মহামারী বিষয় মহানবীর মহামুল্যবান বাণী
‘হজরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে বা অঞ্চলে যদি কোনে প্রকার
প্লেগ বা মহামারি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে তোমরা যারা (ওই অঞ্চলের) বাহিরে আছ তারা ওই শহরে প্রবেশ করো
না। আর যে শহরে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে তোমরা যদি সে শহরে বসবাস করো তবে তোমরা সে
অঞ্চল বা শহর থেকে বাহির হয়ো না।’ (বুখারি, মুসলিম)
মহামারি মূলত আল্লাহর গজব। মহামারি প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেন-
‘এটি আল্লাহর গজব বা শাস্তি, যা (এ রকম
শাস্তি) বনি ইসরাঈলের এক গোষ্ঠীর ওপর এসেছিল, তার বাকি অংশই হচ্ছে মহামারি। অতএব, কোথাও মহামারি দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা
অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা থেকে চলে এসো না। অন্যদিকে কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে
এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করলে সে জায়গায় যেয়ো না।’ (তিরমিজি)
করোনাভাইরাস এক অজানা আতঙ্ক। রাসুলে আরাবি মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন অন্যায়,
জুলুম ও অশ্লীলতার কারণে
আল্লাহ তাআলা জালেম ও অন্যায়কারীদের ওপর অপরিচিত মহামারি চাপিয়ে দেন। হাদিসে
এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারি আকারে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তা ছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।’ (ইবনে মাজাহ)
করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে
থাকার জন্য যেভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে হয়, তেমনি সামাজিক অপরাধ যথা খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি
এবং কুফর, শিরক, বেদআতসহ
পাপের ভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখতে হবে। অতীতে এর
সর্বোত্তম নজির দেখা যায় আসহাবে কাহফের ঘটনায়। একদল যুবক নিজের ইমান ও বিশ্বাস
টিকিয়ে রাখার জন্য গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে এক দীর্ঘ ঘুমে তারা ৩০৯ বছর পার
করেছেন। বলা যায়, এটি ছিল দীর্ঘতম ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’। তাদের ঘটনা নিয়ে
পবিত্র কোরআনে একটি সুরা নাজিল হয়েছে। নাম হলো সুরা কাহফ।