১৭ রমযান, ঐতিহাসিক বদর দিবস
'
মহান আল্লাহ বলেন:
ان كنتم امنتم بالله وما انزلنا على عبدنا يوم الفرقان يوم التقى الجمعان .
الانفال: ٤١.
যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যে দিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল।
সূরা: আল-আনফাল ৪১॥
আল্লাহ পাক আরো বলেন,
اذ همت طائفتان منكم أن تفشلا والله وليهما وعلي الله فليتوكل المؤمنون-
যখন তোমাদের দু'টি দল সাহস হারাবার উপক্রম করলো, অথচ আল্লাহ তাদের সাহায্যকারী ছিলেন। আর আল্লাহর উপরই ভরসা করা মু'মিনদের উচিত। আলে- ইমরান ১২২॥
ولقد نصركم الله ببدر وانتم اذلة، فاتقوا الله لعلكم تشكرون.
ال عمران . ١٢٣.
বস্তুত আল্লাহ বদরযুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। কাজেই আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পার।
হিজরতের পর মদিনায় ইসলামের দৃঢ় প্রতিষ্ঠা ও প্রসার, হযরত মুহাম্মদ সা: এর প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি ও কর্মকাণ্ডের সাফল্য লাভ এবং মদিনা নগরীর শাসন শৃংখলা উন্নতি হওয়ায় মক্কার কুরাইশদের মনে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এই ঈর্ষা ও সত্রুতা থেকেই পৌত্তলিক মক্কাবাসী মহানবী সা এর সঙ্গে প্রথম যে সঙ্গর্ষের সূত্রপাত ঘটায় ইসলামের ইতিহাসে তা غزوة بدر বা বদর যুদ্ধ নামে পরিচিত। মক্কার কুরাইশদের শত্রুতা, মুনাফেক সর্দার আবদুল্লাহ ইবনে উবই- এর ষড়যন্ত্র, মদিনার ইহুদিদের কুচক্রান্ত মদিনার অর্থনৈতিক ও ভৌগলিক অবস্থান, কুরাইশদের হিংসাত্মক কার্যকলাপ এবং তাদের ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও লুটতরাজ এবং আবু সুফিয়ানের কাফেলা আক্রমনের মিথ্যা গুজবে আবু জাহল ১০০০ সৈন্য নিয়ে আবু সুফিয়ানের সাহায্যার্থে মদিনা অভিমুখে রওয়ানা হয়।
এমতাবস্থায় মহানবী সা আল্লাহর পক্ষ থেকে ঐশী বাণী প্রাপ্ত হলেন। وقاتلوا في سبيل الله الذين يقاتلونكم আল্লাহর পথে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে।
সাথে সাথে মহানবী সা নেতৃস্থানীয় সাহাবাদের সাথে পরামর্শ করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং আনসার ও মুহাজীরদের ৩১৩ জনের একটি মুসলিম সৈন্য বাহিনী গঠন করে কুরাইশ বাহিনীর মোকাবিলা করার জন্য বদর অভিমুখে রওয়ানা হন।
মদিনা থেকে ৮০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে বদর উপত্যকায় ৬২৪ খৃস্টাব্দের ১৩ই মার্চ ১৭ই রমযান ২য় হিজরী জুমাবার মুসলিম বাহিনীর সঙ্গে কুরাইশদের সঙ্গর্ষ হয়। হযরত মুহাম্মদ সা স্বয়ং যুদ্ধ পরিচালনা করেন। অসামান্য রণ-নৈপুণ্য, অপূর্ব বিক্রম ও অপরিসীম নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে যুদ্ধ করে মুসলমানগণ কুরাইশদেরকে সূচনীয়ভাবে পরাজিত করেন।
বদর যুদ্ধে মহান আল্লাহ হাজার হাজার ফেরেশতা পাঠিয়ে মুসলিম বাহিনীকে সাহায্য করেন। এ যুদ্ধে ৭০ জন কুরাইশ সৈন্য নিহত ও ৭০ জন বন্দী হয়। এদিকে ১৪ জন মুসলিম সৈন্য শাহাদাত বরণ করেন। বদর যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সম্প্রসারণের সূচনা এবং পরবর্তী অল্প সময়ে ইসলাম পশ্চিমে আফ্রিকা হতে পূর্বে ভারতবর্ষ ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে।
তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ জিহাদ। প্রতি বছর ১৭ ই রমযান মুসলিম উম্মাহকে স্মরণ করিয়ে দেয় গৌরময় বিজয়ের ইতিহাস, নতুন প্রত্যয় যোগায় খোদায়ী কুদরতের অসীমতার সামনে নিজের সব কামনা বিলীন করে দেয়ার।
মহান আল্লাহ বলেন
كم من فئة قليلة غلبت فئة كثيرة بأذن والله مع الصابرين
সামান্য দলই বিরাট দলের মোকাবিলায় জয়ী হয়েছে আল্লাহর হুকুমে। আর যারা ধৈর্য্যশীল আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। আল-বাকারা ২৪৯॥
সংগ্রহে
মাহমুদুল হক
পদুয়া, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।
৪৫৪
০
০
কোন তথ্যসূত্র নেই
আল্লাহর কাছে নূহ আঃ এর দোয়া/প্রার্থনাঃ নূহ আঃ আল্লাহ পাকের......
শ্রমিকের অধিকার আদায়ে বিশ্ব নবী সা: এর ঘোষণা ' عن......
মু'মিন সর্ব ক্ষেত্রে সকল কাজে পুরস্কৃত ' عن سعد بن......
অন্তরগুলো আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত عن انس قال كان رسول الله......
যে প্রকৃত বুদ্ধিমান ও অক্ষম عن شداد بن اوس رضي......
রাসুল সাঃ ইয়াহুদির রুগ্ন ছেলেকে দেখতে গেছেনঃ عن انس رضي......
জিব্রাঈল আ: এর বদ দোয়া: ' রাসুল সা বলেছেন, قال......
সৃষ্টির সাহায্যে স্রষ্টার অনুগ্রহ নিশ্চিত হয়ঃ عن ابي هريرة قال:......
অপরাধীদের করুণ পরিণাম মহান আল্লাহ বলেছেন- والذين كسبوا السيئات جزاء......
তাকওয়ার পরিচয়ঃ তাকওয়া বা আল্লাহকে ভয় করা। অর্থাৎ তার অপছন্দনীয়......