وَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فِي مَرِيضٍ طَلَّقَ لاَ أَر‘ى أَنْ تَرِثَ مَبْتُوتَتُه“ وَقَالَ الشَّعْبِيُّ تَرِثُه“ وَقَالَ ابْنُ شُبْرُمَةَ تَزَوَّجُ إِذَا انْقَضَتْ الْعِدَّةُ؟ قَالَ نَعَمْ قَالَ أَرَأَيْتَ إِنْ مَاتَ الزَّوْجُ الآخَرُ فَرَجَعَ عَنْ ذَلِكَ.
ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় তালাক দেয় তার তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ওয়ারিস হবে বলে আমি মনে করি না। শা’বী (রহ.) বলেন, ওয়ারিস হবে। ইবনু শুবরুমা জিজ্ঞেস করলেনঃ ইদ্দাত শেষ হওয়ার পর সে মহিলা অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে কি? তিনি উত্তর দিলেন, হাঁ। ইবনু শুবরুমা আবার প্রশ্ন করলেনঃ যদি দ্বিতীয় স্বামীও মৃত্যু বরণ করে তবে? অর্থাৎ আপনার মতানুযায়ী উক্ত স্ত্রীর উভয় স্বামীর ওয়ারিস হওয়া যরুরী হয়। এরপর শা’বী তাঁর ঐ কথা ফিরিয়ে নেন।
৫২৫৯. সাহল ইবনু সা‘দ সা‘ঈদী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ‘উওয়াইমির’ আজলানী (রাঃ) ’আসেম ইবনু ‘আদী আনসারী (রাঃ) এর নিকট এসে বললেনঃ হে ‘আসিম! যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অপর কোন পুরুষের সাথে ব্যভিচার-রত) দেখতে পায় এবং সে তাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে তোমরা কি তাকে হত্যাকারীকে) হত্যা করবে? আর হত্যা না করলে) তবে সে কী করবে? হে ‘আসিম! আমার পক্ষ হতে এ সম্পর্কে তুমি রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস কর। আসিম (রাঃ) এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএ ধরনের প্রশ্নাবলী নিন্দনীয় এবং দূষণীয় মনে করলেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর উক্তি শ্রবণে ‘আসিম (রাঃ) ভড়কে গেলেন।
এরপর ‘আসিম (রাঃ)তার নিজ বাসায় ফিরে আসলে উওয়াইমির (রাঃ) এসে বললেনঃ হে আসিম! রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতোমাকে কী জবাব দিলেন? আসিম (রাঃ) বললেনঃ তুমি কল্যাণজনক কিছু নিয়ে আমার নিকট আসনি। তোমার জিজ্ঞাসিত বিষয়কে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামনা পছন্দ করেছেন। উওয়াইমির (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত) এ বিষয়ে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করতেই থাকব। উওয়াইমির (রাঃ) এসে লোকদের মাঝে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পেলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! যদি কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে পরপুরুষকে ব্যভিচার-রত) দেখতে পায়, আর তাকে হত্যা করে ফেলে, তবে আপনারা কি তাকে হত্যা করবেন? আর যদি সে স্বামী) হত্যা না করে, তবে সে কী করবে? তখন রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবললেনঃ তুমি ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তুমি গিয়ে তাঁকে তোমার পত্নীকে) নিয়ে আস। সাহল (রাঃ) বলেন, এরপর তারা দু’জনে লি‘আন করলো। আমি সে সময় অন্যান্য) লোকের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিলাম। উভয়ের লি‘আন করা হয়ে গেলে উওয়াইমির (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এখন যদি আমি তাকে স্ত্রী হিসেবে) রাখি তবে এটা তার উপর মিথ্যারোপ করা হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতাকে আদেশ দেয়ার পূর্বেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন।
ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, এটাই লি‘আনকারীদ্বয়ের ব্যাপারে সুন্নাত হয়ে দাঁড়াল। [৪২৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৬৮)
২১২
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
وَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فِي مَرِيضٍ طَلَّقَ لاَ أَر‘ى أَنْ تَرِثَ......