভিযোগ করো।' অভিযোগ করাটা দুই ধরনের। একটি হলো, আল্লাহ তা'আলার কাছে অনুযোগ করা। এটি সবর পরিপন্থী নয়। যেমন ইয়াকুব আলাইহিস সালাম বলেন, قَالَ إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ 'সে বলল, 'আমি আল্লাহর কাছেই আমার দুঃখ বেদনার অভিযোগ জানাচ্ছি। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে আমি যা জানি, তোমরা তা জান না।'[17] অপরটি হলো, নিজের মুখের বা শরীরের ভাষায় মানুষের কাছে অভিযোগ করা। এটি সবরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এটি সবর পরিপন্থী। সবর বা ধৈর্য ধারণ করা আকীদার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। জীবনে বিপদ-মুসিবত নেমে আসলে অস্থিরতা প্রকাশ করা যাবে না। বরং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি আল্লাহর নিকট প্রতিদান পাওয়ার আশা করতে হবে। ইমাম আহমদ রহঃ বলেন, “আল্লাহ তায়ালা কুরআনে নব্বই স্থানে সবর সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।” হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, الصبر ضياء “সবর হল জ্যোতি।” (মুসনাদ আহমদ ও মুসলিম) উমর রা. বলেন, “সবরকে আমরা আমাদের জীবন-জীবিকার সর্বোত্তম মাধ্যম হিসেবে পেয়েছি।” (বুখারী) আলী রা. বলেন, “ঈমানের ক্ষেত্রে সবরের উদাহরণ হল দেহের মধ্যে মাথার মত।” এরপর আওয়াজ উঁচু করে বললেন, “যার ধৈর্য নাই তার ঈমান নাই।” আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: مَا أَعْطَى اللَّهُ أَحَدًا مِنْ عَطَاءٍ أَوْسَعَ مِنَ الصَّبْرِ “আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যের চেয়ে উৎকৃষ্ট এবং ব্যাপকতর দান কাউকে দেন নি।” (সুনান আবু দাঊদ, অনুচ্ছেদ: নিষ্কলুষ থাকা। সহীহ)
৩৭৫
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত &&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&& পুরো কুরআন শরীফের গুরুত্বপূর্ণ......
আল্লাহ তাআলা আদম আ. কে সৃষ্টি করার পর বললেন, “যাও......
নামাযের ফরজ সমুহ নামাযে আহকাম শরীর পাক কাপড় পাক নামাযের......
ব্লু হোয়েল গেমস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যদি কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা......
ঈমান নষ্ট হওয়া কয়েকটি আমল ********-----********** ১. গায়রুল্লাহর কাছে দোয়া......
অজুর ফরজ সমুহ ঃ ******************** ১. সমস্ত মুখমন্ডল একবার ধোয়া।......
ইহরাম কি? ********** ُ (ইহরাম) শব্দটি حَرَامٌ (হারাম) শব্দ থেকে......
অজু ইবাদাত-বন্দেগির জন্য শর্ত। এর রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। অজুর......
সবরের গুরুত্ব @@@@@@#@ সবর বা ধৈর্য আল্লাহর পরিপূর্ণ মুমিন বান্দাদের......
অজুর মাক্রুহ সমুহ ; ****************** ১. অযুর সুন্নত সমুহের যে......