বিশ্বস্ত সহধর্মিণীর মধুময় স্মৃতি
আল্লাহর রাসূল সা. পঁচিশ বছর বয়সে খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ রা. সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন খাদিজা রা. এর বয়স চল্লিশ বছর। ইতিপূর্বে তিনি বিবাহিতা ছিলেন। এ যুগলটি ছিল বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ যুগল।
.
খাদিজা আল্লাহর রাসূল সা.কে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাঁর প্রতিটি সমস্যায় তিনি সঙ্গ দিয়েছেন। জীবনের হাসি-কান্নায় তাঁর পাশে থাকতেন। তাঁর নুবুয়তকে খাদিজা রা.ই সর্বপ্রথম কবুল করেছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সা.এর সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন।
.
আল্লাহর রাসূল সা.ও খাদিজা রা.কে খুব সম্মান করতেন। মহব্বত তো এই পর্যায়ের ছিল যে, রাসূলুল্লাহ সা. খাদিজা রা.এর জীবদ্দশায় দ্বিতীয় শাদি করেননি। সমাজের মধ্যেও খাদিজা রা.এর উচ্চ মর্যাদা ছিল। তিনি ছিলেন কুরাইশের শ্রেষ্ঠ নারীদের অন্যতম।
.
খাদিজা রা.এর এক বোনের নাম ছিল “হা’লাহ”। তার ছেলে আবুল ‘আচ ইবন রবি‘র সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সা.এর সবচেয়ে বড় মেয়ে যয়নাবের বিয়ে দিয়ে ছিলেন। সেই বিবেচনায় “হা’লাহ” রাসূলুল্লাহ সা.এর শ্যালিকা হওয়ার পাশাপাশি তাঁর বিয়ানও ছিলেন। মক্কায় নিজের বোন খাদিজা রা.এর ঘরে তার যাতায়াত ছিল। তাই হা’লাহ রা. রাসূলুল্লাহ সা.এর জন্য অপরিচিতা ছিলেন না।
.
মদিনার জীবনে একসময় হা’লাহ বিনতে খুয়াইলিদ রা. রাসূলুল্লাহ সা.এর সঙ্গে সাক্ষাত করার জন্য আসেন। ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি চাইলেন।
তাঁর ধরন ও অঙ্গভঙ্গি ছিল ঠিক সেরকম যেমনটি ছিল খাদিজা রা.এর। তার কন্ঠও ছিল খাদিজা রা.এর সদৃশ।
.
রাসূলুল্লাহ সা. যখন তার কন্ঠ শুনলেন, খাদিজা রা.এর কন্ঠ মনে পড়ে গেল। তিনি সা. চমকে উঠেন। খুব খুশি হলেন। রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন,
(اللهم هالة)
-“হায় আল্লাহ! এ তো হা’লাহ্ই।”
(اللهم هالة)
“আল্লাহ চাহে তো হা’লাহ্ই যেন হয়।”
.
হা’লাহকে ঘরে আসার অনুমতি প্রদান করা হয়। তাকে উঞ্চ অভ্যর্থনা জানাতে দেখে আয়েশা রা. বিস্ময় প্রকাশ করেন। খাদিজা রা. ইনতিকাল করার পর কত বছর কেটে গেছে! কিন্তু রাসূলুল্লাহ সা. খাদিজা রা.এর বিশ্বস্ততা, তার মহব্বত ও সদ্ব্যবহারের কথা ভুলেননি।
.
ইনতিকালের পর চোখের আড়াল হলেও কখনো মনের আড়াল হননি। খাদিজা রা.এর সঙ্গে তাঁর সীমাহীন ঘনিষ্ঠতা ও বিশ্বস্ততা দেখুন, রাসূলুল্লাহ সা. যখনই ছাগল যবেহ করতেন, তার গোস্ত খাদিজা রা.এর বান্ধবীদের নিকট অবশ্যই পাঠাতেন।
.
সীরাত সাহিত্যিকগণ লিখেছেন, একবার এক বৃদ্ধা মহিলা আল্লাহর রাসূল সা.এর কাছে আসে। তিনি (সা.) তাকে স্বাগত জানালেন। তার কাছে যান এবং তাকে সম্মান করেন। অজানা অচেনা বৃদ্ধার প্রতি আল্লাহর রাসূলের এমন গুরুত্বারোপ দেখে আয়েশা রা. তো অবাক। তাঁর বিস্ময় দেখে রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন:
(إنها صديقة خديجة)
-“আসলে সে খাদিজার বান্ধবী।”
৫০০
১
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
সাফল্যের গল্প... পঞ্চম এবং অস্টম শ্রেণিতে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিলাভ ।......
শিক্ষণীয় দক্ষতার গল্প মেয়েটির নাম আমাতু বিনতে খালিদ। উপাধি ছিল......
প্রিয় নবীজীর ভালোবাসার পরীক্ষা নবীজীর কাছে তাঁর ৪ বিবি বসা......
একটি শিক্ষণীয় ইসলামিক গল্প , অন্ধকার ঘরে শুয়ে আছে রাহাত......
শিক্ষণীয় গল্প মদিনায় এক অদ্ভূত মহিলা বসবাস করত। অনেকটা উম্মাদের......
শিক্ষনিয় ঘটনা নামায বিষয়ে বাগদাদ শহরের এক মসজিদের একজন ইমামের......
পরশে তাঁহার সোনা হল যারা নবী-রাসূল, সৎ ও নেক্কার লোক,......
দক্ষতার শিক্ষণীয় গল্প রেষ্টুরেন্টে বসে এক হুজুর নাস্তা করছেন। হাত......
*ইমাম গাজ্জালী (রহ:) কে বলা হলো- অহঙকারের সংজ্ঞা কি? গাজ্জালী......
কলম সৈনিকের ভূমিকা মোহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী পৃথিবীর বুক থেকে মুসলিম......